









ইন্টারনেট খরচ কমানোর জন্য আইনি উদ্যোগ গ্রহণ

- আপডেট সময় ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৭ বার পড়া হয়েছে
গুণগত মানসম্পন্ন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সার্ভিস নিশ্চিত করার জন্য ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) ও ন্যাশন্যাল ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) এর মূল্য পুনর্নির্ধারণ এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের মান নির্ধারণের জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যানসহ ছয়জনকে একটি আইনি নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। এই বিষয়টি মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানিজিলা রহমান জুঁই কর্তৃক মহিউদ্দিন আহমেদের পক্ষে পাঠানো হয়। নোটিশের মাধ্যমে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান, বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী, বিটিআরসির মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খলিল-উর-রহমান, বিটিআরসির মহাপরিচালক আশিস কুমার কুণ্ডু, আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট গেটওয়ে অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (আইআইজিএবি) সভাপতি আমিনুল হাকিম এবং ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, গ্রাহকরা মানসম্পন্ন এবং অন্তত ২০ এমবিপিএস গতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট আশা করেন। সেবার মান নির্ধারণের জন্য আইআইজি ও এনটিটিএনের সেবার দাম কমানো অত্যন্ত প্রয়োজন। কারণ, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ভিত্তি হয় আইআইজি ও এনটিটিএন এবং এই দুই মাধ্যমের মূল্য এবং গুণগত মান পুনর্নির্ধারণ করা জরুরি। নিয়ন্ত্রক কমিশনের মাধ্যমে यदि গ্রাহক পর্যায় ব্রডব্যান্ড সেবার মূল্য কমানো হয়, তবে অর্থনৈতিক সুবিধা হতে পারে, কিন্তু সেবার মান হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
নোটিশে আরও বলা হয়, ২০২১ সালে বিটিআরসি কিছু আইআইজির জন্য ৩৬৫ টাকা ব্যান্ডউইথ রেট নির্ধারণ করেছিল, যেখানে বর্তমানে সব আইআইজি ১৭০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে সেল করছে। একইভাবে ২০২১ সালে এনটিএনের জন্য প্রতি এমবি সর্বনিম্ন ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল, অথচ বর্তমানে তারা ৯ থেকে ১২ টাকার মধ্যে ডাটা ক্যাপাসিটি বিক্রি করছে। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দাম কমছে, কিন্তু বিটিআরসি কিছু অসৎ ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে যা সমস্যাজনক।
নোটিশে দাবি করা হয়েছে, যদি আইআইজি ও এনটিটিএনের মূল্য পুনর্নির্ধারণ করে তাহলে ব্রডব্যান্ড সেবা প্রদানকারীদের সক্ষমতা বাড়বে এবং গ্রাহকদের চাহিদার অনুযায়ী সেবা মান নির্ধারণ সম্ভব হবে। গ্রাহকদের স্বার্থে আইআইজি এবং এনটিটিএনের মূল্য সংশোধন এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের মানের জন্য একটি বেঞ্চমার্ক স্থাপন করা জরুরি। এই বিষয়টি সাত দিনের মধ্যে সমাধান না হলে নোটিশ দাতা উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হবেন বলেও জানানো হয়েছে।
প্রিন্ট