, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে: তারেক রহমান

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৩ বার পড়া হয়েছে

৭ নভেম্বর মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার মহিমান্বিত আত্মদানের ফলে ফ্যাসিস্টরা দেশ থেকে পালাতে বাধ্য হয়। মানুষের মধ্যে গণতন্ত্রের মুক্তির পথ প্রশস্ত হয়েছে। এখন চূড়ান্ত গণতন্ত্রের চর্চার জন্য অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের পাশাপাশি গণতন্ত্রের অপরিহার্য শর্তগুলো পূরণ করতে হবে, যাতে মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত হয়। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক বার্তায় তিনি এ কথা বলেন। দেশবাসীসহ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তিনি সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার বিপ্লব শুধু রূপ বদলের ঘটনা নয়, এটি দেশের আধিপত্যবাদ বিরোধী জাতীয়তাবাদী রাজনীতির সূচনা। সিপাহী-জনতার এই বিপ্লবের মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা পায়। তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সিপাহী-জনতা রাজপথে নেমে আসে জাতীয় স্বাধীনতা রক্ষা ও গণতন্ত্রের পুনরুজ্জীবনের অঙ্গীকার নিয়ে। এ কারণে ৭ নভেম্বরের এই ঐতিহাসিক বিপ্লব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীনতা পরবর্তী ক্ষমতাসীন দল তাদের স্বার্থে দেশকে আধিপত্যের বলয় নির্মাণের চেষ্টা করে। এর উদ্দেশ্য ছিল ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার। এজন্য একদলীয় বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়। তিনি আরও বলেন, বাকশালী সরকার চরম অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী পন্থায় মানুষের ন্যায্য অধিকারগুলো হরণ করে। এই সংকটময় পরিস্থিতিতে ৭৫ এর ৩ নভেম্বর কুচক্রী মহল মহান স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে সপরিবারে ক্যান্টনমেন্টে বন্দী করে। এই গভীর সংকটের সময় ৭ নভেম্বর স্বজাতির স্বাধীনতা রক্ষা ও গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনের জন্য সাহসী সৈনিক ও জনতার সমাবেশ ঘটে এবং স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান মুক্তি পান। এই পরিবর্তনে রাষ্ট্রপতি জিয়ার নেতৃত্বে দেশ নতুন প্রাণ পায় এবং গণতন্ত্র মুক্ত হয়, বাক ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। মানুষের মনে স্বস্তি ফিরে আসে। কিন্তু আধিপত্যবাদী শক্তির এদেশীয় এজেন্টরা স্বার্থের জন্য ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসেই নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে। যদিও জিয়া শাহাদাত বরণ করেন, তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত মানুষ দেশ ও গণতন্ত্র রক্ষায় এখনও একযোগে কাজ করছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আবারও চক্রান্তের গোপন পথে আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা প্রায় ১৬ বছর গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে রাষ্ট্রক্ষমতা নিজেদের হাতে রাখে। এদের নতজানু নীতির কারণে দেশের সার্বভৌমত্ব দুর্বল হয়ে পড়ে। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করা নেতাকর্মীদের দমন করে, গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, দুর্নীতি ও অপশাসনের ভয়াল রাজত্ব কায়েম করে। তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের প্রতীক’ খালেদা জিয়াকে দীর্ঘ সময় বন্দী করে মুক্তি দেওয়া হয়নি। তিনি সমাজে ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দেন। বলেন, পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা দেশীয় সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, ভাষা ও সংস্কৃতি দমন করে চলেছে। তাই আমি মনে করি, ৭ নভেম্বরের চেতনায় সকল জাতীয়তাবাদী শক্তিকে একত্রিত হয়ে শক্তিশালী গণতন্ত্র গড়ে তুলতে হবে। এই মুহূর্তে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি।


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে: তারেক রহমান

আপডেট সময় ১২:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫

৭ নভেম্বর মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার মহিমান্বিত আত্মদানের ফলে ফ্যাসিস্টরা দেশ থেকে পালাতে বাধ্য হয়। মানুষের মধ্যে গণতন্ত্রের মুক্তির পথ প্রশস্ত হয়েছে। এখন চূড়ান্ত গণতন্ত্রের চর্চার জন্য অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের পাশাপাশি গণতন্ত্রের অপরিহার্য শর্তগুলো পূরণ করতে হবে, যাতে মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত হয়। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক বার্তায় তিনি এ কথা বলেন। দেশবাসীসহ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তিনি সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার বিপ্লব শুধু রূপ বদলের ঘটনা নয়, এটি দেশের আধিপত্যবাদ বিরোধী জাতীয়তাবাদী রাজনীতির সূচনা। সিপাহী-জনতার এই বিপ্লবের মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা পায়। তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সিপাহী-জনতা রাজপথে নেমে আসে জাতীয় স্বাধীনতা রক্ষা ও গণতন্ত্রের পুনরুজ্জীবনের অঙ্গীকার নিয়ে। এ কারণে ৭ নভেম্বরের এই ঐতিহাসিক বিপ্লব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীনতা পরবর্তী ক্ষমতাসীন দল তাদের স্বার্থে দেশকে আধিপত্যের বলয় নির্মাণের চেষ্টা করে। এর উদ্দেশ্য ছিল ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার। এজন্য একদলীয় বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়। তিনি আরও বলেন, বাকশালী সরকার চরম অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী পন্থায় মানুষের ন্যায্য অধিকারগুলো হরণ করে। এই সংকটময় পরিস্থিতিতে ৭৫ এর ৩ নভেম্বর কুচক্রী মহল মহান স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে সপরিবারে ক্যান্টনমেন্টে বন্দী করে। এই গভীর সংকটের সময় ৭ নভেম্বর স্বজাতির স্বাধীনতা রক্ষা ও গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনের জন্য সাহসী সৈনিক ও জনতার সমাবেশ ঘটে এবং স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান মুক্তি পান। এই পরিবর্তনে রাষ্ট্রপতি জিয়ার নেতৃত্বে দেশ নতুন প্রাণ পায় এবং গণতন্ত্র মুক্ত হয়, বাক ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। মানুষের মনে স্বস্তি ফিরে আসে। কিন্তু আধিপত্যবাদী শক্তির এদেশীয় এজেন্টরা স্বার্থের জন্য ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসেই নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে। যদিও জিয়া শাহাদাত বরণ করেন, তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত মানুষ দেশ ও গণতন্ত্র রক্ষায় এখনও একযোগে কাজ করছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আবারও চক্রান্তের গোপন পথে আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা প্রায় ১৬ বছর গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে রাষ্ট্রক্ষমতা নিজেদের হাতে রাখে। এদের নতজানু নীতির কারণে দেশের সার্বভৌমত্ব দুর্বল হয়ে পড়ে। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করা নেতাকর্মীদের দমন করে, গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, দুর্নীতি ও অপশাসনের ভয়াল রাজত্ব কায়েম করে। তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের প্রতীক’ খালেদা জিয়াকে দীর্ঘ সময় বন্দী করে মুক্তি দেওয়া হয়নি। তিনি সমাজে ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দেন। বলেন, পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা দেশীয় সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, ভাষা ও সংস্কৃতি দমন করে চলেছে। তাই আমি মনে করি, ৭ নভেম্বরের চেতনায় সকল জাতীয়তাবাদী শক্তিকে একত্রিত হয়ে শক্তিশালী গণতন্ত্র গড়ে তুলতে হবে। এই মুহূর্তে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি।


প্রিন্ট