, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo নওগাঁয় ভুয়া পুলিশ চক্রের ৪জন গ্রেপ্তার Logo জামায়াতের আমিরের সঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ Logo নওগাঁয় ব্যতিক্রমীভাবে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ ও মৎস্যজীবী সমাবেশ নৌকাবাইচ ও হাঁস খেলা Logo আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা: নওগাঁয় প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্টিত জেলায় এ বছর ৮৮১টি মন্ডপে শারদ উৎসব পালিত হবে Logo নওগাঁয় সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন Logo এ বিজয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর Logo জাবিতে দলীয় লেজুড়বৃত্তির রাজনৈতিক চর্চা বন্ধ করব Logo জাবিতে দলীয় লেজুড়বৃত্তির রাজনৈতিক চর্চা বন্ধ করব Logo এ বিজয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর Logo জাবিতে দলীয় লেজুড়বৃত্তির রাজনৈতিক চর্চা বন্ধ করব
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

নওগাঁয় বৃদ্ধা মাকে বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়ায় একমাত্র ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
  • / ৮৭ বার পড়া হয়েছে
নিজের বাড়িতে  বৃদ্ধা মাকে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় একমাত্র ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃদ্ধা মায়ের মুখের ওপর ছেলে বলেন, ‘তুই তো দুই আনার মালিক রাস্তায় গিয়ে থাক’। এ অবস্থায় বেলা ১১ টা থেকে সন্ধ্যা লগ্ন ছয়টা পর্যন্ত স্বামীর বাড়ির গেটে ছয় ঘন্টা অপেক্ষার থানায় গিয়ে ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন মা বিলকিস আক্তার (৭০)।  
এই ঘটনাটি নওগাঁ শহরের কাজীর মোড়ের। বৃদ্ধা বিলকিস আক্তারের অভিযোগ, সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে তার একমাত্র ছেলে মোস্তাফিজুল ইসলাম সৌরভ তাকে বাড়িতে ঢুকতে দেননি। । তাঁর এক ছেলে ও দুই মেয়ে। ছোট মেয়ে কানাডায় থাকেন। শহরের কাজীর মোড়ে বিলকিস আক্তারের স্বামী নিজের ১০ শতক জমির ওপর প্রায় ৩০ বছর আগে দোতলা বাড়িটি নির্মাণ করেন। ওই বাড়ির দোতলার একটি ফ্লাটে তিনি বসবাস করে আসছিলেন।
২০২১ সালে স্বামীর মৃত্যুর পর বসতবাড়ি ও জায়গা জমি নিয়ে ছেলে মোস্তাফিজুল ইসলামের সঙ্গে মা বিলকিস আক্তারের বিরোধ সৃষ্টি হয়। স্বামীর মৃত্যুর পর আইন অনুযায়ী বিলকিস আক্তার ও তাঁর তিন সন্তান বসতবাড়ির অংশীদার হন। কিন্তু মোস্তাফিজুল ইসলাম বসতবাড়ির পুরো সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে তার মা ও বোনদের তাদের অংশের জমি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। কিন্তু মা ও বোনেরা তাকে বসতবাড়ির জমি লিখে দিতে রাজি না হওয়ায় পারিবারিক বিরোধ দেখা দেয়। ছেলের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বিলকিস আক্তার ২০২১ সাল থেকে অধিকাংশ সময় নওগাঁ শহরেই বড় মেয়ের বাড়িতে থাকছেন।  সোমবার বেলা ১১ টার দিকে নিজের বাড়ির  দোতলার ফ্ল্যাটে ঢুকতে গিয়ে সিঁড়ির মুখে লোহার কাচি গেইট এবং সেখানে তালা মারা দেখতে পান। তালা মারার বিষয়টি ছেলেকে মোস্তাফিজুলকে জানালে তিনি সাফ জানিয়ে দেন তাকে বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়ার জন্য গেটে তালা ঝুলিয়েছেন।
