, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

বিশেষ সহকারী ও উপ-প্রেস সচিবের বক্তব্যে বিজিএমইএ’র প্রতিবাদ

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৯:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
  • / ২০ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও উপ-প্রেস সচিবের মন্তব্যকে দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত হিসেবে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি। বুধবার (২৯ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য প্রকাশ করে বিজিএমইএ। সেখানে বলা হয়, ‘প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ও উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদারের কিছু বক্তব্য আজ গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, যা বিজিএমইএর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।’ বিজিএমইএ মনে করে, ‘উভয়ই বিভ্রান্তিকরভাবে বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন, যা দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত। তাদের এই বক্তব্য দেশের প্রধান রপ্তানিমুখী খাত পোশাকশিল্পের মান হ্রাসের অপপ্রয়াস চালিয়েছে। বিজিএমইএ এই ধরনের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।’ সংগঠনটি নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে জানিয়েছে, ‘প্রথমত, বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত চার মাস ধরে পোশাকশিল্পের নীতি প্রণয়ন, প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বজায় রাখা এবং চলমান সংকট মোকাবিলার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সরাসরি বৈঠকের অনুরোধ জানানো হয়েছে। তবে এখনো সেই সাক্ষাৎ হয়নি।’ ‘দ্বিতীয়ত, যে সভার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেটি ছিল এলডিসি উত্তরণ-সংক্রান্ত একটি সাধারণ পর্যালোচনা সভা। যেখানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও অংশীজনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এটি কোনোভাবেই বিজিএমইএ বা পোশাকশিল্পের জন্য নির্দিষ্ট বা দ্বিপাক্ষিক কোনো আনুষ্ঠানিক বৈঠক ছিল না। সাধারণ একটি সভায় অংশ নেওয়া ও শিল্পের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সাক্ষাৎ এ দুটি আলাদা বিষয়।’ ‘তৃতীয়ত, সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন- আমরা চার মাস ধরে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ চাইছিলাম, কিন্তু পাইনি। অথচ স্টারলিংকের স্পেসএক্স কোম্পানির ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা হয়। যিনি ১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছেন, কিন্তু ৪০ বিলিয়ন ডলারের পোশাক শিল্পের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সুযোগ পান না।’ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘বিজিএমইএ সভাপতি দেশের বৃহত্তর রপ্তানিখাত ও শিল্পের স্বার্থে তার উদ্বেগের কথা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু বিশেষ সহকারী ও উপ-প্রেস সচিব সেই বক্তব্যকে প্রেক্ষাপটবিহীনভাবে উপস্থাপন করেছেন, যা বিভ্রান্তিকর এবং শিল্পখাতের ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর।’ সংগঠনটি আশা প্রকাশ করে, ভবিষ্যতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও উপ-প্রেস সচিব দেশের বৃহত্তম রপ্তানিমুখী খাতের বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় পেশাদারিত্ব ও দায়িত্বশীলতা বজায় রাখবেন। পাশাপাশি, দেশের রপ্তানি খাতের বর্তমান চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা ও নীতিগত বিষয় নিয়ে দ্রুত একটি আনুষ্ঠানিক বৈঠক আয়োজনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করছে বিজিএমইএ।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

বিশেষ সহকারী ও উপ-প্রেস সচিবের বক্তব্যে বিজিএমইএ’র প্রতিবাদ

আপডেট সময় ০৯:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও উপ-প্রেস সচিবের মন্তব্যকে দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত হিসেবে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি। বুধবার (২৯ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য প্রকাশ করে বিজিএমইএ। সেখানে বলা হয়, ‘প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ও উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদারের কিছু বক্তব্য আজ গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, যা বিজিএমইএর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।’ বিজিএমইএ মনে করে, ‘উভয়ই বিভ্রান্তিকরভাবে বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন, যা দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত। তাদের এই বক্তব্য দেশের প্রধান রপ্তানিমুখী খাত পোশাকশিল্পের মান হ্রাসের অপপ্রয়াস চালিয়েছে। বিজিএমইএ এই ধরনের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।’ সংগঠনটি নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে জানিয়েছে, ‘প্রথমত, বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত চার মাস ধরে পোশাকশিল্পের নীতি প্রণয়ন, প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বজায় রাখা এবং চলমান সংকট মোকাবিলার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সরাসরি বৈঠকের অনুরোধ জানানো হয়েছে। তবে এখনো সেই সাক্ষাৎ হয়নি।’ ‘দ্বিতীয়ত, যে সভার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেটি ছিল এলডিসি উত্তরণ-সংক্রান্ত একটি সাধারণ পর্যালোচনা সভা। যেখানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও অংশীজনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এটি কোনোভাবেই বিজিএমইএ বা পোশাকশিল্পের জন্য নির্দিষ্ট বা দ্বিপাক্ষিক কোনো আনুষ্ঠানিক বৈঠক ছিল না। সাধারণ একটি সভায় অংশ নেওয়া ও শিল্পের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সাক্ষাৎ এ দুটি আলাদা বিষয়।’ ‘তৃতীয়ত, সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন- আমরা চার মাস ধরে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ চাইছিলাম, কিন্তু পাইনি। অথচ স্টারলিংকের স্পেসএক্স কোম্পানির ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা হয়। যিনি ১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছেন, কিন্তু ৪০ বিলিয়ন ডলারের পোশাক শিল্পের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সুযোগ পান না।’ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘বিজিএমইএ সভাপতি দেশের বৃহত্তর রপ্তানিখাত ও শিল্পের স্বার্থে তার উদ্বেগের কথা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু বিশেষ সহকারী ও উপ-প্রেস সচিব সেই বক্তব্যকে প্রেক্ষাপটবিহীনভাবে উপস্থাপন করেছেন, যা বিভ্রান্তিকর এবং শিল্পখাতের ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর।’ সংগঠনটি আশা প্রকাশ করে, ভবিষ্যতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও উপ-প্রেস সচিব দেশের বৃহত্তম রপ্তানিমুখী খাতের বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় পেশাদারিত্ব ও দায়িত্বশীলতা বজায় রাখবেন। পাশাপাশি, দেশের রপ্তানি খাতের বর্তমান চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা ও নীতিগত বিষয় নিয়ে দ্রুত একটি আনুষ্ঠানিক বৈঠক আয়োজনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করছে বিজিএমইএ।


প্রিন্ট