









জাবিতে দলীয় লেজুড়বৃত্তির রাজনৈতিক চর্চা বন্ধ করব

- আপডেট সময় ০৪:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ১৬ বার পড়া হয়েছে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) দলের লেজুড়বৃত্তি ভিত্তিক রাজনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধ করার অঙ্গীকার করেছেন স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে নির্বাচিত নবনির্বাচিত সহ-সভাপতি (ভিপি) আব্দুর রশিদ জিতু। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ফলাফল ঘোষণার পর তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং এ অঙ্গীকার করেন। জিতু বলেন, “আমরা লক্ষ্য করেছি যে দলের লেজুড়বৃত্তি ভিত্তিক রাজনীতি শিক্ষার্থীদের একাডেমিক জীবনকে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। শিক্ষার্থীদের জন্য একটি পুরোপুরি নিরাপদ ও শিক্ষাবান্ধব ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে আমরা যথাযথভাবে কাজ করে যাব, ইনশাআল্লাহ।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের একটি যৌক্তিক দাবি ছিল, যা থেকে আমরা বঞ্চিত ছিলাম। ৫ আগস্টের পর আমরা সেই অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য রাস্তায় নেমেছিলাম। এখন আমি মনে করি জাকসুর অফিসিয়াল ফলাফল ঘোষণার মাধ্যমে আমরা আমাদের সেই অধিকার ফিরে পেয়েছি। জাকসুর নেতা বা ভিপি হওয়ার আমাদের কোনো ইচ্ছা ছিল না; আমাদের লক্ষ্য ছিল শিক্ষার্থীদের ৩৩ বছর ধরে হারানো অধিকার পুনরুদ্ধার করা।”
জিতু উল্লেখ করেন, “জাকসুর বাস্তবায়নের জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রাম করেছি। ২০১৩ সালে জাকসু হওয়ার পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু সেসময়ের সরকার তা বাস্তবায়নে বাধা দেয়। ২০১৯ সালে ডাকসু নির্বাচনের সময়ও জাকসুর নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তখনও সরকার অনুমতি দেয়নি।”
নির্বাচনের পরবর্তী পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, “বিভিন্ন প্যানেল থেকে নির্বাচিত সদস্যরা এখানে রয়েছেন। ইসলামী ছাত্রশিবির ২৫টি পদের মধ্যে সর্বাধিক পদে জয়ী হয়েছে। আমার প্রথম কাজ হবে সকল নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে দল-মত নির্বিশেষে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা।”
ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, স্বতন্ত্র প্যানেলের আব্দুর রশিদ জিতু ৩৩৩৪ ভোট পেয়ে ভিপি পদে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের আরিফ উল্লাহ পেয়েছেন ২৩৯২ ভোট। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ সমর্থিত শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরামের আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল পেয়েছেন ১২১১ ভোট, এবং ছাত্রদলের মো. শেখ সাদি হাসান পেয়েছেন ৬৪৮ ভোট। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের মো. মাজহারুল ইসলাম ৩৯৩০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ সমর্থিত আবু তৌহিদ মো. সিয়াম পেয়েছেন ১২৩৮ ভোট। ছাত্রদলের তানজিলা হোসাইন বৈশাখী পেয়েছেন ৯৪১ ভোট। ফলাফল ঘোষণার অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান, সদস্য সচিব অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম, এবং সদস্য লুৎফুল এলাহীসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রিন্ট