খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে সুখবর দিলেন তথ্য উপদেষ্টা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক ইউপি সদস্যের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা অন্তত ১৯৩
ইসরায়েলি প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চাইলেন নেতানিয়াহু
হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখতে গেলেন তামিম ইকবাল
নোয়াখালীতে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় কোরআন খতম ও দোয়া
মসজিদে বিয়ে ও সমালোচনা নিয়ে মুখ খুললেন শবনম ফারিয়া
দেশে বাড়লো সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম
ইসরায়েলি হামলার গাজায় নিহত ৭০ হাজারের বেশি
খাদ্য অধিদপ্তরের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস
পুলিশ হেফাজতে সেই খতিব, নিখোঁজের পেছনের আসল ঘটনার স্বীকারোক্তি
- আপডেট সময় ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
- / ২২ বার পড়া হয়েছে
গাজীপুরের টঙ্গীর টিঅ্যান্ডটি কলোনি জামে মসজিদের খতিব ও পেশ ইমাম মো. মহিবুল্লাহ মিয়াজীর নিখোঁজের পেছনের সত্যতা জানা গেছে। ইতোমধ্যে পুলিশ তাকে নিরাপত্তা হেফাজতে নিয়েছে। সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাতে তাকে টঙ্গী পূর্ব থানার পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়। তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন নিখোঁজের কারণ। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) একজন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, যার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, যে, ইমাম মহিবুল্লাহ অপহরণের জন্য ইসকনকে দায়ী করা হয়েছিল। তবে তদন্তে জানা গেছে— তিনি কোনো অপহরণের শিকার হননি। তিনি নিজে শ্যামলী পরিবহনের টিকিট কেটে পঞ্চগড় গিয়েছেন। প্রযুক্তির সাহায্যে এ বিষয়ে তদন্ত চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় ইমাম মহিবুল্লাহর সহযাত্রী ও বাসের সুপারভাইজারও পুলিশের নজরদারিতে আছেন। তিনি আরও জানান, সম্প্রতি ইমাম মহিবুল্লাহ পুলিশকে সত্য ঘটনা বলেছেন। তার দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে। আজ (২৮ অক্টোবর) তাকে আদালতে হাজির করা হবে। পরবর্তী সময়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে। এর আগে, গত বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে টঙ্গীর বাসা থেকে হাঁটতে বের হয়ে তিনি নিখোঁজ হন। পরের দিন বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পঞ্চগড় সদর ইউনিয়নের সিতাগ্রাম হেলিপ্যাড এলাকা থেকে তাকে শিকল বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় টঙ্গী পূর্ব থানায় অপহরণের মামলা দায়ের করা হয়। অন্যদিকে, খতিব মুফতি মহিবুল্লাহ মিয়াজীর নিখোঁজের বিষয়ে নতুন তথ্য দিয়েছেন আলজাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের সামি। তিনি জানিয়েছেন, মহিবুল্লাহ মিয়াজীর নিজের দেওয়া অপহরণের বিবরণ সিসিটিভি ফুটেজের সঙ্গে মিলেনি। ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২২ অক্টোবর সকাল ৭টার সময় টঙ্গীর শিলমুন এক্সিস লিংক সিএনজি ফিলিং অ্যান্ড কনভার্সন সেন্টারের সামনে থেকে তাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে দাবি করা হলেও, সিসিটিভি ফুটেজে প্রমাণ মেলে না। ওই সময় তিনি ঘর থেকে বের হন, বাম হাতে দরজা খুলে বাইরে যান, পেছন ফিরে তাকাননি এবং টিনের দরজা বন্ধ হয়ে যায়। সকাল ৬টা ৫৩ মিনিটে তিনি মসজিদ ত্যাগ করেন এবং প্রায় ৬টা ৫৪ মিনিটে কালীগঞ্জের দিকে রওনা দেন। পরনে ছিল সাদা পাঞ্জাবি-পাজামা, মাথায় কালো পাগড়ি। সায়ের আরও জানান, মহিবুল্লাহর বাসার কাছের চারটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজেও অজুহাতের অপহরণের কোন ছবি পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন কোণ থেকে নেওয়া চারটি ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা যায়, সকাল ৭টা ১৮ মিনিটে তিনি দ্রুত হাঁটছেন। ফিলিং স্টেশনের সামনে একটি অ্যাম্বুলেন্স তাকে পথরোধ করে ধরে নেওয়া হয় বলে দাবি হলেও ফুটেজে এর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বরং, তাকে একা দ্রুত হাঁটতে দেখা গেছে। পুলিশি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, তিনি নিজে হাঁটছেন। কিন্তু এজাহারে বলা হয়েছে, ফিলিং স্টেশনের সামনে তাকে অপহরণ করা হয়। সকাল ৬টা ৫৪ মিনিটে এলাকা থেকে রওনা হয়ে, তিনি প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে সেই ফিলিং স্টেশনে পৌঁছান সকাল ৭টা ১৮ মিনিটে। ফিলিং স্টেশনের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. সোলেইমান জানিয়েছেন, পুলিশ তিন দফায় বিভিন্ন শাখার মাধ্যমে আমাদের সিসিটিভি পর্যবেক্ষণ করেছে, সেখানে কোনো অপহরণের ঘটনা ধরা পড়েনি।
প্রিন্ট















