খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে সুখবর দিলেন তথ্য উপদেষ্টা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক ইউপি সদস্যের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা অন্তত ১৯৩
ইসরায়েলি প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চাইলেন নেতানিয়াহু
হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখতে গেলেন তামিম ইকবাল
নোয়াখালীতে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় কোরআন খতম ও দোয়া
মসজিদে বিয়ে ও সমালোচনা নিয়ে মুখ খুললেন শবনম ফারিয়া
দেশে বাড়লো সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম
ইসরায়েলি হামলার গাজায় নিহত ৭০ হাজারের বেশি
খাদ্য অধিদপ্তরের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস
‘জুলাই সনদের দরকার নেই, গণতন্ত্র বাস্তবায়নে একটি সংসদ প্রয়োজন’
- আপডেট সময় ০২:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫
- / ১৪ বার পড়া হয়েছে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, আমাদের জুলাই সনদের প্রয়োজন নেই। একটি সত্যিকার সংসদ দরকার, যারা গণতন্ত্রের বাস্তবায়ন করবে। শনিবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মুক্তিযোদ্ধা দলের এক আলোচনাসভায় তিনি এই কথা বলেন। যারা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছেন, তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত—এমন অভিযোগ তুলে মেজর (অব.) হাফিজ বলেন, এই সরকার কোথাও মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে না। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে ছোট করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। অনেক ত্যাগ ও তিতিক্ষার বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। এই সংগ্রামের সঙ্গে অন্য কোনো আন্দোলনের তুলনা চলে না। দেশের জন্মের পেছনে মুক্তিযুদ্ধের অবদান অস্বীকার করা যায় না। তিনি আরও বলেন, আজ ক্ষমতায় যাওয়ার লোভে একটি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানা ষড়যন্ত্র করছে। যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আঘাত হানে এমন ষড়যন্ত্রের চেষ্টা হয়, তবে তা প্রতিহত করা হবে—এই হুঁশিয়ারি দেন বিএনপির এই প্রবীণ নেতা। তিনি বলেন, নির্বাচনের স্বার্থে অনিচ্ছা সত্ত্বেও বিএনপি অনেক কিছু মান্য করেছে। একটি ঐক্যবদ্ধ কমিশন জোরপূর্বক সনদে অন্তর্ভুক্ত করেছে। বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে, তবে তারা মূল বিষয়গুলো দেখবে। কলকাতায় আওয়ামী লীগের অফিস নেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আপনি প্রতিটি প্রদেশে অফিস করেন, রেজিস্ট্রেশন করেন। ভারতে মিশে যান। বাংলাদেশের জন্য আপনার প্রয়োজন নেই। সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম বলেন, একাত্তরকে ঘিরে ছিনেমা খেলা চলছে। অনেকেই ক্ষমতায় গিয়ে জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এই ভয়ে এই সরকারও ভোট দিতে চায় না। জামায়াত বিএনপির কাঁধে ভর করলেও কোনো আন্দোলনে অংশ নেয়নি—এমন অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, বরং আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে দলটি। ২৮ অক্টোবর বিএনপির ওপর গুলির ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু জামায়াত নির্বিঘ্নে সমাবেশ করে চলে যায়। তারা জনগণের ভোটের ম্যান্ডেট নিতে ভয় পায়। বিএনপি দেশের স্বার্থে অনেক কিছু ছাড় দিয়েছে—এমন মন্তব্য করেন সালাম। তিনি বলেন, বিএনপির খেলোয়াড়ি, মন্ত্রী হওয়া, টাকা কামানো—এটাই এখন তাদের মূল উদ্দেশ্য। এর মাঝেই বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। জামায়াত সবসময় বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। যদি আদৌ বিবেক থাকে, তাহলে খালেদা জিয়ার কাছে যান।
প্রিন্ট
