এদিকে, বাড়িতে ঢুকতে না-পেরে বাড়ির নিচতলায় দিনভর গ্যারেজে বসেছিলেন। এসময় সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে সবিস্তরে ঘটনা তুলে ধরেন বিলকিস আক্তার।
 তিনি আরো বলেন, “স্বামীর মৃত্যুর তার একমাত্র ছেলে তার দেখাশোনা করেন না। বোনদের সাথেও ওই ছেলে  দূর্ব্যাবহার করে। ছেলে বসতবাড়িরসহ সকল সম্পত্তি লিখে নিতে চায়। তাতে রাজি না হওয়ায় বিরোধ শুরু করে। ছেলের সাথে বনিবনা না হওয়ায় স্বামীর মৃত্যুর পর বড় মেয়ের বাড়িতেই থাকতে হচ্ছে।
বিলকিস আক্তার বলেন,  স্বামীর সাথে হাতে হাতরেখে তারা বাড়িটি তৈরি করেছেন। এটা তাঁর স্বামীর স্মৃতি। জীবনের বাকিটা সময় এই বাড়িতেই কাটাতে চান। এই বাড়িতে তাঁর মালিকানা কম বলে ছেলে এর আগেও কটাক্ষ করেছে। মেয়েরা অপমান সইতে না পেরে তাদের অংশ আমাকে লিখে দিয়েছে। এই বাড়িতে কাগজে-কলমে আমার অংশই বেশি। নয় আনা। কিন্তু আমার ছেলে পুরো সম্পত্তি হাত করার জন্য আমাকে বাড়িতে ঢুকতে দিতে চায় না।’
বিলকিস আক্তারের বড় মেয়ের স্বামী ডা. আবুজার গাফফার বলেন, আমার শ্যালক এর আগেও শ্বাশুড়িকে  নির্যাতন করেছে। এমনকি গায়ে হাতও তুলেছে। এটা নিয়ে মামলাও রয়েছে আমার শ্যালকের মধ্যে মানবতা বলে কিছু নেই। নিজের মাকে বলে, তুই দুই আনার মালিক, তুই গিয়ে পাথারে থাক। এই কথা শুনে ২০২৩ সালে আমার স্ত্রী ও শালিকা বসতবাড়ির তাদের অংশের জমি মায়ের নামে লিখে দিয়েছে। কাগজে-কলমে আমার শ্বাশুড়ি এখন বসতবাড়ির প্রায় ৭০ শতাংশের মালিক। অথচ তাকেই এখন বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে ।’
মাকে বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ স্বীকার করে ছেলে মোস্তাফিজুল ইসলামের দাবি, ‘বসতবাড়ি নিয়ে পারিবারিক কলহের  পর থেকে তাঁর মা বড় বোনের বাসায় আছেন। বসত বাড়ি নিয়ে আদালতে মামলা বিচার দিন রয়েছে। এখন আমার বাসায় আসতে হলে তাকে আদালতের মাধ্যমে আসতে হবে। তাই তাকে বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছি না।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে ওই বাড়িতে যান স্থানীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা। এসময় মানবাধিকার সদস্যদের সামনেই বৃদ্ধা বিলকিস আক্তারকে মোস্তাফিজুল ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার  চেষ্টা করেন এবং মায়ের পক্ষ নিয়ে কথা বলার কারনে কয়েকজনকে মারধোর করেন। এসময় মানবাধিকার কমিশনের নওগাঁ ইউনিটের সমন্বয় চন্দন দেব বলেন, বিধবা  বিলকিস আক্তার চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হচ্ছেন। বিষয়টি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দরকার। মানবাধিকার কর্মি নাইস পারভীন বলেন, সন্তান হিসেবে মায়ের দ্বায়িত্ব পালন না করা, বাড়িতে  ঢুকতে না দেয়া ঘটনায় মোস্তাফিজুল ইসলাম চরম অন্যায় করেছেন।
