, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

আজ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১২ বার পড়া হয়েছে

আজ ৭ নভেম্বর। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। বাংলাদেশে এই দিনটির গুরুত্ব অনেক। ১৯৭৫ সালের এই দিনে দেশের সৈনিক-জনতা এক ঐতিহাসিক বিপ্লব ঘটিয়েছিল, যা দেশের তখনকার রাজনৈতিক ধারা পরিবর্তন করে দেশ ও জাতিকে নতুন পরিচয়ে পরিচিত করে তুলেছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পরের সেনা অভ্যুত্থান ও পাল্টা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যখন দেশ জটিল অস্থিরতায় নিমজ্জিত, তখন সৈনিক-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন দেশ ও জাতিকে অনাকাঙ্ক্ষিত অস্থিরতা থেকে মুক্তি দেয়। এর ফলে স্বাধীনতার ঘোষক তৎকালীন সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান মুক্তি পান কারাগার থেকে। বিএনপি ও তাদের সমমনাদের জন্য ৭ নভেম্বর এখনো জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালিত হয়। এ উপলক্ষে এই বছরও বিএনপি ১০ দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দিবসের প্রাক্কালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পৃথক বিবৃতি দিয়েছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিবর্তনের পর রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব শক্তিশালী হয়। গণতন্ত্রের দরজা খুলে যায় এবং অগ্রগতির পথে এগিয়ে যায়। এই দিন থেকেই বহুদলীয় গণতন্ত্রের সূচনা হয়। মানুষের মনে স্বস্তি ফিরে আসে। সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল মাহবুবুর রহমান তার ‘কিছু স্মৃতি কিছু কথা’ বইয়ে উল্লেখ করেন, ‘৭ নভেম্বর গোটা দেশজুড়ে সৈনিক-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত এক অভূতপূর্ব উত্থান ঘটে। আর জেনারেল জিয়া সেই অভ্যুত্থানের উত্তাল তরঙ্গের মধ্যে উঠে আসেন জাতীয় নেতৃত্বের শীর্ষে।’ ৭ নভেম্বরের বিপ্লবের বিষয়ে তখনকার দৈনিক বাংলার রিপোর্টে বলা হয়, ‘সৈনিক-জনতার মিলিত বিপ্লবে চার দিনের দুঃস্বপ্ন শেষ হয়েছে। মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান মুক্তি পান কারাগার থেকে। ৭ নভেম্বর ভোরে রেডিওতে শোনা যায়, “আমি মেজর জেনারেল জিয়া বলছি।” জিয়া দেশের উদ্দেশ্যে ঐতিহাসিক ভাষণে সবাইকে শান্তিপূর্ণভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান। সেই দিন রাজধানী ঢাকা ছিল মিছিলের শহর। পথে পথে সৈনিক-জনতা একে অপরকে আলিঙ্গন করে। সাধারণ মানুষ সেনা ট্যাংকের নলের উপর ফুলের মালা পরিয়ে দেয়। এই আনন্দের ঢেউ দেশের সব শহর, গ্রাম এবং নগরেও ছড়িয়ে পড়ে।’ অন্যদিকে, এক বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামীর সব শাখা ও ছাত্র-জনতার প্রতি যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের আহ্বান জানিয়েছেন দলের আমির ডা. শফিকুর রহমান। এই উপলক্ষে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, ১২ দলীয় জোটসহ অন্যান্য সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোও বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করবে।


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

আজ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস

আপডেট সময় ০৭:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫

আজ ৭ নভেম্বর। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। বাংলাদেশে এই দিনটির গুরুত্ব অনেক। ১৯৭৫ সালের এই দিনে দেশের সৈনিক-জনতা এক ঐতিহাসিক বিপ্লব ঘটিয়েছিল, যা দেশের তখনকার রাজনৈতিক ধারা পরিবর্তন করে দেশ ও জাতিকে নতুন পরিচয়ে পরিচিত করে তুলেছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পরের সেনা অভ্যুত্থান ও পাল্টা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যখন দেশ জটিল অস্থিরতায় নিমজ্জিত, তখন সৈনিক-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন দেশ ও জাতিকে অনাকাঙ্ক্ষিত অস্থিরতা থেকে মুক্তি দেয়। এর ফলে স্বাধীনতার ঘোষক তৎকালীন সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান মুক্তি পান কারাগার থেকে। বিএনপি ও তাদের সমমনাদের জন্য ৭ নভেম্বর এখনো জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালিত হয়। এ উপলক্ষে এই বছরও বিএনপি ১০ দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দিবসের প্রাক্কালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পৃথক বিবৃতি দিয়েছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিবর্তনের পর রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব শক্তিশালী হয়। গণতন্ত্রের দরজা খুলে যায় এবং অগ্রগতির পথে এগিয়ে যায়। এই দিন থেকেই বহুদলীয় গণতন্ত্রের সূচনা হয়। মানুষের মনে স্বস্তি ফিরে আসে। সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল মাহবুবুর রহমান তার ‘কিছু স্মৃতি কিছু কথা’ বইয়ে উল্লেখ করেন, ‘৭ নভেম্বর গোটা দেশজুড়ে সৈনিক-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত এক অভূতপূর্ব উত্থান ঘটে। আর জেনারেল জিয়া সেই অভ্যুত্থানের উত্তাল তরঙ্গের মধ্যে উঠে আসেন জাতীয় নেতৃত্বের শীর্ষে।’ ৭ নভেম্বরের বিপ্লবের বিষয়ে তখনকার দৈনিক বাংলার রিপোর্টে বলা হয়, ‘সৈনিক-জনতার মিলিত বিপ্লবে চার দিনের দুঃস্বপ্ন শেষ হয়েছে। মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান মুক্তি পান কারাগার থেকে। ৭ নভেম্বর ভোরে রেডিওতে শোনা যায়, “আমি মেজর জেনারেল জিয়া বলছি।” জিয়া দেশের উদ্দেশ্যে ঐতিহাসিক ভাষণে সবাইকে শান্তিপূর্ণভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান। সেই দিন রাজধানী ঢাকা ছিল মিছিলের শহর। পথে পথে সৈনিক-জনতা একে অপরকে আলিঙ্গন করে। সাধারণ মানুষ সেনা ট্যাংকের নলের উপর ফুলের মালা পরিয়ে দেয়। এই আনন্দের ঢেউ দেশের সব শহর, গ্রাম এবং নগরেও ছড়িয়ে পড়ে।’ অন্যদিকে, এক বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামীর সব শাখা ও ছাত্র-জনতার প্রতি যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের আহ্বান জানিয়েছেন দলের আমির ডা. শফিকুর রহমান। এই উপলক্ষে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, ১২ দলীয় জোটসহ অন্যান্য সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোও বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করবে।


প্রিন্ট