, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

একাত্তর ভুলিয়ে জুলাই আন্দোলনকে বড় করে দেখাতে চাইছে স্বাধীনতাবিরোধীরা: মির্জা ফখরুল

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৪ বার পড়া হয়েছে

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উল্লেখ করেছেন, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিগুলোর মধ্যে নতুন করে উল্লম্ফন দেখা যাচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, যারা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল, তারা এখন মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বকে অগ্রাহ্য করে শুধু ২৪ জুলাইয়ের আন্দোলনকে বড় করে দেখানোর চেষ্টা করছে। শনিবার ‘৭ নভেম্বরের চেতনায়’ আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধান প্রতিপাদ্য ছিল ‘স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষা করতে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অপরিহার্য’। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জুলাইর অভ্যুত্থান নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চাই না। তবে কিছু শক্তি পরিকল্পিতভাবে বিভ্রান্তি ছড়াতে ব্যস্ত। যারা একাত্তরকে ভুলিয়ে দিতে চায়, তাদের মূল লক্ষ্য একটাই—তারা ১৯৭১-কে অস্বীকার করতে চায়। আমাদের নেতা জিয়াউর রহমানের ঘোষণায় যে স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল, সেটাকেও তারা অস্বীকার করছে।’ তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালকে ভুলিয়ে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। একাত্তরই আমাদের অস্তিত্ব, পরিচয় ও স্বাতন্ত্র্যের প্রতীক।’ বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিগুলো আবার সক্রিয় হয়ে উঠছে। তারা ভুলে গেছে অতীতের ভূমিকা—মুক্তিযুদ্ধকে গোলমাল বলা, পাকিস্তানিদের সাথে হাত মিলিয়ে এ দেশের মানুষকে হত্যা করা। আমরা সেটা ভুলিনি।’ ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে আইনের মুখোমুখি করুন। বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন না।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনের দল। শুরু থেকেই আমরা নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছি। গণআবেগের পরও বলেছিলাম—তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন চাই।’ ঐকমত্য কমিশনের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। ভিন্নমতের নোট বাতিল করে নতুন প্রস্তাব দিয়েছে, যা অন্যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করেছি, রাস্তায় নামিনি বা কোনো প্রতিষ্ঠান ঘেরাও করিনি। আমরা আলোচনা করে সমাধান চাই।’ প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তিনি বলেছেন যে কোনো সময় হামলা হতে পারে, কিন্তু কারা করবে তা বলেননি। এটা জাতিকে জানানো উচিত ছিল।’ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জাতি প্রস্তুত—যেকোনো হামলা প্রতিরোধে সবাই একত্রিত।’


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

একাত্তর ভুলিয়ে জুলাই আন্দোলনকে বড় করে দেখাতে চাইছে স্বাধীনতাবিরোধীরা: মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় ০৪:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উল্লেখ করেছেন, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিগুলোর মধ্যে নতুন করে উল্লম্ফন দেখা যাচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, যারা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল, তারা এখন মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বকে অগ্রাহ্য করে শুধু ২৪ জুলাইয়ের আন্দোলনকে বড় করে দেখানোর চেষ্টা করছে। শনিবার ‘৭ নভেম্বরের চেতনায়’ আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধান প্রতিপাদ্য ছিল ‘স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষা করতে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অপরিহার্য’। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জুলাইর অভ্যুত্থান নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চাই না। তবে কিছু শক্তি পরিকল্পিতভাবে বিভ্রান্তি ছড়াতে ব্যস্ত। যারা একাত্তরকে ভুলিয়ে দিতে চায়, তাদের মূল লক্ষ্য একটাই—তারা ১৯৭১-কে অস্বীকার করতে চায়। আমাদের নেতা জিয়াউর রহমানের ঘোষণায় যে স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল, সেটাকেও তারা অস্বীকার করছে।’ তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালকে ভুলিয়ে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। একাত্তরই আমাদের অস্তিত্ব, পরিচয় ও স্বাতন্ত্র্যের প্রতীক।’ বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিগুলো আবার সক্রিয় হয়ে উঠছে। তারা ভুলে গেছে অতীতের ভূমিকা—মুক্তিযুদ্ধকে গোলমাল বলা, পাকিস্তানিদের সাথে হাত মিলিয়ে এ দেশের মানুষকে হত্যা করা। আমরা সেটা ভুলিনি।’ ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে আইনের মুখোমুখি করুন। বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন না।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনের দল। শুরু থেকেই আমরা নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছি। গণআবেগের পরও বলেছিলাম—তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন চাই।’ ঐকমত্য কমিশনের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। ভিন্নমতের নোট বাতিল করে নতুন প্রস্তাব দিয়েছে, যা অন্যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করেছি, রাস্তায় নামিনি বা কোনো প্রতিষ্ঠান ঘেরাও করিনি। আমরা আলোচনা করে সমাধান চাই।’ প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তিনি বলেছেন যে কোনো সময় হামলা হতে পারে, কিন্তু কারা করবে তা বলেননি। এটা জাতিকে জানানো উচিত ছিল।’ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জাতি প্রস্তুত—যেকোনো হামলা প্রতিরোধে সবাই একত্রিত।’


প্রিন্ট