এদিকে সন্ধ্যায় বৃদ্ধা বিলকিস আক্তার নওগাঁ সদর থানায় গিয়ে একটি লিখিত এজাহর দায়ের করেছেন। রাতে থানায় থাকা অবস্থায় ছেলে মুস্তাফিজুর রহমান সোহাগ মা বিলকিস আক্তারের সাথে দুর্ব্যবহার ও হুগলি প্রদান করলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নওগাঁ সদর সার্কেল মুশফিকুর রহমান জানান, মায়ের দায়ের করা মামলা ও থানায় পুলিশের উপস্থিতিতে মা বিলকিস আক্তার কে হুমকি ও তার সাথে দুর্ব্যবহার  করায় ছেলে মুস্তাফিজুর রহমান সোহাগ কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

নওগাঁয় বৃদ্ধা মাকে বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়ায় একমাত্র ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

আপডেট সময় ০৪:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
নিজের বাড়িতে  বৃদ্ধা মাকে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় একমাত্র ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃদ্ধা মায়ের মুখের ওপর ছেলে বলেন, ‘তুই তো দুই আনার মালিক রাস্তায় গিয়ে থাক’। এ অবস্থায় বেলা ১১ টা থেকে সন্ধ্যা লগ্ন ছয়টা পর্যন্ত স্বামীর বাড়ির গেটে ছয় ঘন্টা অপেক্ষার থানায় গিয়ে ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন মা বিলকিস আক্তার (৭০)।  
এই ঘটনাটি নওগাঁ শহরের কাজীর মোড়ের। বৃদ্ধা বিলকিস আক্তারের অভিযোগ, সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে তার একমাত্র ছেলে মোস্তাফিজুল ইসলাম সৌরভ তাকে বাড়িতে ঢুকতে দেননি। । তাঁর এক ছেলে ও দুই মেয়ে। ছোট মেয়ে কানাডায় থাকেন। শহরের কাজীর মোড়ে বিলকিস আক্তারের স্বামী নিজের ১০ শতক জমির ওপর প্রায় ৩০ বছর আগে দোতলা বাড়িটি নির্মাণ করেন। ওই বাড়ির দোতলার একটি ফ্লাটে তিনি বসবাস করে আসছিলেন।
২০২১ সালে স্বামীর মৃত্যুর পর বসতবাড়ি ও জায়গা জমি নিয়ে ছেলে মোস্তাফিজুল ইসলামের সঙ্গে মা বিলকিস আক্তারের বিরোধ সৃষ্টি হয়। স্বামীর মৃত্যুর পর আইন অনুযায়ী বিলকিস আক্তার ও তাঁর তিন সন্তান বসতবাড়ির অংশীদার হন। কিন্তু মোস্তাফিজুল ইসলাম বসতবাড়ির পুরো সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে তার মা ও বোনদের তাদের অংশের জমি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। কিন্তু মা ও বোনেরা তাকে বসতবাড়ির জমি লিখে দিতে রাজি না হওয়ায় পারিবারিক বিরোধ দেখা দেয়। ছেলের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বিলকিস আক্তার ২০২১ সাল থেকে অধিকাংশ সময় নওগাঁ শহরেই বড় মেয়ের বাড়িতে থাকছেন।  সোমবার বেলা ১১ টার দিকে নিজের বাড়ির  দোতলার ফ্ল্যাটে ঢুকতে গিয়ে সিঁড়ির মুখে লোহার কাচি গেইট এবং সেখানে তালা মারা দেখতে পান। তালা মারার বিষয়টি ছেলেকে মোস্তাফিজুলকে জানালে তিনি সাফ জানিয়ে দেন তাকে বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়ার জন্য গেটে তালা ঝুলিয়েছেন।
এদিকে, বাড়িতে ঢুকতে না-পেরে বাড়ির নিচতলায় দিনভর গ্যারেজে বসেছিলেন। এসময় সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে সবিস্তরে ঘটনা তুলে ধরেন বিলকিস আক্তার।
