, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

তানজানিয়ায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় প্রায় ৭০০ নিহত

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
  • / ২১ বার পড়া হয়েছে

তানজানিয়ায় গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত বিতর্কিত নির্বাচনের পর শুরু হওয়া আন্দোলনে প্রায় ৭০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে চাদেমা পার্টি জানিয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চাদেমা পার্টির মুখপাত্র জন কিতোকা জানিয়েছেন, ‘দার-এস-সালামে প্রায় ৩৫০ জন এবং এমওয়ানজাতে ২০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। অন্যান্য এলাকায় হতাহতের সংখ্যা মিলিয়ে এটি প্রায় ৭০০ হবে।’ নিরাপত্তা বাহিনীর এক সূত্রও একই সংখ্যার কথা উল্লেখ করেছে। তবে জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে এখন পর্যন্ত মাত্র ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নির্বাচনের বিরোধী দল অংশ নেয়ার অনুমতি না পাওয়ায় মঙ্গলবার থেকে দার-এস-সালামে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়। নির্বাচনের ফলাফলে বাধা, ও বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়নের প্রতিবাদে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। তারা অসংখ্য গাড়ি, পেট্রোল স্টেশন ও থানায় আগুন দিয়েছে। আন্দোলন এখন তৃতীয় দিন অতিক্রম করেছে। তারা দাবি করছে, নির্বাচন কমিশন ফলাফল ঘোষণা বন্ধ করুক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকার রাস্তায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে এবং অনেক এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার দার-এস-সালামের এমবাগালা, গোঙ্গো লা এমবোতো ও কিলুভইয়া এলাকায় কারফিউ ভঙ্গ করে রাস্তায় নামলে তাদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয় এবং গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। তানজানিয়া ১৯৬১ সালে স্বাধীনতা লাভ করে। দেশটি চামা চা মাপিনদুজি (সিসিএম) দলের শাসনে রয়েছে। বুধবারের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসান তার প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বীকে ভোটে অংশ নিতে দেননি। ২০২১ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট জন মাগুফুলির মৃত্যুর পর নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন সামিয়া সুলুহু হাসান।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

তানজানিয়ায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় প্রায় ৭০০ নিহত

আপডেট সময় ১০:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫

তানজানিয়ায় গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত বিতর্কিত নির্বাচনের পর শুরু হওয়া আন্দোলনে প্রায় ৭০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে চাদেমা পার্টি জানিয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চাদেমা পার্টির মুখপাত্র জন কিতোকা জানিয়েছেন, ‘দার-এস-সালামে প্রায় ৩৫০ জন এবং এমওয়ানজাতে ২০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। অন্যান্য এলাকায় হতাহতের সংখ্যা মিলিয়ে এটি প্রায় ৭০০ হবে।’ নিরাপত্তা বাহিনীর এক সূত্রও একই সংখ্যার কথা উল্লেখ করেছে। তবে জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে এখন পর্যন্ত মাত্র ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নির্বাচনের বিরোধী দল অংশ নেয়ার অনুমতি না পাওয়ায় মঙ্গলবার থেকে দার-এস-সালামে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়। নির্বাচনের ফলাফলে বাধা, ও বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়নের প্রতিবাদে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। তারা অসংখ্য গাড়ি, পেট্রোল স্টেশন ও থানায় আগুন দিয়েছে। আন্দোলন এখন তৃতীয় দিন অতিক্রম করেছে। তারা দাবি করছে, নির্বাচন কমিশন ফলাফল ঘোষণা বন্ধ করুক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকার রাস্তায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে এবং অনেক এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার দার-এস-সালামের এমবাগালা, গোঙ্গো লা এমবোতো ও কিলুভইয়া এলাকায় কারফিউ ভঙ্গ করে রাস্তায় নামলে তাদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয় এবং গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। তানজানিয়া ১৯৬১ সালে স্বাধীনতা লাভ করে। দেশটি চামা চা মাপিনদুজি (সিসিএম) দলের শাসনে রয়েছে। বুধবারের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসান তার প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বীকে ভোটে অংশ নিতে দেননি। ২০২১ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট জন মাগুফুলির মৃত্যুর পর নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন সামিয়া সুলুহু হাসান।


প্রিন্ট