, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাঁসের কারণে জমি নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ২৫ জন Logo লক্ষ্মীপুরে ২০০ শিশুর জন্য এল ঈদের আনন্দ, পাচ্ছে বিশেষ উপহার Logo গণহত্যার বিচার যদি বিলম্বিত হয়, তাহলে ফ্যাসিবাদ আবার উত্থান ঘটাতে পারে: আখতার Logo স্বর্ণের দাম আবারও ঊর্ধ্বমুখী, ভরির মূল্য কি এখন Logo ‌খোলা-পিকআপে ২০ কিলোমিটার সড়ক ভাড়া ২০০! Logo দাফনের ৭৫ দিন পর বাড়িতে ফিরে এলো কিশোর Logo ‘ডিসেম্বরের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের সমস্যা হবে সমাধান’ Logo ময়মনসিংহে ঈদের বিশেষ জামাতের সময় ও স্থান জানুন Logo ১৩ তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা যুবতীর Logo শিশুর ওপর ধর্ষণের চেষ্টা: অভিযুক্তকে উত্তেজিত জনতার হাতে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে হতে পারে ১০ বছরের জেল, তদন্তে কমিটি

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৭১ বার পড়া হয়েছে

LONDON, ENGLAND - October 14: Tulip Siddiq Labour MP for Hampstead and Kilburn shadow economic secretary to the treasury attends the Fawcett Society Womens Conference on October 14, 2023 in London, England. (Photo by Nicola Tree/Getty Images)

যুক্তরাজ্যের সাবেক সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে দেশটির ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির (এনসিএ) গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। সম্প্রতি বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সঙ্গে ঢাকায় এক গোপন বৈঠকের পর ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

অভিযোগ রয়েছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তির মাধ্যমে টিউলিপ ও তার পরিবারের সদস্যরা ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাৎ করেছেন। এই প্রকল্পের ৯০ শতাংশ ঋণ এসেছে ক্রেমলিন থেকে, এবং দায়িত্বে রয়েছে রাশিয়ান কোম্পানি রোসাটম। এছাড়া, টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে তিনি বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে লন্ডনে বিনামূল্যে ফ্ল্যাট পেয়েছেন। যদি টিউলিপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তবে তার ১০ বছরের জেল হতে পারে। ব্রিটেনের ব্রাইবারি অ্যাক্ট ২০১০ অনুযায়ী, বিদেশে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে ব্রিটেনে মামলা করা সম্ভব এবং সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। এনসিএর কর্মকর্তারা বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছেন, যাতে আন্তর্জাতিক চুক্তির আওতায় টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়। সূত্রের দাবি, এনসিএ শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, বরং যুক্তরাজ্যে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে মামলার জন্যও তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।

এনসিএর বাংলাদেশে এটি দ্বিতীয় সফর। গত বছরের অক্টোবরে প্রথম সফরে সংস্থাটি অন্তর্বর্তী সরকারকে দুর্নীতির তদন্তে সহায়তার প্রস্তাব দেয়। অভিযোগ রয়েছে, শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভার সদস্যরা প্রতি বছর প্রায় ১৩ বিলিয়ন পাউন্ড বিদেশে পাচার করতেন। টিউলিপ সিদ্দিক গত মাসে লেবার পার্টির পদ থেকে পদত্যাগ করেন, যা তার বিরুদ্ধে চলমান তদন্তের কারণে হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। টিউলিপ সিদ্দিক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে আরও অন্তত দুটি ফৌজদারি তদন্ত পরিচালনা করছে দুদক। তবে তিনি এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

লেবার পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘এই অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। টিউলিপ সিদ্দিকের সঙ্গে এ বিষয়ে কেউ যোগাযোগ করেনি এবং তিনি এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন।’ লেবার পার্টির একটি সূত্র জানিয়েছে, এনসিএ বা বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের কেউ এখন পর্যন্ত তার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। এনসিএ ও ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে হতে পারে ১০ বছরের জেল, তদন্তে কমিটি

আপডেট সময় ০৪:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

যুক্তরাজ্যের সাবেক সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে দেশটির ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির (এনসিএ) গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। সম্প্রতি বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সঙ্গে ঢাকায় এক গোপন বৈঠকের পর ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

অভিযোগ রয়েছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তির মাধ্যমে টিউলিপ ও তার পরিবারের সদস্যরা ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাৎ করেছেন। এই প্রকল্পের ৯০ শতাংশ ঋণ এসেছে ক্রেমলিন থেকে, এবং দায়িত্বে রয়েছে রাশিয়ান কোম্পানি রোসাটম। এছাড়া, টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে তিনি বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে লন্ডনে বিনামূল্যে ফ্ল্যাট পেয়েছেন। যদি টিউলিপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তবে তার ১০ বছরের জেল হতে পারে। ব্রিটেনের ব্রাইবারি অ্যাক্ট ২০১০ অনুযায়ী, বিদেশে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে ব্রিটেনে মামলা করা সম্ভব এবং সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। এনসিএর কর্মকর্তারা বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছেন, যাতে আন্তর্জাতিক চুক্তির আওতায় টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়। সূত্রের দাবি, এনসিএ শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, বরং যুক্তরাজ্যে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে মামলার জন্যও তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।

এনসিএর বাংলাদেশে এটি দ্বিতীয় সফর। গত বছরের অক্টোবরে প্রথম সফরে সংস্থাটি অন্তর্বর্তী সরকারকে দুর্নীতির তদন্তে সহায়তার প্রস্তাব দেয়। অভিযোগ রয়েছে, শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভার সদস্যরা প্রতি বছর প্রায় ১৩ বিলিয়ন পাউন্ড বিদেশে পাচার করতেন। টিউলিপ সিদ্দিক গত মাসে লেবার পার্টির পদ থেকে পদত্যাগ করেন, যা তার বিরুদ্ধে চলমান তদন্তের কারণে হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। টিউলিপ সিদ্দিক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে আরও অন্তত দুটি ফৌজদারি তদন্ত পরিচালনা করছে দুদক। তবে তিনি এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

লেবার পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘এই অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। টিউলিপ সিদ্দিকের সঙ্গে এ বিষয়ে কেউ যোগাযোগ করেনি এবং তিনি এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন।’ লেবার পার্টির একটি সূত্র জানিয়েছে, এনসিএ বা বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের কেউ এখন পর্যন্ত তার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। এনসিএ ও ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।


প্রিন্ট