, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাঁসের কারণে জমি নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ২৫ জন Logo লক্ষ্মীপুরে ২০০ শিশুর জন্য এল ঈদের আনন্দ, পাচ্ছে বিশেষ উপহার Logo গণহত্যার বিচার যদি বিলম্বিত হয়, তাহলে ফ্যাসিবাদ আবার উত্থান ঘটাতে পারে: আখতার Logo স্বর্ণের দাম আবারও ঊর্ধ্বমুখী, ভরির মূল্য কি এখন Logo ‌খোলা-পিকআপে ২০ কিলোমিটার সড়ক ভাড়া ২০০! Logo দাফনের ৭৫ দিন পর বাড়িতে ফিরে এলো কিশোর Logo ‘ডিসেম্বরের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের সমস্যা হবে সমাধান’ Logo ময়মনসিংহে ঈদের বিশেষ জামাতের সময় ও স্থান জানুন Logo ১৩ তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা যুবতীর Logo শিশুর ওপর ধর্ষণের চেষ্টা: অভিযুক্তকে উত্তেজিত জনতার হাতে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে স্টারলিংক স্থাপন করেছে নতুন চুক্তি

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
  • / ১৮ বার পড়া হয়েছে

মার্কিন টেলিযোগাযোগ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংকের একটি টিম বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থান করছে, এবং এ সময়ে তারা স্থানীয় কোম্পানির সঙ্গে একটি চুক্তি সম্পন্ন করেছে। এই সহযোগিতার সীমানায় স্থান বরাদ্দ, নির্মাণ সমর্থন ও চলমান অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কয়েকটি বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংকের সঙ্গে যুক্ত হয়ে দেশের মধ্যে গ্রাউন্ড আর্থ স্টেশন স্থাপনে সহায়তা প্রদান করছে। শনিবার (৮ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এই তথ্য জানান। তিনি আরও জানান, স্টারলিংকের দল সফরকালে স্থানীয় কোম্পানিগুলোর কাছে সম্ভাব্য কিছু স্থানের তথ্য উপস্থাপন করে। কিছু স্থানে স্থানীয় কোম্পানি তাদের সম্পত্তি ব্যবহার করে সহায়তা করছে, আবার কিছু স্থানে স্টারলিংক নিজেদের হাইটেক পার্কের জমি ব্যবহার করার বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করছে। বিস্তারিত স্থান ও বাস্তবায়নে আলোচনা চলছে তথ্য দেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

তিনি আশা প্রকাশ করেন যে স্টারলিংক বাংলাদেশের বিভিন্ন শহর, দূরবর্তী অঞ্চল, উত্তরাঞ্চল এবং উপকূলীয় এলাকায় দ্রুত ও নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট প্রদান করবে, যা লোডশেডিং বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ব্যাহত হবে না। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, এই সেবা উন্নতমানের ও নিরবচ্ছিন্ন হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ মানের ফাইবার নেটওয়ার্কের কভারেজ সীমিত এবং দূরবর্তী এলাকায় লোডশেডিংয়ের সমস্যা বিদ্যমান। স্টারলিংকের আগমন উদ্যোক্তা, ফ্রিল্যান্সার, এনজিও ও ছোট ব্যবসায়ীদের দৈনন্দিন কার্যক্রম ও ডিজিটাল অর্থনৈতিক উদ্যোগগুলোকে ত্বরান্বিত করবে। তিনি উল্লেখ করেন যে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে স্টারলিংকের সঙ্গে একটি কার্যকরী মডেল বাস্তবায়নের জন্য কাজ চলতে থাকবে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গত ১৯ ফেব্রুয়ারি স্টারলিংক স্যাটেলাইট সেবা চালুর আমন্ত্রণ জানিয়ে স্পেস-এক্স ও টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফরে আসার প্রস্তাব দেন। তিনি ইলন মাস্ককে জানান যে, সফরের সময় তিনি দেশের যুবকদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাবেন, যারা এই আধুনিক প্রযুক্তির প্রধান উপকারভোগী হবে। প্রধান উপদেষ্টা গত ৯০ কার্যদিবসে স্টারলিংক সেবা চালুর লক্ষ্যে যে পদক্ষেপ নিতে হবে সেসম্পর্কে তার শীর্ষ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমানকে স্পেস-এক্স টিমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার নির্দেশ দেন। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা ও ইলন মাস্কের মধ্যে এক দীর্ঘ ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ভবিষ্যৎ সহযোগিতা এবং বাংলাদেশে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা চালুর অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে স্টারলিংক স্থাপন করেছে নতুন চুক্তি

