, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাঁসের কারণে জমি নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ২৫ জন Logo লক্ষ্মীপুরে ২০০ শিশুর জন্য এল ঈদের আনন্দ, পাচ্ছে বিশেষ উপহার Logo গণহত্যার বিচার যদি বিলম্বিত হয়, তাহলে ফ্যাসিবাদ আবার উত্থান ঘটাতে পারে: আখতার Logo স্বর্ণের দাম আবারও ঊর্ধ্বমুখী, ভরির মূল্য কি এখন Logo ‌খোলা-পিকআপে ২০ কিলোমিটার সড়ক ভাড়া ২০০! Logo দাফনের ৭৫ দিন পর বাড়িতে ফিরে এলো কিশোর Logo ‘ডিসেম্বরের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের সমস্যা হবে সমাধান’ Logo ময়মনসিংহে ঈদের বিশেষ জামাতের সময় ও স্থান জানুন Logo ১৩ তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা যুবতীর Logo শিশুর ওপর ধর্ষণের চেষ্টা: অভিযুক্তকে উত্তেজিত জনতার হাতে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

গোপালগঞ্জ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বয়কদের ওপর হামলা, মামলা ও তদন্ত কমিটি গঠিত

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৮৫ বার পড়া হয়েছে

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়কসহ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে এবং তদন্তের জন্য সাত সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

রোববার সকালে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সাল জামান ফাহিম গোপালগঞ্জ সদর থানায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ২০-২৫ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ছাত্রলীগ কর্মী শরিফুল ইসলামকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার দুই সমন্বয়ক ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত হন কৃষিবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জসিম উদ্দিন এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ওমর শরীফ।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে প্রকৌশল অনুষদের ডিন আবদুল্লাহ আল আসাদকে প্রধান করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এ কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন শেখ রাসেল হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সাহাব উদ্দিন, ইতিহাস বিভাগের সভাপতি আতিকুজ্জামান ভূঁইয়া, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. শামচুল আরেফিন, সহকারী প্রক্টর আইরিন পারভীন, মো. আসিফ খাদেল এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের সহকারী পরিচালক ওহিদুল ইসলাম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, “তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্রলীগ কর্মী শরিফুল ইসলাম পরীক্ষা দিতে এলে শিক্ষার্থীরা তাঁকে আটক করেন। এরপর শরিফুলের সহযোগীরা হামলা চালিয়ে তাঁকে ছিনিয়ে নেন। হামলার সময় তাঁরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন।

অন্যদিকে, অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমাকে আটকানোর সময় সহপাঠীরা আমাকে মুক্ত করে নেন। কোনো হামলা চালানো হয়নি।”

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, প্রতিবেদন পাওয়ার পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

গোপালগঞ্জ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বয়কদের ওপর হামলা, মামলা ও তদন্ত কমিটি গঠিত

আপডেট সময় ০৫:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়কসহ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে এবং তদন্তের জন্য সাত সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

রোববার সকালে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সাল জামান ফাহিম গোপালগঞ্জ সদর থানায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ২০-২৫ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ছাত্রলীগ কর্মী শরিফুল ইসলামকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার দুই সমন্বয়ক ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত হন কৃষিবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জসিম উদ্দিন এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ওমর শরীফ।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে প্রকৌশল অনুষদের ডিন আবদুল্লাহ আল আসাদকে প্রধান করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এ কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন শেখ রাসেল হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সাহাব উদ্দিন, ইতিহাস বিভাগের সভাপতি আতিকুজ্জামান ভূঁইয়া, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. শামচুল আরেফিন, সহকারী প্রক্টর আইরিন পারভীন, মো. আসিফ খাদেল এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের সহকারী পরিচালক ওহিদুল ইসলাম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, “তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্রলীগ কর্মী শরিফুল ইসলাম পরীক্ষা দিতে এলে শিক্ষার্থীরা তাঁকে আটক করেন। এরপর শরিফুলের সহযোগীরা হামলা চালিয়ে তাঁকে ছিনিয়ে নেন। হামলার সময় তাঁরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন।

অন্যদিকে, অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমাকে আটকানোর সময় সহপাঠীরা আমাকে মুক্ত করে নেন। কোনো হামলা চালানো হয়নি।”

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, প্রতিবেদন পাওয়ার পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


প্রিন্ট