, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo নওগাঁয় গরুবোঝাই ভটভটি উল্টে দুই ব্যবসায়ী নিহত Logo সব দলকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলের Logo ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে এনসিপি Logo আগামী নির্বাচনে আ.লীগ ও জাতীয় পার্টির অংশগ্রহণের সুযোগ নেই: আখতার Logo নওগাঁয় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই বন্ধু নিহত, আহত চারজন Logo নওগাঁয় ৭০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে মার্কেট বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা Logo নওগাঁয় ইলা মিত্রের জন্মশতবার্ষিকীতে কৃষক, আদিবাসী ও নারী সমাবেশ Logo নওগাঁয় লালন সাঁইয়ের ১৩৫তম তিরোধান দিবস উদযাপিত Logo পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় নওগাঁয় বৃক্ষরোপণ Logo তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে  নওগাঁ-৫ আসনের জনতার এমপি ধলূ  লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

তখন তো জানতাম না আমাকের বর্ডার ক্রস করানো হচ্ছে

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৩৫ বার পড়া হয়েছে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, যখন আমাকে সীমান্ত পার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন আমি বুঝতে পারিনি আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে। আমি কেবল জানতাম, হয়তো বা আমাকে ক্রসফায়ার করবে বা জঙ্গলের মধ্যে ফেলে দেবে। শনিবার (১১ অক্টোবর) সিলেটে গুম বিষয়ক একটি তথ্যচিত্রের শ্যুটিংয়ের সময় তিনি এই স্মৃতি তুলে ধরেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে গুম-খুনের বিষয়টি নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি তৈরির কাজ চলছিল, যেখানে তিনি অংশ নেন। সেই ডকুমেন্টারির শ্যুটিংয়ে অংশ নিতে তিনি তামাবিল সীমান্তে যান। সকালে তিনি সেখানে পৌঁছে বলেন, যখন আমাকে এইখান থেকে অন্য দেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তখন মনে হয়েছিল হয়তো এই পথে হবে। হাত-পা ও চোখ বাঁধা অবস্থায় তারা আমাকে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে স্থানীয় মানুষ ও পুলিশ আসার পর বুঝতে পারি আমি শিলংয়ে আছি। তিনি আরও জানান, তখন যখন তাকে মেন্টাল হসপিটালে নেওয়া হয়, তখন মনে হয়েছিল যেন পাগলের মতো বাকি জীবন কাটাতে হবে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের গুমবিষয়ক তথ্যচিত্রের শ্যুটিংয়ের জন্য তিনি সিলেটে আসেন। শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার ফ্লাইটে সিলেটে পৌঁছে তিনি তামাবিল সীমান্তের ওই স্থানটি পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি গণমাধ্যমের সামনে এসব কথা বলেন। ২০১৫ সালের ১০ মার্চ গুম হওয়ার ৬৩ দিন পর সালাহউদ্দিন আহমদ শিলংয়ে পাওয়া যায়। আইনি জটিলতা ও মামলার কারণে তিনি সেখানে প্রায় নয় বছর ছিলেন। দেশে ফেরার পথ খোলা হয় ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট, যখন আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর। ১১ আগস্ট তিনি দেশে ফেরেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গুমের ঘটনা তদন্তে হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি কমিশন গঠন করা হয়। দেশে ফেরার দশ মাস পরে, ৩ জুন, সালাহউদ্দিন আহমদ গুমের অভিযোগ দাখিল করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে। সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করেন। সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, সালাহউদ্দিন আহমদ কোনও দলীয় কর্মসূচির অংশ নন, বরং গুমের ঘটনা সম্পর্কে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও গুম কমিশনের উদ্যোগে তৈরি হওয়া তথ্যচিত্রের শ্যুটিংয়ে অংশ নিতে এসেছেন। তিনি ২০১৫ সালে গুমের সময়ের কথা স্মরণ করে বলেন, তাকে চোখ বেঁধে কাদামাটি দিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। একপর্যায়ে তাকে সিঁড়ি বেয়ে উঠিয়ে একটি উঁচু বাড়িতে রাখা হয়। সেখানে ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা ইংরেজি ও হিন্দি ভাষায় কথা বলেছিলেন। তিনি এসব বিষয়ে বিস্তারিত শেয়ার করেন। সকালে বিমানবন্দরে সালাহউদ্দিন আহমদকে স্বাগত জানান বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সদস্য আবুল কাহের শামীম, সিলেট বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমেদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতা এম এ মালিক ও কামরুল হাসান চৌধুরী শাহীন। সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, আওয়ামী সরকারের সময়ে সিলেটের তামাবিল সীমান্তে গুমের ঘটনা নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি শ্যুটিংয়ে তিনি সিলেটে এসেছিলেন। রাতে তিনি বিমানযোগে ঢাকায় ফিরে যান।


