বড়পুকুরিয়ায় খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করে দোয়া
ফুলবাড়ীতে শিশু পার্ক উদ্বোধন
আমি চাই ও আমার হাত ছেড়ে দিক
চীনের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের
টিকটকে উসকানিমূলক ভিডিও, আ.লীগ নেত্রী সুলতানা আটক
শুরু হলো মহান বিজয়ের মাস
সেন্টমার্টিনে আজ থেকে রাতযাপনের সুযোগ, মানতে হবে যেসব শর্ত
বাবা-ভাইদের হাতে প্রেমিকের মৃত্যু, মরদেহকেই ‘বিয়ে’ তরুণীর
পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে শ্রমিককে হত্যার অভিযোগ
নতুন পে স্কেল বাস্তবায়ন নিয়ে ফের জটিলতা
যুক্তরাষ্ট্র-চীনের আলোচনায় বিরল খনিজ ও সয়াবিন নিয়ে অগ্রগতি
- আপডেট সময় ০৭:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
- / ২৩ বার পড়া হয়েছে
যুক্তরাষ্ট্র ও চীন আসন্ন বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে শি জিনপিং ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে বৈঠক হওয়ার আগে সব দ্বিপাক্ষিক বিষয় সমাধান করা সম্ভব নয়। তবে দুজন দেশের মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অগ্রগতির আশা রয়েছে, যা অর্থনৈতিক বাজারকে স্থিতিশীল রাখতে এবং সাময়িক প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে ক্ষতি কমাতে সহায়তা করবে। আলোচনার মূল বিষয়গুলো হলো চীনের বিরল খনিজের রপ্তানি, আমেরিকার সেনসিটিভ প্রযুক্তির রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ এবং অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক সমস্যা। চীনের শীর্ষ বাণিজ্য কর্মকর্তা লি চেংগাং বলছেন, ‘প্রাথমিকভাবে একমত’ হয়েছেন তাঁরা। ট্রাম্পের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেন, ‘একটি সফল কাঠামো গড়ে উঠেছে’। ট্রাম্পও আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, চীনা কর্মকর্তারা ‘চুক্তি করতে ইচ্ছুক এবং আমরাও চুক্তি করতে চাই’। চীন বিশ্বের অন্যতম প্রধান বিরল খনিজের উৎপাদক ও রপ্তানিকারক। এই খনিজের প্রয়োজন হয় যুদ্ধবিমান, রোবট, বৈদ্যুতিক গাড়ি ও অন্যান্য উচ্চ প্রযুক্তির পণ্য তৈরিতে। সম্প্রতি চীন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আরও কঠোর করেছে। মার্কিন কর্মকর্তাদের ধারণা, চীনের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ এক বছর পর্যন্ত স্থগিত থাকতে পারে। অন্যদিকে, মার্কিন সয়াবিনের ব্যাপারেও চীন গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলছে। এই বছর চীন আমেরিকান সয়াবিন কেনা বন্ধ করেছে এবং ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার দিকে ঝুঁকছে। তবে আলোচনাসূত্রে মার্কিন কৃষকদের জন্য সয়াবিন কেনার সম্ভাবনা আবার দেখা দিতে পারে। আমেরিকার রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ বিষয়টিও আলোচনায় রয়েছ। চীন চাইছে সেনসিটিভ প্রযুক্তির রপ্তানিতে কিছু শিথিলতা। সম্প্রতি মার্কিন বাণিজ্য বিভাগ নতুন নিয়ম করে রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আর কঠোর করেছে। চীন তা ‘কঠোর ও অবিচার’ বলে সমালোচনা করেছে। ট্রাম্প আরও চান ফেন্টানিল সংক্রান্ত শুল্কের বিষয়েও আলোচনা হোক। ফেব্রুয়ারিতে তিনি ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন চীনা আমদানি পণ্যের ওপর। এর জবাবে চীন কয়েকটি কৃষি পণ্যে প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, মার্কিন ও চীনের মূল সমস্যা হলো অর্থনৈতিক কাঠামোর পার্থক্য এবং উভয় দেশের উদ্ভাবনী ও উৎপাদন ক্ষমতার ব্যবধান। তাই দুই দেশের জন্য ‘সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্নতা’ সম্ভব নয়। বর্তমানে আলোচনার মূল লক্ষ্য হলো তাত্ত্বিকভাবে বিরোধ কমানো, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এই বিষয়গুলোর স্থায়ী সমাধান নয়। সূত্র: এপি
প্রিন্ট





