 তিনি আরো বলেন, “স্বামীর মৃত্যুর তার একমাত্র ছেলে তার দেখাশোনা করেন না। বোনদের সাথেও ওই ছেলে  দূর্ব্যাবহার করে। ছেলে বসতবাড়িরসহ সকল সম্পত্তি লিখে নিতে চায়। তাতে রাজি না হওয়ায় বিরোধ শুরু করে। ছেলের সাথে বনিবনা না হওয়ায় স্বামীর মৃত্যুর পর বড় মেয়ের বাড়িতেই থাকতে হচ্ছে।
বিলকিস আক্তার বলেন,  স্বামীর সাথে হাতে হাতরেখে তারা বাড়িটি তৈরি করেছেন। এটা তাঁর স্বামীর স্মৃতি। জীবনের বাকিটা সময় এই বাড়িতেই কাটাতে চান। এই বাড়িতে তাঁর মালিকানা কম বলে ছেলে এর আগেও কটাক্ষ করেছে। মেয়েরা অপমান সইতে না পেরে তাদের অংশ আমাকে লিখে দিয়েছে। এই বাড়িতে কাগজে-কলমে আমার অংশই বেশি। নয় আনা। কিন্তু আমার ছেলে পুরো সম্পত্তি হাত করার জন্য আমাকে বাড়িতে ঢুকতে দিতে চায় না।’
বিলকিস আক্তারের বড় মেয়ের স্বামী ডা. আবুজার গাফফার বলেন, আমার শ্যালক এর আগেও শ্বাশুড়িকে  নির্যাতন করেছে। এমনকি গায়ে হাতও তুলেছে। এটা নিয়ে মামলাও রয়েছে আমার শ্যালকের মধ্যে মানবতা বলে কিছু নেই। নিজের মাকে বলে, তুই দুই আনার মালিক, তুই গিয়ে পাথারে থাক। এই কথা শুনে ২০২৩ সালে আমার স্ত্রী ও শালিকা বসতবাড়ির তাদের অংশের জমি মায়ের নামে লিখে দিয়েছে। কাগজে-কলমে আমার শ্বাশুড়ি এখন বসতবাড়ির প্রায় ৭০ শতাংশের মালিক। অথচ তাকেই এখন বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে ।’
মাকে বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ স্বীকার করে ছেলে মোস্তাফিজুল ইসলামের দাবি, ‘বসতবাড়ি নিয়ে পারিবারিক কলহের  পর থেকে তাঁর মা বড় বোনের বাসায় আছেন। বসত বাড়ি নিয়ে আদালতে মামলা বিচার দিন রয়েছে। এখন আমার বাসায় আসতে হলে তাকে আদালতের মাধ্যমে আসতে হবে। তাই তাকে বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছি না।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে ওই বাড়িতে যান স্থানীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা। এসময় মানবাধিকার সদস্যদের সামনেই বৃদ্ধা বিলকিস আক্তারকে মোস্তাফিজুল ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার  চেষ্টা করেন এবং মায়ের পক্ষ নিয়ে কথা বলার কারনে কয়েকজনকে মারধোর করেন। এসময় মানবাধিকার কমিশনের নওগাঁ ইউনিটের সমন্বয় চন্দন দেব বলেন, বিধবা  বিলকিস আক্তার চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হচ্ছেন। বিষয়টি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দরকার। মানবাধিকার কর্মি নাইস পারভীন বলেন, সন্তান হিসেবে মায়ের দ্বায়িত্ব পালন না করা, বাড়িতে  ঢুকতে না দেয়া ঘটনায় মোস্তাফিজুল ইসলাম চরম অন্যায় করেছেন।
এদিকে সন্ধ্যায় বৃদ্ধা বিলকিস আক্তার নওগাঁ সদর থানায় গিয়ে একটি লিখিত এজাহর দায়ের করেছেন। রাতে থানায় থাকা অবস্থায় ছেলে মুস্তাফিজুর রহমান সোহাগ মা বিলকিস আক্তারের সাথে দুর্ব্যবহার ও হুগলি প্রদান করলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নওগাঁ সদর সার্কেল মুশফিকুর রহমান জানান, মায়ের দায়ের করা মামলা ও থানায় পুলিশের উপস্থিতিতে মা বিলকিস আক্তার কে হুমকি ও তার সাথে দুর্ব্যবহার  করায় ছেলে মুস্তাফিজুর রহমান সোহাগ কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রিন্ট