বড়পুকুরিয়ায় খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করে দোয়া
ফুলবাড়ীতে শিশু পার্ক উদ্বোধন
আমি চাই ও আমার হাত ছেড়ে দিক
চীনের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের
টিকটকে উসকানিমূলক ভিডিও, আ.লীগ নেত্রী সুলতানা আটক
শুরু হলো মহান বিজয়ের মাস
সেন্টমার্টিনে আজ থেকে রাতযাপনের সুযোগ, মানতে হবে যেসব শর্ত
বাবা-ভাইদের হাতে প্রেমিকের মৃত্যু, মরদেহকেই ‘বিয়ে’ তরুণীর
পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে শ্রমিককে হত্যার অভিযোগ
নতুন পে স্কেল বাস্তবায়ন নিয়ে ফের জটিলতা
মনোনয়ন না পাওয়া নিয়ে খোলামেলা কথা বললেন রুমিন ফারহানা
- আপডেট সময় ০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫
- / ১৪ বার পড়া হয়েছে
বিএনপির সিনিয়র আইনজীবী ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন, মনোনয়ন প্রক্রিয়া এবং দলীয় জোট গঠনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। টেলিভিশন আলোচনায় তিনি দলের অভ্যন্তরীণ প্রস্তুতি, মনোনয়ন বিতরণ এবং নেতাকর্মীদের প্রতিক্রিয়া নিয়ে খোলামেলা ভাষণে আলোচনা করেন। রুমিন ফারহানা বলেন, বিএনপি বর্তমানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে জোট গঠন ও আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে বিগত ১৫ বছর ধরে যারা নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও দলের পাশে ছিলেন, তাদের সঙ্গে আসন ভাগ করে নেওয়া অগ্রাধিকার পাচ্ছে। আরও কিছু নতুন দলের সঙ্গেও সমঝোতার প্রক্রিয়া চলছে। জোটের স্বার্থে কিছু আসনে ছাড় দেওয়া হতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বিএনপির এখনো ৬৩টি আসনের মনোনয়ন ঘোষণা বাকি রয়েছে। এই আসনগুলোর বেশিরভাগই জোটের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। বর্তমানে আমরা এমন প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দিচ্ছি, যারা বিজয়ের সম্ভাবনা রাখেন। নিজের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তার মনোনয়নও আপাতত স্থগিত রয়েছে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি। দলের কিছু কর্মী মনোনয়ন না পেয়ে রাস্তায় বিক্ষোভ, টায়ার পুড়িয়ে প্রতিবাদ করছেন— এ বিষয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, “এটি স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। এত বড় দলের প্রতিটি আসনে গড়ে তিন থেকে চারজন বা কখনো দশজন মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকেন। সেখানে সবাইকে মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব নয়।” তিনি মনে করেন, এই ধরনের ক্ষোভ বা হতাশা আবেগজনিত, এবং এটি দীর্ঘস্থায়ী হবে না। রুমিন জানিয়েছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রার্থীদের সঙ্গে বারবার বৈঠক করেছেন এবং মনোনয়ন বিতরণের প্রক্রিয়া সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করেছেন। তিনি বলেন, “৩০০ আসনের মধ্যে কেবল ৩০০ জনকেই মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব। যারা এবার মনোনয়ন পাননি, ভবিষ্যতে তাদের অন্য দায়িত্ব বা সুযোগ দেওয়া হতে পারে।” মনোনয়ন না পাওয়া নেতাকর্মীদের আবেগের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে রুমিন ফারহানা বলেন, “নেতাকর্মীদের ত্যাগ, শ্রম ও ভালোবাসার ফলেই একজন প্রার্থী হিসেবে কেউ সামনে আসতে পারেন। তাই তাঁদের মন খারাপ হওয়া স্বাভাবিক, এবং এই আবেগকে সম্মান দেওয়া উচিত।” স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড়ানোর প্রবণতা রোধ করা সম্ভব হবে কিনা, এ প্রশ্নে রুমিন বলেন, “এখনই কিছু বলা কঠিন। কারণ, ৬৩টি আসনের মনোনয়ন এখনো চূড়ান্ত হয়নি। দলের মহাসচিবও বলেছেন, প্রাথমিক তালিকা বদল হতে পারে— নতুন কেউ যুক্ত হতে পারেন, কেউ বাদ পড়তে পারেন।” তিনি আরো জানান, কিছু আসনে নির্বাচন কমিশনের রায়ের অপেক্ষায় দল। নারী প্রার্থীর সংখ্যা নিয়ে আলোচনা করে রুমিন ফারহানা বলেন, “বিএনপি যদি ৫ শতাংশ নারী প্রার্থী দেওয়ার নীতি মানে, তবে এখন পর্যন্ত প্রায় ৯–১০ জন নারী মনোনয়ন পেয়েছেন। অর্থাৎ আরও ৪–৫টি আসনে নারী প্রার্থীর সুযোগ থাকতে পারে, সেটি মনে রাখতে হবে।” ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার মন্তব্যে প্রতিফলিত হয়েছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতির জটিলতা। তিনি নেতাকর্মীদের আবেগকে সম্মান জানিয়ে বলেন, শেষ পর্যন্ত সবাইকে একসঙ্গে কাজ করে দলীয় লক্ষ্য অর্জন করতেই হবে।
প্রিন্ট






















