, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

নওগাঁ সীমান্তে বাংলাদেশি নিহত: পতাকা বৈঠকে ৩ দিন পর লাশ দিল বিএসএফ

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫
  • / ১০৯ বার পড়া হয়েছে
নওগাঁর পোরশা উপজেলার নিতপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছেন ইব্রাহিম হোসেন  (৪০) নামে এক বাংলাদেশি যুবক। তিনদিন অস্বীকারের পর অবশেষে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তার মরদেহ ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
শনিবার (৫ জুলাই) রাত ৯টার দিকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহ হস্তান্তর করে বিএসএফ। ইব্রাহিম নওগাঁর সাপাহার উপজেলার রোদগ্রামের বাসিন্দা এবং মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্র ও বিজিবি জানিয়েছে, গত ২ জুলাই দিবাগত রাতে ইব্রাহিম মহিষ আনতে সীমান্ত পার হয়ে ভারতের আগ্রাবাদ এলাকায় প্রবেশ করেন। ফেরার সময়, ভোররাতে ভারতের আগ্রাবাদ বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
গুলিবিদ্ধ ইব্রাহিমের মরদেহ সঙ্গে সঙ্গেই নিয়ে যায় বিএসএফ। পরদিন বিজিবি যখন যোগাযোগ করে, তখন বিএসএফ গুলি চালানোর বিষয়টি অস্বীকার করে।
পরে চিঠিপত্র আদান-প্রদান এবং দফায় দফায় যোগাযোগের পর তিনদিন পর বিএসএফ ঘটনার দায় স্বীকার করে এবং পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহ হস্তান্তর করে।
নওগাঁ-১৬ বিজিবির নিতপুর ক্যাম্প ইনচার্জ সুবেদার মাহফুজুর রহমান বলেন, “প্রথমে বিএসএফ গুলির ঘটনা অস্বীকার করলেও পরে আমরা বারবার যোগাযোগ করায় তারা বিষয়টি মেনে নেয় এবং মরদেহ ফেরত দেয়।”
সাপাহার থানার ওসি আব্দুল আজিজ জানান, “যেহেতু ঘটনা ভারতের ভেতরে, সেখানেই ময়নাতদন্ত হয়। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান ওসি  আব্দুল আজিজ।

প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

নওগাঁ সীমান্তে বাংলাদেশি নিহত: পতাকা বৈঠকে ৩ দিন পর লাশ দিল বিএসএফ

আপডেট সময় ০১:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫
নওগাঁর পোরশা উপজেলার নিতপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছেন ইব্রাহিম হোসেন  (৪০) নামে এক বাংলাদেশি যুবক। তিনদিন অস্বীকারের পর অবশেষে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তার মরদেহ ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
শনিবার (৫ জুলাই) রাত ৯টার দিকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহ হস্তান্তর করে বিএসএফ। ইব্রাহিম নওগাঁর সাপাহার উপজেলার রোদগ্রামের বাসিন্দা এবং মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্র ও বিজিবি জানিয়েছে, গত ২ জুলাই দিবাগত রাতে ইব্রাহিম মহিষ আনতে সীমান্ত পার হয়ে ভারতের আগ্রাবাদ এলাকায় প্রবেশ করেন। ফেরার সময়, ভোররাতে ভারতের আগ্রাবাদ বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
গুলিবিদ্ধ ইব্রাহিমের মরদেহ সঙ্গে সঙ্গেই নিয়ে যায় বিএসএফ। পরদিন বিজিবি যখন যোগাযোগ করে, তখন বিএসএফ গুলি চালানোর বিষয়টি অস্বীকার করে।
পরে চিঠিপত্র আদান-প্রদান এবং দফায় দফায় যোগাযোগের পর তিনদিন পর বিএসএফ ঘটনার দায় স্বীকার করে এবং পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহ হস্তান্তর করে।
নওগাঁ-১৬ বিজিবির নিতপুর ক্যাম্প ইনচার্জ সুবেদার মাহফুজুর রহমান বলেন, “প্রথমে বিএসএফ গুলির ঘটনা অস্বীকার করলেও পরে আমরা বারবার যোগাযোগ করায় তারা বিষয়টি মেনে নেয় এবং মরদেহ ফেরত দেয়।”
সাপাহার থানার ওসি আব্দুল আজিজ জানান, “যেহেতু ঘটনা ভারতের ভেতরে, সেখানেই ময়নাতদন্ত হয়। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান ওসি  আব্দুল আজিজ।

প্রিন্ট