, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

ইউক্রেনকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের হাতে

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৭ বার পড়া হয়েছে

ইউক্রেনকে দীর্ঘপাল্লার টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার বিষয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ (পেন্টাগন)। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাতে। এই বিষয়ে অবগত তিনজন মার্কিন ও ইউরোপীয় কর্মকর্তার ভাষ্য দিয়ে সিএনএন এ খবর প্রকাশ করেছে। পেন্টাগনের মতামত অনুযায়ী, এই ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহে যুক্তরাষ্ট্রের মজুদে কোনো ঘাটতি হবে না। তবে ট্রাম্প আগেই জানিয়েছেন, তিনি ইউক্রেনকে টমাহক সরবরাহে আগ্রহী নন। হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি বলেন, ‘আমরা এমন কিছু দিতে চাই না যা আমাদের নিজস্ব নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর।’ জেলেনস্কি রাশিয়ার তেল ও জ্বালানি স্থাপনাগুলিতে আঘাত হানার জন্য এই ক্ষেপণাস্ত্র চেয়ে আসছেন। টমাহকের দূরত্ব প্রায় এক হাজার মাইল। ইউরোপীয় দেশগুলো মনে করছে, পেন্টাগনের এই অনুমোদনের পর যুক্তরাষ্ট্র আর দেবে না বলার কোনো অজুহাত রইল না। তবে ট্রাম্পের অবস্থান হঠাৎ বদলে যায়। জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের আগে তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেক টমাহক আছে, চাইলে দিতে পারি।’ কিন্তু পরে বৈঠকে তিনি বলেন, ‘আমাদের নিজেদের দেশের জন্যই এগুলো দরকার।’ এরপর ব্যক্তিগত আলোচনায় তিনি জেলেনস্কিকে জানান, আপাতত এই ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়া হবে না। ট্রাম্প এই সিদ্ধান্ত নেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথোপকথনের পরদিন। পুতিন বলেন, টমাহক রাশিয়ার বড় শহর, যেমন মস্কো ও সেন্ট পিটার্সবার্গে আঘাত হানতে পারে, যা যুদ্ধক্ষেত্রে তেমন প্রভাব না ফেললেও যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া সম্পর্কের ক্ষতি করবে। যদিও ট্রাম্প এখনও এই সিদ্ধান্ত পুরোপুরি বাতিল করেননি। হোয়াইট হাউসের সূত্র জানায়, তিনি অনুমতি দিলে দ্রুত ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হবে। পুতিনের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় অগ্রগতি না হওয়ায় ট্রাম্প সম্প্রতি রাশিয়ার তেল কোম্পানির ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন এবং বুদাপেস্টে নির্ধারিত বৈঠকও স্থগিত করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র এখন ভাবছে, ইউক্রেন কীভাবে এসব ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করবে। টমাহক সাধারণত জাহাজ বা সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপ হয়, কিন্তু ইউক্রেনের নৌবাহিনী প্রায় অকার্যকর। তাই স্থলভিত্তিক লঞ্চার সরবরাহের পরিকল্পনা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইউরোপীয় কর্মকর্তারা মনে করেন, ইউক্রেন চাইলে বিকল্প উপায় খুঁজে নিতে পারে। যেমন তারা আগে করেছে ব্রিটনের দেওয়া স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষেত্রে, যা সোভিয়েত যুগের যুদ্ধবিমানে ব্যবহার উপযোগী করে তুলেছিল। জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে বলেন, ইউক্রেন বছরের শেষ নাগাদ নিজেদের দীর্ঘপাল্লার হামলাশক্তি বাড়াতে চায়, যাতে যুদ্ধ ন্যায্য শর্তে শেষ হয়। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নির্ভুল আঘাত এবং বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞা একসঙ্গে কাজ করছে। যুদ্ধ যেন ইউক্রেনের ন্যায্য শর্তে শেষ হয়, সেজন্য বছরের শেষ নাগাদ আমাদের সব দীর্ঘপাল্লার লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে।’ সূত্র: সিএনএন


