, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

বিজিএমইএ ও আইএমএফ প্রতিনিধিদলের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫
  • / ২৭ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি, ভবিষ্যৎ ঝুঁকি এবং দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়ে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এবং আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ)-এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর উত্তরার বিজিএমইএ অফিসে এই বৈঠকটি হয়। এতে বাংলাদেশের শিল্পের বর্তমান অবস্থা, সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ এবং টেকসই বৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য নানান দিক আলোচনা হয়। সভাপতিত্ব করেন বিজিএমইএ’র সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি ইনামুল হক খান, সহ-সভাপতি মো. রেজোয়ান সেলিম, সহ-সভাপতি ভিদিয়া অমৃত খান, পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন নাফিস-উদ-দৌলা ও ড. রশিদ আহমেদ হোসাইনী। অন্যদিকে, আইএমএফ প্রতিনিধি দলের মধ্যে ছিলেন সিনিয়র অর্থনীতিবিদ কিয়াও চেন, রুইফেং ঝাং এবং অর্থনীতিবিদ আয়া সাইদ। এই বৈঠকের মূল লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের মোট অর্থনীতির স্থিতিশীলতা মূল্যায়নের অংশ হিসেবে পোশাক শিল্পের অবস্থা ও চ্যালেঞ্জগুলো বিশ্লেষণ করা। বৈঠকে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতার মাঝে শিল্পের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার জন্য বিভিন্ন কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পায় মার্কিন শুল্কনীতি, বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণের পরবর্তী পরিস্থিতি, টেকসই উন্নয়নের পরিকল্পনা, মূল্য সংযোজিত পণ্য বৈচিত্র্য, এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিবর্তনের প্রভাব। বিজিএমইএ নেতারা দেশের অর্থনীতিতে পোশাক শিল্পের অবদান তুলে ধরে জানিয়েছেন, এখন শিল্পটি শ্রমনির্ভর মডেল থেকে উন্নত প্রযুক্তি ও উচ্চমূল্যের মডেলে রূপান্তরিত হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে ম্যান-মেইড ফাইবার ও প্রযুক্তিনির্ভর টেক্সটাইল পণ্যের উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়নেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও, ব্যবসা সহজ করার জন্য এবং পরিচালন ব্যয় কমানোর জন্য কি কি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, সে বিষয়ে আলোচনা হয়। বিজিএমইএ জানিয়েছে, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সরবরাহ অব্যাহত রাখা, বন্দরের কার্যক্রম দক্ষতা বৃদ্ধি, কাস্টমস ও বন্ড প্রক্রিয়া সহজ করা, সুদের হার এক অঙ্কে আনাসহ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো দ্রুত উন্নয়নের জন্য তারা সরকারের কাছে সুপারিশ করেছে। আরও জানানো হয়েছে, এলডিসি থেকে উত্তরণের পর শুল্ক সুবিধা বজায় রাখতে তারা ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, জাপান, কানাডা ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) এবং অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষরের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। বৈঠকের শেষে আইএমএফ প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে পোশাক শিল্পের অবদানকে প্রশংসা করে ভবিষ্যতে সহযোগিতার আশা ব্যক্ত করে।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

বিজিএমইএ ও আইএমএফ প্রতিনিধিদলের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় ০৭:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি, ভবিষ্যৎ ঝুঁকি এবং দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়ে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এবং আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ)-এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর উত্তরার বিজিএমইএ অফিসে এই বৈঠকটি হয়। এতে বাংলাদেশের শিল্পের বর্তমান অবস্থা, সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ এবং টেকসই বৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য নানান দিক আলোচনা হয়। সভাপতিত্ব করেন বিজিএমইএ’র সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি ইনামুল হক খান, সহ-সভাপতি মো. রেজোয়ান সেলিম, সহ-সভাপতি ভিদিয়া অমৃত খান, পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন নাফিস-উদ-দৌলা ও ড. রশিদ আহমেদ হোসাইনী। অন্যদিকে, আইএমএফ প্রতিনিধি দলের মধ্যে ছিলেন সিনিয়র অর্থনীতিবিদ কিয়াও চেন, রুইফেং ঝাং এবং অর্থনীতিবিদ আয়া সাইদ। এই বৈঠকের মূল লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের মোট অর্থনীতির স্থিতিশীলতা মূল্যায়নের অংশ হিসেবে পোশাক শিল্পের অবস্থা ও চ্যালেঞ্জগুলো বিশ্লেষণ করা। বৈঠকে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতার মাঝে শিল্পের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার জন্য বিভিন্ন কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পায় মার্কিন শুল্কনীতি, বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণের পরবর্তী পরিস্থিতি, টেকসই উন্নয়নের পরিকল্পনা, মূল্য সংযোজিত পণ্য বৈচিত্র্য, এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিবর্তনের প্রভাব। বিজিএমইএ নেতারা দেশের অর্থনীতিতে পোশাক শিল্পের অবদান তুলে ধরে জানিয়েছেন, এখন শিল্পটি শ্রমনির্ভর মডেল থেকে উন্নত প্রযুক্তি ও উচ্চমূল্যের মডেলে রূপান্তরিত হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে ম্যান-মেইড ফাইবার ও প্রযুক্তিনির্ভর টেক্সটাইল পণ্যের উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়নেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও, ব্যবসা সহজ করার জন্য এবং পরিচালন ব্যয় কমানোর জন্য কি কি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, সে বিষয়ে আলোচনা হয়। বিজিএমইএ জানিয়েছে, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সরবরাহ অব্যাহত রাখা, বন্দরের কার্যক্রম দক্ষতা বৃদ্ধি, কাস্টমস ও বন্ড প্রক্রিয়া সহজ করা, সুদের হার এক অঙ্কে আনাসহ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো দ্রুত উন্নয়নের জন্য তারা সরকারের কাছে সুপারিশ করেছে। আরও জানানো হয়েছে, এলডিসি থেকে উত্তরণের পর শুল্ক সুবিধা বজায় রাখতে তারা ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, জাপান, কানাডা ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) এবং অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষরের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। বৈঠকের শেষে আইএমএফ প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে পোশাক শিল্পের অবদানকে প্রশংসা করে ভবিষ্যতে সহযোগিতার আশা ব্যক্ত করে।


প্রিন্ট