খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে সুখবর দিলেন তথ্য উপদেষ্টা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক ইউপি সদস্যের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা অন্তত ১৯৩
ইসরায়েলি প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চাইলেন নেতানিয়াহু
হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখতে গেলেন তামিম ইকবাল
নোয়াখালীতে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় কোরআন খতম ও দোয়া
মসজিদে বিয়ে ও সমালোচনা নিয়ে মুখ খুললেন শবনম ফারিয়া
দেশে বাড়লো সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম
ইসরায়েলি হামলার গাজায় নিহত ৭০ হাজারের বেশি
খাদ্য অধিদপ্তরের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস
ভিসা জালিয়াতির আশঙ্কায় ভারতীয় শিক্ষার্থীদের আবেদন বাতিল করছে কানাডা
- আপডেট সময় ০৫:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫
- / ২১ বার পড়া হয়েছে
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণে কঠোর নীতি গ্রহণের ফলে কানাডায় পড়াশোনার সুযোগ কমে যাচ্ছে ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের জন্য। সরকারীভাবে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, প্রতারণা রোধে নেওয়া পদক্ষেপের কারণে বর্তমানে কানাডা বেশিরভাগ ভারতীয় আবেদনকারীদের প্রত্যাখ্যান করছে। ২০২৫ সালের আগস্টে কানাডার বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ভর্তির জন্য আবেদনকারীদের মধ্যে প্রায় ৭৪ শতাংশ স্টাডি পারমিটের আবেদন বাতিল হয়েছে। এর আগে, গত বছরের একই সময়ে এই হার ছিল প্রায় ৩২ শতাংশ। অন্যদিকে, সব দেশের মধ্যে গড়ে ৪০ শতাংশ আবেদন বাতিল হয়েছে, যেখানে চীনা আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে এই হার ছিল ২৪ শতাংশ। একই সঙ্গে ভারতীয় আবেদনকারীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। ২০২৩ সালের আগস্টে যেখানে ২০ হাজার ৯০০ জন ভারতীয় শিক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন, সেখানে ২০২৫ সালের আগস্টে সেই সংখ্যা নেমে এসেছে মাত্র ৪ হাজার ৫১৫-এ। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কানাডায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় উৎস ছিল ভারত। তবে এখন দেশটি ভারতীয় আবেদনকারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার দেখাচ্ছে। এই পরিস্থিতি তখনই দেখা দিচ্ছে যখন দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। ২০২৩ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো কানাডায় এক ভারতীয় নাগরিক হত্যাকাণ্ডে ভারতের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ করেছিলেন, যা ভারতের পক্ষ থেকে বারবার অস্বীকার করা হয়েছে। ২০২৩ সালে কানাডীয় কর্তৃপক্ষ প্রায় ১ হাজার ৫৫০টি জাল স্টাডি পারমিটের আবেদন শনাক্ত করেছিল, যার বেশিরভাগই ছিল ভারত থেকে। ২০২৪ সালে উন্নত যাচাইকরণ ব্যবস্থা চালুর পর দেশটি ১৪ হাজারের বেশি সন্দেহজনক ভর্তির অনুমতিপত্র শনাক্ত করে। এর ফলে কানাডা এখন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ কঠোরভাবে যাচাই করছে এবং আবেদন প্রক্রিয়াও আরও কঠিন করে তুলেছে। অটোয়ায় ভারতীয় দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আমরা জানি কানাডা স্টাডি পারমিটের প্রত্যাখ্যানের হার বাড়িয়েছে, তবে এটি তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তবে আমাদের মনে হয়, বিশ্বের অন্যতম মেধাবী শিক্ষার্থীদের বড় অংশই ভারতের, এবং এর আগেও কানাডার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এই শিক্ষার্থীদের মেধা ও যোগ্যতা থেকে উপকৃত হয়েছে।’ কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রী অনিতা আনন্দ বলেছেন, দেশটি অভিবাসন ব্যবস্থার স্বচ্ছতা বজায় রাখতে চায়, তবে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সুযোগ অব্যাহত থাকবে। কানাডার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যে ভারতীয় শিক্ষার্থীর ভর্তির ক্ষেত্রে বড় পতন লক্ষ্য করছে। ইউনিভার্সিটি অব ওয়াটারলু জানিয়েছে, গত তিন থেকে চার বছরে সেখানে ভারতীয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা দুই-তৃতীয়াংশ কমে গেছে। একই ধরনের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে ইউনিভার্সিটি অব রেজিনা ও ইউনিভার্সিটি অব সাসকাচেওয়ানে। আন্তর্জাতিক শিখ স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা জশপ্রীত সিং, যিনি ২০১৫ সালে ভারত থেকে কানাডায় পড়তে এসেছিলেন, বলেন, ‘আগে সরকার সবাইকে উৎসাহ দিত— “অধ্যয়ন, কাজ, স্থায়ী হওয়া”। এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি বুঝি জালিয়াতির ভয় আছে, কিন্তু এখন অনেক শিক্ষার্থী মনে করছে কানাডায় পড়া কঠিন হয়ে পড়েছে। কেউ কেউ বলছেন, আবেদন বাতিল হওয়ায় তারা খুশি— কারণ এখন কানাডায় পড়াশোনা শেষে থাকা বা চাকরি পাওয়া প্রায় অসম্ভব।’ সূত্র: রয়টার্স
প্রিন্ট