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

ইউক্রেনকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের হাতে

আপডেট সময় ০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫

ইউক্রেনকে দীর্ঘপাল্লার টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার বিষয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ (পেন্টাগন)। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাতে। এই বিষয়ে অবগত তিনজন মার্কিন ও ইউরোপীয় কর্মকর্তার ভাষ্য দিয়ে সিএনএন এ খবর প্রকাশ করেছে। পেন্টাগনের মতামত অনুযায়ী, এই ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহে যুক্তরাষ্ট্রের মজুদে কোনো ঘাটতি হবে না। তবে ট্রাম্প আগেই জানিয়েছেন, তিনি ইউক্রেনকে টমাহক সরবরাহে আগ্রহী নন। হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি বলেন, ‘আমরা এমন কিছু দিতে চাই না যা আমাদের নিজস্ব নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর।’ জেলেনস্কি রাশিয়ার তেল ও জ্বালানি স্থাপনাগুলিতে আঘাত হানার জন্য এই ক্ষেপণাস্ত্র চেয়ে আসছেন। টমাহকের দূরত্ব প্রায় এক হাজার মাইল। ইউরোপীয় দেশগুলো মনে করছে, পেন্টাগনের এই অনুমোদনের পর যুক্তরাষ্ট্র আর দেবে না বলার কোনো অজুহাত রইল না। তবে ট্রাম্পের অবস্থান হঠাৎ বদলে যায়। জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের আগে তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেক টমাহক আছে, চাইলে দিতে পারি।’ কিন্তু পরে বৈঠকে তিনি বলেন, ‘আমাদের নিজেদের দেশের জন্যই এগুলো দরকার।’ এরপর ব্যক্তিগত আলোচনায় তিনি জেলেনস্কিকে জানান, আপাতত এই ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়া হবে না। ট্রাম্প এই সিদ্ধান্ত নেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথোপকথনের পরদিন। পুতিন বলেন, টমাহক রাশিয়ার বড় শহর, যেমন মস্কো ও সেন্ট পিটার্সবার্গে আঘাত হানতে পারে, যা যুদ্ধক্ষেত্রে তেমন প্রভাব না ফেললেও যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া সম্পর্কের ক্ষতি করবে। যদিও ট্রাম্প এখনও এই সিদ্ধান্ত পুরোপুরি বাতিল করেননি। হোয়াইট হাউসের সূত্র জানায়, তিনি অনুমতি দিলে দ্রুত ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হবে। পুতিনের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় অগ্রগতি না হওয়ায় ট্রাম্প সম্প্রতি রাশিয়ার তেল কোম্পানির ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন এবং বুদাপেস্টে নির্ধারিত বৈঠকও স্থগিত করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র এখন ভাবছে, ইউক্রেন কীভাবে এসব ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করবে। টমাহক সাধারণত জাহাজ বা সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপ হয়, কিন্তু ইউক্রেনের নৌবাহিনী প্রায় অকার্যকর। তাই স্থলভিত্তিক লঞ্চার সরবরাহের পরিকল্পনা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইউরোপীয় কর্মকর্তারা মনে করেন, ইউক্রেন চাইলে বিকল্প উপায় খুঁজে নিতে পারে। যেমন তারা আগে করেছে ব্রিটনের দেওয়া স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষেত্রে, যা সোভিয়েত যুগের যুদ্ধবিমানে ব্যবহার উপযোগী করে তুলেছিল। জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে বলেন, ইউক্রেন বছরের শেষ নাগাদ নিজেদের দীর্ঘপাল্লার হামলাশক্তি বাড়াতে চায়, যাতে যুদ্ধ ন্যায্য শর্তে শেষ হয়। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নির্ভুল আঘাত এবং বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞা একসঙ্গে কাজ করছে। যুদ্ধ যেন ইউক্রেনের ন্যায্য শর্তে শেষ হয়, সেজন্য বছরের শেষ নাগাদ আমাদের সব দীর্ঘপাল্লার লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে।’ সূত্র: সিএনএন


প্রিন্ট