, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

চীনের নতুন বিমানবাহী রণতরী ‘ফুজিয়ান’ উদ্বোধন

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫
  • / ২৭ বার পড়া হয়েছে

চীনের সর্বাধুনিক বিমানবাহী রণতরী ‘ফুজিয়ান’ আনুষ্ঠানিকভাবে নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হলো। সরকারি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, সম্প্রতি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের উপস্থিতিতে বিশাল আয়োজনে এর কমিশনিং সম্পন্ন হয়, এরপর এটি আনুষ্ঠানিকভাবে সেবায় প্রবেশ করে। ‘ফুজিয়ান’ চীনের তৃতীয় বিমানবাহী রণতরী, যা অত্যাধুনিক ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপল্ট সিস্টেমে সুসজ্জিত। এই প্রযুক্তির সুবিধায় যুদ্ধবিমানগুলো দ্রুত আকাশে উড্ডয়ন করতে সক্ষম হবে। রণতরীর এই সংযোজন চীনের নৌসক্ষমতাকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। বর্তমানে চীন বিশ্বের সবচেয়ে বড় নৌবাহিনীর অধিকারী, যার জাহাজের সংখ্যা বিশাল। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নেতৃত্বে দেশটি দ্রুত নৌসামরিক শক্তি বৃদ্ধি করছে, যা যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ। সরকারি সংবাদমাধ্যম বলেছে, ফুজিয়ান একসঙ্গে তিন ধরনের বিমান উৎক্ষেপণ করতে পারে। সমতল ফ্লোরডেক এবং ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপল্ট ব্যবস্থার কারণে এর বহনক্ষমতা বাড়ে, ভারী অস্ত্র ও জ্বালানি বহন করতে সক্ষম। এর হামলা ও ক্ষমতা আগের দুই রণতরী ‘লিয়াওনিং’ ও ‘শানদং’ এর তুলনায় অনেক বেশি। উল্লেখ্য, এই দুই রণতরী রাশিয়ার নির্মিত। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে ফুজিয়ানকে দেশের নৌবাহিনীর উন্নয়নে ‘একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। বিশ্বে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কাছেই একমাত্র দেশ যেখানে ফুজিয়ান মত ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপল্ট প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে। দক্ষিণ চীনের হাইনান প্রদেশের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শি জিনপিং রণতরীর ডেক পরিদর্শন করেন ও সমুদ্রে এর পারফরম্যান্সের বিস্তারিত তথ্য শোনেন। সরকারি সংস্থাটি জানিয়েছে, এই উন্নত প্রযুক্তি যুক্ত করার সিদ্ধান্ত শি জিনপিংয়ের ব্যক্তিগত উদ্যোগে নেওয়া। অনুষ্ঠানে শি জিনপিং নাবিকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং সবাই একসঙ্গে স্যালুট দিয়ে স্লোগান দেয়— ‘দলের নির্দেশ অনুসরণ করো, বিজয়ের জন্য লড়ো, উত্তম চরিত্র বজায় রাখো।’


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

চীনের নতুন বিমানবাহী রণতরী ‘ফুজিয়ান’ উদ্বোধন

আপডেট সময় ০৭:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫

চীনের সর্বাধুনিক বিমানবাহী রণতরী ‘ফুজিয়ান’ আনুষ্ঠানিকভাবে নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হলো। সরকারি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, সম্প্রতি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের উপস্থিতিতে বিশাল আয়োজনে এর কমিশনিং সম্পন্ন হয়, এরপর এটি আনুষ্ঠানিকভাবে সেবায় প্রবেশ করে। ‘ফুজিয়ান’ চীনের তৃতীয় বিমানবাহী রণতরী, যা অত্যাধুনিক ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপল্ট সিস্টেমে সুসজ্জিত। এই প্রযুক্তির সুবিধায় যুদ্ধবিমানগুলো দ্রুত আকাশে উড্ডয়ন করতে সক্ষম হবে। রণতরীর এই সংযোজন চীনের নৌসক্ষমতাকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। বর্তমানে চীন বিশ্বের সবচেয়ে বড় নৌবাহিনীর অধিকারী, যার জাহাজের সংখ্যা বিশাল। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নেতৃত্বে দেশটি দ্রুত নৌসামরিক শক্তি বৃদ্ধি করছে, যা যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ। সরকারি সংবাদমাধ্যম বলেছে, ফুজিয়ান একসঙ্গে তিন ধরনের বিমান উৎক্ষেপণ করতে পারে। সমতল ফ্লোরডেক এবং ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপল্ট ব্যবস্থার কারণে এর বহনক্ষমতা বাড়ে, ভারী অস্ত্র ও জ্বালানি বহন করতে সক্ষম। এর হামলা ও ক্ষমতা আগের দুই রণতরী ‘লিয়াওনিং’ ও ‘শানদং’ এর তুলনায় অনেক বেশি। উল্লেখ্য, এই দুই রণতরী রাশিয়ার নির্মিত। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে ফুজিয়ানকে দেশের নৌবাহিনীর উন্নয়নে ‘একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। বিশ্বে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কাছেই একমাত্র দেশ যেখানে ফুজিয়ান মত ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপল্ট প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে। দক্ষিণ চীনের হাইনান প্রদেশের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শি জিনপিং রণতরীর ডেক পরিদর্শন করেন ও সমুদ্রে এর পারফরম্যান্সের বিস্তারিত তথ্য শোনেন। সরকারি সংস্থাটি জানিয়েছে, এই উন্নত প্রযুক্তি যুক্ত করার সিদ্ধান্ত শি জিনপিংয়ের ব্যক্তিগত উদ্যোগে নেওয়া। অনুষ্ঠানে শি জিনপিং নাবিকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং সবাই একসঙ্গে স্যালুট দিয়ে স্লোগান দেয়— ‘দলের নির্দেশ অনুসরণ করো, বিজয়ের জন্য লড়ো, উত্তম চরিত্র বজায় রাখো।’


প্রিন্ট