আপডেট সময় ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

মার্কিন টেলিযোগাযোগ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংকের একটি টিম বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থান করছে, এবং এ সময়ে তারা স্থানীয় কোম্পানির সঙ্গে একটি চুক্তি সম্পন্ন করেছে। এই সহযোগিতার সীমানায় স্থান বরাদ্দ, নির্মাণ সমর্থন ও চলমান অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কয়েকটি বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংকের সঙ্গে যুক্ত হয়ে দেশের মধ্যে গ্রাউন্ড আর্থ স্টেশন স্থাপনে সহায়তা প্রদান করছে। শনিবার (৮ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এই তথ্য জানান। তিনি আরও জানান, স্টারলিংকের দল সফরকালে স্থানীয় কোম্পানিগুলোর কাছে সম্ভাব্য কিছু স্থানের তথ্য উপস্থাপন করে। কিছু স্থানে স্থানীয় কোম্পানি তাদের সম্পত্তি ব্যবহার করে সহায়তা করছে, আবার কিছু স্থানে স্টারলিংক নিজেদের হাইটেক পার্কের জমি ব্যবহার করার বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করছে। বিস্তারিত স্থান ও বাস্তবায়নে আলোচনা চলছে তথ্য দেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

তিনি আশা প্রকাশ করেন যে স্টারলিংক বাংলাদেশের বিভিন্ন শহর, দূরবর্তী অঞ্চল, উত্তরাঞ্চল এবং উপকূলীয় এলাকায় দ্রুত ও নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট প্রদান করবে, যা লোডশেডিং বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ব্যাহত হবে না। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, এই সেবা উন্নতমানের ও নিরবচ্ছিন্ন হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ মানের ফাইবার নেটওয়ার্কের কভারেজ সীমিত এবং দূরবর্তী এলাকায় লোডশেডিংয়ের সমস্যা বিদ্যমান। স্টারলিংকের আগমন উদ্যোক্তা, ফ্রিল্যান্সার, এনজিও ও ছোট ব্যবসায়ীদের দৈনন্দিন কার্যক্রম ও ডিজিটাল অর্থনৈতিক উদ্যোগগুলোকে ত্বরান্বিত করবে। তিনি উল্লেখ করেন যে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে স্টারলিংকের সঙ্গে একটি কার্যকরী মডেল বাস্তবায়নের জন্য কাজ চলতে থাকবে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গত ১৯ ফেব্রুয়ারি স্টারলিংক স্যাটেলাইট সেবা চালুর আমন্ত্রণ জানিয়ে স্পেস-এক্স ও টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফরে আসার প্রস্তাব দেন। তিনি ইলন মাস্ককে জানান যে, সফরের সময় তিনি দেশের যুবকদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাবেন, যারা এই আধুনিক প্রযুক্তির প্রধান উপকারভোগী হবে। প্রধান উপদেষ্টা গত ৯০ কার্যদিবসে স্টারলিংক সেবা চালুর লক্ষ্যে যে পদক্ষেপ নিতে হবে সেসম্পর্কে তার শীর্ষ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমানকে স্পেস-এক্স টিমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার নির্দেশ দেন। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা ও ইলন মাস্কের মধ্যে এক দীর্ঘ ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ভবিষ্যৎ সহযোগিতা এবং বাংলাদেশে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা চালুর অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়।


প্রিন্ট