, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভুল রিপোর্টে স্কুলশিক্ষার্থীর পা হারানোর ঘটনা

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ১৬৫ বার পড়া হয়েছে

পিরোজপুরের নেছারাবাদে হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভুল রিপোর্টের কারণে মো. জিহাদুল ইসলাম (১৪) নামের এক স্কুল শিক্ষার্থী পা হারান। এ ঘটনায় জিহাদের সহপাঠীরা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ঘেরাও করে এবং সেটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। জিহাদের বাবা জানান, ২০ দিন আগে তার ছেলে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে ডান পায়ে ব্যথা পান। চিকিৎসার জন্য তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তার ডান পায়ের গোড়ালি এক্সরে করার জন্য প্রেসক্রিপশন লিখে দেন। কিন্তু ডায়াগনস্টিক সেন্টারে টেকনিশিয়ান ভুলে হাটুর এক্সরে করেন। হাসপাতালের ডাক্তার সে রিপোর্ট অনুযায়ী হাঁটু ব্যান্ডেজ করে দেন। কয়েকদিন পর পায়ে পচন ধরে এবং ঢাকার পিজি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসকরা দেখেন জিহাদের পায়ের গোড়ালির রগ ছিড়ে গিয়েছিল। ভুল রিপোর্টের কারণে ভুল চিকিৎসায় পায়ের ভেতর পচন ধরে এবং শেষ পর্যন্ত পা কেটে ফেলতে হয়। জিহাদের বাবা উপযুক্ত বিচার চান। ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক বলেন, ‘ডাক্তারের দেওয়া প্রেসক্রিপশন দেখে এক্সরে না করায় আমাদের ভুল হয়েছে।’ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সাময়িক বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভুল রিপোর্টে স্কুলশিক্ষার্থীর পা হারানোর ঘটনা

আপডেট সময় ১১:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫

পিরোজপুরের নেছারাবাদে হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভুল রিপোর্টের কারণে মো. জিহাদুল ইসলাম (১৪) নামের এক স্কুল শিক্ষার্থী পা হারান। এ ঘটনায় জিহাদের সহপাঠীরা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ঘেরাও করে এবং সেটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। জিহাদের বাবা জানান, ২০ দিন আগে তার ছেলে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে ডান পায়ে ব্যথা পান। চিকিৎসার জন্য তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তার ডান পায়ের গোড়ালি এক্সরে করার জন্য প্রেসক্রিপশন লিখে দেন। কিন্তু ডায়াগনস্টিক সেন্টারে টেকনিশিয়ান ভুলে হাটুর এক্সরে করেন। হাসপাতালের ডাক্তার সে রিপোর্ট অনুযায়ী হাঁটু ব্যান্ডেজ করে দেন। কয়েকদিন পর পায়ে পচন ধরে এবং ঢাকার পিজি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসকরা দেখেন জিহাদের পায়ের গোড়ালির রগ ছিড়ে গিয়েছিল। ভুল রিপোর্টের কারণে ভুল চিকিৎসায় পায়ের ভেতর পচন ধরে এবং শেষ পর্যন্ত পা কেটে ফেলতে হয়। জিহাদের বাবা উপযুক্ত বিচার চান। ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক বলেন, ‘ডাক্তারের দেওয়া প্রেসক্রিপশন দেখে এক্সরে না করায় আমাদের ভুল হয়েছে।’ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সাময়িক বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।


প্রিন্ট