, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

বন্দুক ঠেকিয়ে এতিমখানার ১২ গরু লুট

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৫ বার পড়া হয়েছে

কুমিল্লার লাকসামে একটি এতিমখানার গরুর খামারে তিন মাসে দুইবার অস্ত্রের মুখে ১২টি গরু লুটের ঘটনা ঘটেছে। এই দুই দফায় ডাকাত দল ২৫ লাখ টাকার দুধের গরু চুরি করে নিয়ে গেছে। ঘটনার স্থান লাকসাম উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের বড়বাম আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদরাসা ও এতিমখানায়। এই ঘটনার ফলে ছাত্র-শিক্ষক ও কেয়ারটেকারসহ মোট আটজন আহত হয়েছেন। রোববার (২ নভেম্বর) ওই মাদরাসায় গিয়ে এ তথ্য জানা যায়। শিক্ষকদের ও স্থানীয়দের মতে, এই খামারের অর্থ দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হয়। তিন মাসের মধ্যে দুটি দফায় ডাকাতি হওয়ায় শিক্ষক এবং ছাত্রদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বড় গরুগুলোর লুটের ঘটনা ঘটেছে। খামারের একপাশ খালি হয়ে গেছে। বর্তমানে সেখানে ১১টি গরু আছে। খামারের সামনে পড়ে থাকা তুষের বস্তাগুলো দিয়ে গরু ভ্যানে তোলা হয়। এলাকাবাসী গরু উদ্ধারের পাশাপাশি ডাকাত দলের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। মামলার বাদী শিক্ষক ইমরান হোসাইন জানান, গত শুক্রবার ভোরে একদল ডাকাত দুটি পিকআপ গাড়ি নিয়ে এসে অস্ত্রের ভয়ে মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে। এ সময় শিক্ষকরা মারধর করে তাদের মোবাইল ফোনগুলোও ডাকাতদের কাছে নিয়ে যায়। এরপর তারা মাদরাসার পাশের গরুর খামারে ঢুকে কেয়ারটেকার উৎসব হোসেনকে বেঁধে একে একে পাঁচটি গরু পিকআপে তুলে নিয়ে যায়। এলাকাবাসী চিৎকার করলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা শরীফুল আলম খন্দকার বলেন, এই গরুগুলো খামারের উপার্জনের অর্থ দিয়ে মাদরাসা পরিচালিত হয়। এছাড়া, তিন মাস আগে এই খামারে আরও সাতটি গরুর ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজনীন সুলতানা বলেন, লুট হওয়া গরুগুলো উদ্ধার ও ডাকাতদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় মাদরাসা শিক্ষক ইমরান হোসাইন লাকসাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

বন্দুক ঠেকিয়ে এতিমখানার ১২ গরু লুট

আপডেট সময় ০৭:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫

কুমিল্লার লাকসামে একটি এতিমখানার গরুর খামারে তিন মাসে দুইবার অস্ত্রের মুখে ১২টি গরু লুটের ঘটনা ঘটেছে। এই দুই দফায় ডাকাত দল ২৫ লাখ টাকার দুধের গরু চুরি করে নিয়ে গেছে। ঘটনার স্থান লাকসাম উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের বড়বাম আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদরাসা ও এতিমখানায়। এই ঘটনার ফলে ছাত্র-শিক্ষক ও কেয়ারটেকারসহ মোট আটজন আহত হয়েছেন। রোববার (২ নভেম্বর) ওই মাদরাসায় গিয়ে এ তথ্য জানা যায়। শিক্ষকদের ও স্থানীয়দের মতে, এই খামারের অর্থ দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হয়। তিন মাসের মধ্যে দুটি দফায় ডাকাতি হওয়ায় শিক্ষক এবং ছাত্রদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বড় গরুগুলোর লুটের ঘটনা ঘটেছে। খামারের একপাশ খালি হয়ে গেছে। বর্তমানে সেখানে ১১টি গরু আছে। খামারের সামনে পড়ে থাকা তুষের বস্তাগুলো দিয়ে গরু ভ্যানে তোলা হয়। এলাকাবাসী গরু উদ্ধারের পাশাপাশি ডাকাত দলের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। মামলার বাদী শিক্ষক ইমরান হোসাইন জানান, গত শুক্রবার ভোরে একদল ডাকাত দুটি পিকআপ গাড়ি নিয়ে এসে অস্ত্রের ভয়ে মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে। এ সময় শিক্ষকরা মারধর করে তাদের মোবাইল ফোনগুলোও ডাকাতদের কাছে নিয়ে যায়। এরপর তারা মাদরাসার পাশের গরুর খামারে ঢুকে কেয়ারটেকার উৎসব হোসেনকে বেঁধে একে একে পাঁচটি গরু পিকআপে তুলে নিয়ে যায়। এলাকাবাসী চিৎকার করলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা শরীফুল আলম খন্দকার বলেন, এই গরুগুলো খামারের উপার্জনের অর্থ দিয়ে মাদরাসা পরিচালিত হয়। এছাড়া, তিন মাস আগে এই খামারে আরও সাতটি গরুর ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজনীন সুলতানা বলেন, লুট হওয়া গরুগুলো উদ্ধার ও ডাকাতদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় মাদরাসা শিক্ষক ইমরান হোসাইন লাকসাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।


প্রিন্ট