, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo খালেদা জিয়ার আপোষহীন নেতৃত্বই দেশে বারবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেঃ নওগাঁয় জনতার এমপি ধলু Logo আইটেম গানে পূজা হেগড়ে, পারিশ্রমিক ৬ কোটি টাকা Logo কোহলির সামনে এখন শুধুই টেন্ডুলকার Logo অ্যালেনার ইতিহাস, প্রোটিয়াদের গুঁড়িয়ে দিলো অস্ট্রেলিয়া Logo বিএনপি ক্ষমতায় এলে শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হবে: তারেক রহমান Logo চট্টগ্রামে সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবদল কর্মী নিহত Logo পটুয়াখালীতে পরীক্ষার্থীর অসদুপায় অবলম্বন গ্রেপ্তার ৩ Logo নতুন পে-স্কেলের অর্থ যোগানের সুসংবাদ পেলেন সরকারি চাকরিজীবীরা Logo ময়মনসিংহে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে নিহত ১ Logo বিচ্ছেদ গুঞ্জন, স্বামীকে ট্যাগ দিয়ে পোস্টে জবাব দিলেন পূর্ণিমা
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

বিচার বিভাগের কাঠামোগত রূপান্তরের টেকসই বাস্তবায়নের আহ্বান প্রধান বিচারপতির

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৮ বার পড়া হয়েছে

বিচার বিভাগের কাঠামোতান্ত্রিক পরিবর্তনের টেকসই বাস্তবায়নের জন্য প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ গুরুত্বারোপ করেছেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ৭২তম বর্ষপূর্তির উৎসবের উদ্দেশ্যে আয়োজিত ‘গৌরবের ৭২ বছর’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এই আহ্বান জানান। শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সেই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, ২০২৫ সালের সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশের জন্য মন্ত্রিসভার নীতিগত অনুমোদন একটি সুপরিকল্পিত ও বহুমুখী প্রচেষ্টার ফল। গত পনেরো মাসে প্রধান বিচারপতির কার্যালয় ও অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাহী শাখার মধ্যে সহযোগিতা এই প্রক্রিয়াকে গতিশীল করেছে, যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। তিনি আরও বলেন, এখনই প্রয়োজন— সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন, বার কাউন্সিল, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন, জেলা আদালতের বিচারক এবং বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টা, যাতে এই কাঠামোতান্ত্রিক পরিবর্তনের টেকসই বাস্তবায়ন নিশ্চিত হয়। প্রধান বিচারপতি দৃঢ়তার সঙ্গে উল্লেখ করেন, আমরা সবাই একটি পরস্পরসম্পর্কিত দায়বদ্ধতার মধ্যে আছি। পারস্পরিকতার উপর ভিত্তি করে, যুক্তিপূর্ণতা ও একে অপরকে ছাপিয়ে যাওয়ার প্রবণতা এড়িয়ে চলা— এই তিন নীতিই বিচার বিভাগের স্বায়ত্তশাসনের মূল ভিত্তি হওয়া উচিত। অপ্রকাশ্য বা একতরফা সিদ্ধান্তের ছোটখাটো ইঙ্গিতও বিচার বিভাগের প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতার স্থাপত্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দীন, অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন খান সহ আরও অনেকে।

বক্তারা বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ দেশের বিচারব্যবস্থা, প্রশাসন ও আইন পেশায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। প্রতিষ্ঠার ৭২ বছর পেরিয়ে বিভাগটি আজ এক ঐতিহ্যের ধারক হিসেবে জাতীয় জীবনে ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা ও আইনের শাসন নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকগণ।


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

বিচার বিভাগের কাঠামোগত রূপান্তরের টেকসই বাস্তবায়নের আহ্বান প্রধান বিচারপতির

আপডেট সময় ০৪:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

বিচার বিভাগের কাঠামোতান্ত্রিক পরিবর্তনের টেকসই বাস্তবায়নের জন্য প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ গুরুত্বারোপ করেছেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ৭২তম বর্ষপূর্তির উৎসবের উদ্দেশ্যে আয়োজিত ‘গৌরবের ৭২ বছর’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এই আহ্বান জানান। শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সেই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, ২০২৫ সালের সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশের জন্য মন্ত্রিসভার নীতিগত অনুমোদন একটি সুপরিকল্পিত ও বহুমুখী প্রচেষ্টার ফল। গত পনেরো মাসে প্রধান বিচারপতির কার্যালয় ও অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাহী শাখার মধ্যে সহযোগিতা এই প্রক্রিয়াকে গতিশীল করেছে, যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। তিনি আরও বলেন, এখনই প্রয়োজন— সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন, বার কাউন্সিল, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন, জেলা আদালতের বিচারক এবং বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টা, যাতে এই কাঠামোতান্ত্রিক পরিবর্তনের টেকসই বাস্তবায়ন নিশ্চিত হয়। প্রধান বিচারপতি দৃঢ়তার সঙ্গে উল্লেখ করেন, আমরা সবাই একটি পরস্পরসম্পর্কিত দায়বদ্ধতার মধ্যে আছি। পারস্পরিকতার উপর ভিত্তি করে, যুক্তিপূর্ণতা ও একে অপরকে ছাপিয়ে যাওয়ার প্রবণতা এড়িয়ে চলা— এই তিন নীতিই বিচার বিভাগের স্বায়ত্তশাসনের মূল ভিত্তি হওয়া উচিত। অপ্রকাশ্য বা একতরফা সিদ্ধান্তের ছোটখাটো ইঙ্গিতও বিচার বিভাগের প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতার স্থাপত্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দীন, অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন খান সহ আরও অনেকে।

বক্তারা বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ দেশের বিচারব্যবস্থা, প্রশাসন ও আইন পেশায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। প্রতিষ্ঠার ৭২ বছর পেরিয়ে বিভাগটি আজ এক ঐতিহ্যের ধারক হিসেবে জাতীয় জীবনে ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা ও আইনের শাসন নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকগণ।


প্রিন্ট