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

তখন তো জানতাম না আমাকের বর্ডার ক্রস করানো হচ্ছে

আপডেট সময় ১০:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, যখন আমাকে সীমান্ত পার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন আমি বুঝতে পারিনি আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে। আমি কেবল জানতাম, হয়তো বা আমাকে ক্রসফায়ার করবে বা জঙ্গলের মধ্যে ফেলে দেবে। শনিবার (১১ অক্টোবর) সিলেটে গুম বিষয়ক একটি তথ্যচিত্রের শ্যুটিংয়ের সময় তিনি এই স্মৃতি তুলে ধরেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে গুম-খুনের বিষয়টি নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি তৈরির কাজ চলছিল, যেখানে তিনি অংশ নেন। সেই ডকুমেন্টারির শ্যুটিংয়ে অংশ নিতে তিনি তামাবিল সীমান্তে যান। সকালে তিনি সেখানে পৌঁছে বলেন, যখন আমাকে এইখান থেকে অন্য দেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তখন মনে হয়েছিল হয়তো এই পথে হবে। হাত-পা ও চোখ বাঁধা অবস্থায় তারা আমাকে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে স্থানীয় মানুষ ও পুলিশ আসার পর বুঝতে পারি আমি শিলংয়ে আছি। তিনি আরও জানান, তখন যখন তাকে মেন্টাল হসপিটালে নেওয়া হয়, তখন মনে হয়েছিল যেন পাগলের মতো বাকি জীবন কাটাতে হবে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের গুমবিষয়ক তথ্যচিত্রের শ্যুটিংয়ের জন্য তিনি সিলেটে আসেন। শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার ফ্লাইটে সিলেটে পৌঁছে তিনি তামাবিল সীমান্তের ওই স্থানটি পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি গণমাধ্যমের সামনে এসব কথা বলেন। ২০১৫ সালের ১০ মার্চ গুম হওয়ার ৬৩ দিন পর সালাহউদ্দিন আহমদ শিলংয়ে পাওয়া যায়। আইনি জটিলতা ও মামলার কারণে তিনি সেখানে প্রায় নয় বছর ছিলেন। দেশে ফেরার পথ খোলা হয় ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট, যখন আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর। ১১ আগস্ট তিনি দেশে ফেরেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গুমের ঘটনা তদন্তে হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি কমিশন গঠন করা হয়। দেশে ফেরার দশ মাস পরে, ৩ জুন, সালাহউদ্দিন আহমদ গুমের অভিযোগ দাখিল করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে। সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করেন। সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, সালাহউদ্দিন আহমদ কোনও দলীয় কর্মসূচির অংশ নন, বরং গুমের ঘটনা সম্পর্কে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও গুম কমিশনের উদ্যোগে তৈরি হওয়া তথ্যচিত্রের শ্যুটিংয়ে অংশ নিতে এসেছেন। তিনি ২০১৫ সালে গুমের সময়ের কথা স্মরণ করে বলেন, তাকে চোখ বেঁধে কাদামাটি দিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। একপর্যায়ে তাকে সিঁড়ি বেয়ে উঠিয়ে একটি উঁচু বাড়িতে রাখা হয়। সেখানে ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা ইংরেজি ও হিন্দি ভাষায় কথা বলেছিলেন। তিনি এসব বিষয়ে বিস্তারিত শেয়ার করেন। সকালে বিমানবন্দরে সালাহউদ্দিন আহমদকে স্বাগত জানান বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সদস্য আবুল কাহের শামীম, সিলেট বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমেদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতা এম এ মালিক ও কামরুল হাসান চৌধুরী শাহীন। সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, আওয়ামী সরকারের সময়ে সিলেটের তামাবিল সীমান্তে গুমের ঘটনা নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি শ্যুটিংয়ে তিনি সিলেটে এসেছিলেন। রাতে তিনি বিমানযোগে ঢাকায় ফিরে যান।


প্রিন্ট