বড়পুকুরিয়ায় খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করে দোয়া
ফুলবাড়ীতে শিশু পার্ক উদ্বোধন
আমি চাই ও আমার হাত ছেড়ে দিক
চীনের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের
টিকটকে উসকানিমূলক ভিডিও, আ.লীগ নেত্রী সুলতানা আটক
শুরু হলো মহান বিজয়ের মাস
সেন্টমার্টিনে আজ থেকে রাতযাপনের সুযোগ, মানতে হবে যেসব শর্ত
বাবা-ভাইদের হাতে প্রেমিকের মৃত্যু, মরদেহকেই ‘বিয়ে’ তরুণীর
পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে শ্রমিককে হত্যার অভিযোগ
নতুন পে স্কেল বাস্তবায়ন নিয়ে ফের জটিলতা
পারমাণবিক বিস্ফোরণ চালাচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র: জ্বালানি মন্ত্রী
- আপডেট সময় ০৫:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫
- / ২০ বার পড়া হয়েছে
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক ঘোষণা নিয়ে বিশ্বজুড়ে যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছিল, তা প্রশমিত করতে উদ্যোগ নিয়েছেন দেশটির জ্বালানি মন্ত্রী ক্রিস রাইট। তিনি স্পষ্ট করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র কোনও পারমাণবিক বিস্ফোরণ চালানোর পরিকল্পনা করছে না। রোববার (২ নভেম্বর) ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাইট বলেন, “এগুলো সত্যিকারের পারমাণবিক বিস্ফোরণ নয়। আমরা যে পরীক্ষা করি তা হলো ‘নন-ক্রিটিক্যাল এক্সপ্লোশন’, অর্থাৎ পারমাণবিক বিস্ফোরণ ছাড়াই বিভিন্ন অংশের পরীক্ষামূলক পরীক্ষা।” এর আগে ট্রাম্প ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ প্ল্যাটফর্মে লিখেছিলেন, তিনি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন, প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তিগুলোর সমান ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা শুরু করতে। এর ফলে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। তবে রাইট উল্লেখ করেন, নেভাদা মরুভূমির কাছাকাছি বসবাসকারী আমেরিকানরা ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তিনি বলেন, “নেভাদা ন্যাশনাল সিকিউরিটি সাইটের আশপাশে থাকা মানুষদের কোনও চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। এই পরীক্ষাগুলোতে পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটানো হবে না, বরং অস্ত্রের অন্যান্য অংশের পরীক্ষা চালানো হবে যাতে সঠিক গঠন ও প্রস্তুতি নিশ্চিত করা যায়।” ট্রাম্পের মন্তব্যের পরে অনেকের মনে হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯২ সালের পর প্রথমবারের মতো পূর্ণাঙ্গ পারমাণবিক বিস্ফোরণ আবার শুরু করতে যাচ্ছে। তবে জ্বালানি মন্ত্রীর মন্তব্য সেই আশংকা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে। শুক্রবার সিবিএসের ‘৬০ মিনিটস’ অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প আবারও বলেন, “আমরা অন্যান্য দেশের মতোই পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা করব।” তিনি দাবি করেন, রাশিয়া ও চীন এই ধরনের পরীক্ষা চালাচ্ছে, যদিও তারা তা প্রকাশ্যে স্বীকার করছে না। তবে রাশিয়া ও চীনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা ১৯৯০ ও ১৯৯৬ সালের পর থেকে কোনও পারমাণবিক বিস্ফোরণ চালায়নি। সোমবার বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিংও বলেন, “একটি দায়িত্বশীল পারমাণবিক রাষ্ট্র হিসেবে চীন নিজেদের আত্মরক্ষা নীতিতে বিশ্বাস করে এবং পারমাণবিক পরীক্ষা স্থগিত রাখার প্রতিশ্রুতি পালন করছে।” রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভও বলেছেন, “রাশিয়া কোনও পারমাণবিক পরীক্ষা চালায়নি।” তিনি আরও জানান, “পোসেইডন ও বুরেভেস্তনিক অস্ত্রের পরীক্ষার তথ্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছেছে বলে আশা করি। তবে এগুলো কোনওভাবেই পারমাণবিক পরীক্ষা নয়।” বর্তমানে একমাত্র দেশ হিসেবে উত্তর কোরিয়া ১৯৯০ সালের পর পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়েছে। যদিও ২০১৮ সালে দেশটি পরীক্ষার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছিল। আমেরিকান বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, রাশিয়ার কাছে প্রায় ৫ হাজার ৪৫৯টি এবং যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ৫ হাজার ১৭৭টি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। চীনের কাছে রয়েছে প্রায় ৬০০টি, ফ্রান্সের ২৯০টি, যুক্তরাজ্যের ২২৫টি, ভারতের ১৮০টি, পাকিস্তানের ১৭০টি, ইসরায়েলের ৯০টি এবং উত্তর কোরিয়ার ৫০টি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ‘সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ’ (সিসিসি)-এর মতে, গত পাঁচ বছরে চীন তার পারমাণবিক সম্পদের পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ করেছে, এবং ২০৩০ সালের মধ্যে তা এক হাজারের বেশি হতে পারে। সূত্র: বিবিসি
প্রিন্ট




















