খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে সুখবর দিলেন তথ্য উপদেষ্টা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক ইউপি সদস্যের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা অন্তত ১৯৩
ইসরায়েলি প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চাইলেন নেতানিয়াহু
হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখতে গেলেন তামিম ইকবাল
নোয়াখালীতে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় কোরআন খতম ও দোয়া
মসজিদে বিয়ে ও সমালোচনা নিয়ে মুখ খুললেন শবনম ফারিয়া
দেশে বাড়লো সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম
ইসরায়েলি হামলার গাজায় নিহত ৭০ হাজারের বেশি
খাদ্য অধিদপ্তরের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস
প্রতিটি কন্যার স্বপ্ন পূরণে রাষ্ট্রকে অংশীদার বানাব: তারেক রহমান
- আপডেট সময় ০১:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
- / ২৬ বার পড়া হয়েছে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, প্রতিটি কন্যাশিশুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য আমরা রাষ্ট্রের সহযোগী করব, বাধা সৃষ্টি করব না। বাংলাদেশের জন্য আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এমন, যেখানে প্রতিটি মেয়ের জন্য সমান স্বাধীনতা, সুযোগ ও সুরক্ষা থাকবে। যা একজন পিতা বা মাতা তাদের নিজের সন্তানের জন্য কামনা করেন। আজ শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতি বছর ১১ অক্টোবর বিশ্বজুড়ে পালন করা হয় এই দিবসটি। এটি কন্যাশিশুর অধিকার, স্বপ্ন ও নেতৃত্বের প্রতীক হিসেবে পরিচিত। জাতিসংঘের নির্ধারিত ২০২৫ সালের আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবসের মূল শ্লোগান হলো, ‘আমিই পরিবর্তন, আমি নেতৃত্ব দিই: বিপর্যয়ের মুখে মেয়েরা সামনের সারিতে’। এই উপলক্ষ্যে তারেক রহমানের স্ট্যাটাসটি নিচে তুলে ধরা হলো- আজ আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবসে আসুন, আমরা প্রতিটি মেয়ের স্বপ্ন দেখা, শেখা, নেতৃত্ব দেওয়া এবং মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার উদযাপন করি। একজন কন্যার বাবা হিসেবে আমি জানি যে, মেয়েদের ক্ষমতায়ন কেবল নীতি নয়—এটি ব্যক্তিগত দায়িত্ব। বাংলাদেশের জন্য আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এমন, যেখানে প্রতিটি মেয়ের জন্য সমান স্বাধীনতা, সুযোগ ও সুরক্ষা নিশ্চিত থাকবে, যা একজন পিতা বা মাতা তাদের নিজের সন্তানের জন্য কামনা করেন। বিএনপি সরকারের রয়েছে জীবন বদলের এক ঐতিহ্য এবং সুযোগ পেলে আমরা আরও বেশি কিছু করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা দেখেছি কিভাবে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান পোশাক শিল্পের প্রবৃদ্ধিকে একটি শিল্পের চেয়েও বেশি কিছুতে রূপান্তর করেছিলেন। এটি এক ধরনের আশায় পরিণত হয়েছিল। লাখ লাখ নারী কাজে প্রবেশ করে, আয় ও সম্মান অর্জন করে। তার নেতৃত্বে, বাংলাদেশে মেয়েশিশু ও নারীদের উন্নয়নের জন্য ‘মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়’ গঠন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে মেয়েদের শিক্ষাকে শুধু সুবিধা নয়, বরং অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়। দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিনা মূল্যে শিক্ষা প্রদান ঘোষণা করা হয় এবং ‘খাদ্য বা টাকার বিনিময়ে শিক্ষা’ কর্মসূচি লাখ লাখ মেয়েকে স্কুলে পাঠাতে সহায়তা করে, পরিবারের ভাগ্য পরিবর্তন করে, শক্তিশালী সম্প্রদায় গড়ে তোলে, ক্ষমতাশালী নারীর একটি প্রজন্ম তৈরি করে। তার পথপ্রদর্শক ‘ফিমেল সেকেন্ডারি স্কুল অ্যাসিস্ট্যান্স প্রজেক্ট’ আমাদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মাধ্যমিক শিক্ষায় নারী-পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠা করে এবং বাল্যবিবাহের হার কমিয়ে আনে। এই প্রকল্প পরবর্তীতে কন্যাশিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নের আন্তর্জাতিক আদর্শে পরিণত হয়, যা অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশেও অনুসরণ করা হয়। এই সাহসী পদক্ষেপগুলো দেখায়, যখন প্রশাসন মেয়েদের মর্যাদা সম্মান করে এবং তাদের ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ করে তখন কী সম্ভব। এগুলো সাহসের পরিচয়, যা প্রমাণ করে— যখন কোনো সরকার কন্যাশিশুর মর্যাদা রক্ষা করে এবং তাদের ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ করে, তখন কত কিছুই সম্ভব হয়ে ওঠে। বিএনপির ভবিষ্যৎ নীতিমালা সম্মান ও বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে, যার মাধ্যমে:
১. নারী পরিবারের প্রধানদের নামে ‘পরিবার কার্ড’—প্রতিটি পরিবারের প্রধানকে সরাসরি সাহায্য ও সহায়তা নিশ্চিত করা।
২. নারী উদ্যোক্তাদের জন্য এসএমই ঋণ, ব্যবসায়িক প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা—কারণ অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা কোনো আপসের বিষয় নয়।
৩. মেয়েদের জন্য শক্তিশালী শিক্ষাগত ও বৃত্তিমূলক সুযোগ— যাতে প্রতিটি মেয়ের গাঁও বা শহরে দক্ষতা অর্জন করে ভবিষ্যৎ গড়তে পারে।
৪. নারীদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর্যায়ে অংশগ্রহণ— রাজনীতি, শাসন ও নীতিনির্ধারণে এগিয়ে আসা। একটি নিরাপদ জাতি এর থেকে কম আশা করতে পারে না।
৫. মর্যাদা ও স্বাধীনতা সুরক্ষা— মেয়েদের চলাফেরা, কথা বলা, ইন্টারনেট ব্যবহার এবং ভয়ের ছায়া থেকে মুক্তির সুযোগ দেওয়া।
৬. পরিবার ও সামাজিক কল্যাণকে মূলনীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা— স্বাস্থ্য, গ্রামীণ উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, বিশেষ করে নারী ও কন্যাশিশু কেন্দ্রিক।
আমরা শুধু কথা বলি না, বরং বিশ্বাস ও অভিজ্ঞতার আলোকে লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজ করি। প্রতিটি কন্যাশিশুর স্বপ্ন পূরণের পথে আমরা রাষ্ট্রকে অংশীদার করে তুলব, বাধা নয়।
প্রিন্ট
















