, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo নওগাঁয় ভুয়া পুলিশ চক্রের ৪জন গ্রেপ্তার Logo জামায়াতের আমিরের সঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ Logo নওগাঁয় ব্যতিক্রমীভাবে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ ও মৎস্যজীবী সমাবেশ নৌকাবাইচ ও হাঁস খেলা Logo আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা: নওগাঁয় প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্টিত জেলায় এ বছর ৮৮১টি মন্ডপে শারদ উৎসব পালিত হবে Logo নওগাঁয় সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন Logo এ বিজয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর Logo জাবিতে দলীয় লেজুড়বৃত্তির রাজনৈতিক চর্চা বন্ধ করব Logo জাবিতে দলীয় লেজুড়বৃত্তির রাজনৈতিক চর্চা বন্ধ করব Logo এ বিজয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর Logo জাবিতে দলীয় লেজুড়বৃত্তির রাজনৈতিক চর্চা বন্ধ করব
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

মনুষ্যত্ব অর্জন, পশুত্ব বর্জনই হোক আমাদের অঙ্গীকার: তারেক রহমান

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ২১ বার পড়া হয়েছে

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানিয়েছেন, দীর্ঘ ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে নাগরিক হিসেবে সকল গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক অধিকার হারানোর ফলে অনেকের মধ্যে একটি অসহিষ্ণুতা তৈরি হয়েছে। এই অসহিষ্ণুতা কাটিয়ে ওঠার জন্য আমাদের মানবিক স্বরূপ অর্জন এবং পশুত্ব ত্যাগ করার অঙ্গীকার করতে হবে। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘প্রাণী ও প্রাণের মিলন মেলা’ শীর্ষক প্রদর্শনীতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন। এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।

তারেক রহমান বলেন, যখন মানুষ প্রাণীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে তাদের নিরাপদ আবাস নিশ্চিত করে, তখন সেটি মানব সমাজের উন্নত নৈতিকতার পরিচায়ক। তাই মানুষের উচিত প্রাণীদের রক্ষার মাধ্যমে নিজেদের প্রয়োজন মেটানো এবং তাদের আবাসস্থল সুরক্ষিত রাখা। তিনি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন, গণতন্ত্রের সঙ্গে মানুষের অধিকার এবং বাস্তুতন্ত্রের সঙ্গে পশুপাখির অধিকার অঙ্গাঙ্গিভাবে সম্পর্কিত। যদি রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে গণতন্ত্র এবং শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠিত থাকে, তাহলে বাস্তুতন্ত্রও নিরাপদ থাকবে।

এ সময় তিনি ‘প্রাণ বাঁচাও, প্রাণী বাঁচাও, দেশ হোক সব প্রাণের নিরাপদ আশ্রয়স্থল’ এই স্লোগান দেন। প্রাণিকুলের গুরুত্ব তুলে ধরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ব্যাঙ এডিস মশার লার্ভা খেয়ে মশার বিস্তার রোধে সহায়তা করে। এটি একটি প্রাকৃতিক পদ্ধতি। তাই শহর ও নগরে ব্যাঙের নিরাপদ আবাসস্থল গড়ে তোলা প্রয়োজন।

আন্তর্জাতিক সংস্থার জরিপের তথ্য উল্লেখ করে তিনি জানান, দেশে ১,৬০০’র বেশি প্রাণী প্রজাতি ছিল, এর মধ্যে প্রায় ৩০০ প্রজাতি বিলুপ্তির পথে। এই সমস্যা শুধু বাংলাদেশেই নয়, বরং বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশে মানুষের সৃষ্টি করা পরিস্থিতির কারণে অনেক প্রজাতির অস্তিত্ব সংকটাপন্ন। আশির দশকে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল প্রায় ৪০০, কিন্তু বর্তমানে তা কমে একশ’র কাছাকাছি দাঁড়িয়েছে। হাতির সংখ্যাও এখন ২০০’র নিচে নেমে এসেছে।

তিনি বলেন, প্রাণীকল্যাণ আইন ২০১৯, বন্যপ্রাণীর সংরক্ষণ নিরাপত্তা আইন এবং পরিবেশ উন্নয়ন আইনসহ দেশের বিভিন্ন আইন রয়েছে। ইনশাআল্লাহ, জনগণের সমর্থন পেলে বিএনপি এসব আইনকে সময়োপযোগী করবে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার-এর আহ্বায়ক চিত্রনায়ক আদনান আজাদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা আবদুল হাই শিকদার, বিএনপির কোষাধ্যক্ষ রশিদুজ্জামান মিল্লাত, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মনোয়ার হোসেন তুহিন এবং বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল খানসহ আরও অনেকে।


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

মনুষ্যত্ব অর্জন, পশুত্ব বর্জনই হোক আমাদের অঙ্গীকার: তারেক রহমান

আপডেট সময় ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানিয়েছেন, দীর্ঘ ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে নাগরিক হিসেবে সকল গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক অধিকার হারানোর ফলে অনেকের মধ্যে একটি অসহিষ্ণুতা তৈরি হয়েছে। এই অসহিষ্ণুতা কাটিয়ে ওঠার জন্য আমাদের মানবিক স্বরূপ অর্জন এবং পশুত্ব ত্যাগ করার অঙ্গীকার করতে হবে। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘প্রাণী ও প্রাণের মিলন মেলা’ শীর্ষক প্রদর্শনীতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন। এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।

তারেক রহমান বলেন, যখন মানুষ প্রাণীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে তাদের নিরাপদ আবাস নিশ্চিত করে, তখন সেটি মানব সমাজের উন্নত নৈতিকতার পরিচায়ক। তাই মানুষের উচিত প্রাণীদের রক্ষার মাধ্যমে নিজেদের প্রয়োজন মেটানো এবং তাদের আবাসস্থল সুরক্ষিত রাখা। তিনি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন, গণতন্ত্রের সঙ্গে মানুষের অধিকার এবং বাস্তুতন্ত্রের সঙ্গে পশুপাখির অধিকার অঙ্গাঙ্গিভাবে সম্পর্কিত। যদি রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে গণতন্ত্র এবং শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠিত থাকে, তাহলে বাস্তুতন্ত্রও নিরাপদ থাকবে।

এ সময় তিনি ‘প্রাণ বাঁচাও, প্রাণী বাঁচাও, দেশ হোক সব প্রাণের নিরাপদ আশ্রয়স্থল’ এই স্লোগান দেন। প্রাণিকুলের গুরুত্ব তুলে ধরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ব্যাঙ এডিস মশার লার্ভা খেয়ে মশার বিস্তার রোধে সহায়তা করে। এটি একটি প্রাকৃতিক পদ্ধতি। তাই শহর ও নগরে ব্যাঙের নিরাপদ আবাসস্থল গড়ে তোলা প্রয়োজন।

আন্তর্জাতিক সংস্থার জরিপের তথ্য উল্লেখ করে তিনি জানান, দেশে ১,৬০০’র বেশি প্রাণী প্রজাতি ছিল, এর মধ্যে প্রায় ৩০০ প্রজাতি বিলুপ্তির পথে। এই সমস্যা শুধু বাংলাদেশেই নয়, বরং বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশে মানুষের সৃষ্টি করা পরিস্থিতির কারণে অনেক প্রজাতির অস্তিত্ব সংকটাপন্ন। আশির দশকে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল প্রায় ৪০০, কিন্তু বর্তমানে তা কমে একশ’র কাছাকাছি দাঁড়িয়েছে। হাতির সংখ্যাও এখন ২০০’র নিচে নেমে এসেছে।

তিনি বলেন, প্রাণীকল্যাণ আইন ২০১৯, বন্যপ্রাণীর সংরক্ষণ নিরাপত্তা আইন এবং পরিবেশ উন্নয়ন আইনসহ দেশের বিভিন্ন আইন রয়েছে। ইনশাআল্লাহ, জনগণের সমর্থন পেলে বিএনপি এসব আইনকে সময়োপযোগী করবে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার-এর আহ্বায়ক চিত্রনায়ক আদনান আজাদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা আবদুল হাই শিকদার, বিএনপির কোষাধ্যক্ষ রশিদুজ্জামান মিল্লাত, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মনোয়ার হোসেন তুহিন এবং বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল খানসহ আরও অনেকে।


প্রিন্ট