, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

দুই মাসের মধ্যে সব ক্যাম্পাসে নির্বাচন দিতে হবে: ডাকসু ভিপি

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫
  • / ২১ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) সাদিক কায়েম বলেছেন, দেশের সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রধান দাবি হচ্ছে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজন। জুলাই মাসে অভ্যুত্থানের পর শিক্ষার্থীদের এই দাবি গুরুত্ব পায় এবং চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতোমধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। একইভাবে আগামী দুই মাসের মধ্যে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা প্রতিটি ক্যাম্পাসে নেতৃত্ব দেবে। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকালে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) ছাত্র শিবিরের আয়োজনে ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত ‘এক শিক্ষার্থী এক কুরআন’ প্রদান ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সাদিক কায়েম বলেন, আমরা প্রত্যাশা করি, এই দাবি নিয়ে শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসন ও কলেজ প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করবে। কিছু ক্ষেত্রে আইন সংস্কার প্রয়োজন। দ্রুত আইন সংশোধন করে জুলাইয়ের প্রজন্মের জন্য বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভব হবে। আমরা চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নেতাদের সাথে মিলিত হয়ে বিষয়টি সরকারের কাছে উপস্থাপন করব। আশা করি, সরকার যেমন চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন দিয়েছে, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোতেও দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে খুনি হাসিনা যে ফ্যাসিবাদ কায়েম করে রেখেছেন, গুম, খুন, নির্যাতন, জুলাই গণহত্যা—এসব হত্যার বিচার অবশ্যই স্বাধীন বাংলাদেশের মধ্যে সম্পন্ন হতে হবে। হাসিনা যে কাঠামো তৈরি করেছেন, সেই ফ্যাসিস্ট শাসনব্যবস্থার ভেঙে পড়া দরকার। এ জন্য প্রয়োজন সংস্কার। সাদিক কায়েম বলেন, হাসিনার সরকার অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে কোনও হত্যার বিচার সম্পন্ন করতে পারেনি; যা সবাইকে হতাশ করেছে। বরিশালে দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান তিনি। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের এক প্রশ্নের জবাবে সাদিক কায়েম বলেন, ছাত্র শিবিরকে দমন করতে হাসিনা নানা ধরণের ফ্রেমিং করেছে। এর জন্য সহায়তা করেছে কালচারাল ফ্যাসিস্ট শক্তিগুলো। তারা শিবিরকে ভয়ঙ্কর দানব হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু দেশের ছাত্র-জনতা এই ফ্রেমিং ভেঙে দিয়েছে। ডাকসু ভিপি বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো ফ্যাসিবাদে অনুগত কিছু লোক রয়েছে, যাদের দ্রুত অপসারণ করতে হবে। হাসিনার বিচার, গণহত্যা ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে এই জাতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ক্ষমা করবে না। খুব দ্রুত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং শিবিরের বিজয় হবে—পরাজয়ের কোনও সুযোগ নেই। তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশনের ৮৭টি প্রস্তাব এসেছে, যেগুলোর মধ্যে দেশের কাঠামো পরিবর্তনে প্রয়োজনীয় বড় সংস্কার প্রস্তাবনা বিএনপি নোট অব ডিসেন্ট (ভিন্নমত) দিয়েছে। যদি তারা সংস্কার না চায় এবং ফ্যাসিবাদী উপাদানগুলো রেখে দেয়, তাহলে ছাত্র-জনতা সেটা মেনে নেবে না। শিক্ষার্থীরা ও শহীদদের আকাঙ্ক্ষা হলো নতুন বাংলাদেশ গড়া, ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থাকে সরিয়ে দিয়ে রাষ্ট্রের সংস্কার করা—এমন প্রত্যাশায় ঢাবির ভিপি। ববি ছাত্র শিবিরের সভাপতি আমিনুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন এবং অর্থ ও দপ্তর সম্পাদক জাকারিয়া ইসলাম সঞ্চালনায় এ সভা হয়।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

দুই মাসের মধ্যে সব ক্যাম্পাসে নির্বাচন দিতে হবে: ডাকসু ভিপি

আপডেট সময় ০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) সাদিক কায়েম বলেছেন, দেশের সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রধান দাবি হচ্ছে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজন। জুলাই মাসে অভ্যুত্থানের পর শিক্ষার্থীদের এই দাবি গুরুত্ব পায় এবং চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতোমধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। একইভাবে আগামী দুই মাসের মধ্যে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা প্রতিটি ক্যাম্পাসে নেতৃত্ব দেবে। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকালে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) ছাত্র শিবিরের আয়োজনে ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত ‘এক শিক্ষার্থী এক কুরআন’ প্রদান ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সাদিক কায়েম বলেন, আমরা প্রত্যাশা করি, এই দাবি নিয়ে শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসন ও কলেজ প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করবে। কিছু ক্ষেত্রে আইন সংস্কার প্রয়োজন। দ্রুত আইন সংশোধন করে জুলাইয়ের প্রজন্মের জন্য বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভব হবে। আমরা চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নেতাদের সাথে মিলিত হয়ে বিষয়টি সরকারের কাছে উপস্থাপন করব। আশা করি, সরকার যেমন চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন দিয়েছে, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোতেও দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে খুনি হাসিনা যে ফ্যাসিবাদ কায়েম করে রেখেছেন, গুম, খুন, নির্যাতন, জুলাই গণহত্যা—এসব হত্যার বিচার অবশ্যই স্বাধীন বাংলাদেশের মধ্যে সম্পন্ন হতে হবে। হাসিনা যে কাঠামো তৈরি করেছেন, সেই ফ্যাসিস্ট শাসনব্যবস্থার ভেঙে পড়া দরকার। এ জন্য প্রয়োজন সংস্কার। সাদিক কায়েম বলেন, হাসিনার সরকার অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে কোনও হত্যার বিচার সম্পন্ন করতে পারেনি; যা সবাইকে হতাশ করেছে। বরিশালে দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান তিনি। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের এক প্রশ্নের জবাবে সাদিক কায়েম বলেন, ছাত্র শিবিরকে দমন করতে হাসিনা নানা ধরণের ফ্রেমিং করেছে। এর জন্য সহায়তা করেছে কালচারাল ফ্যাসিস্ট শক্তিগুলো। তারা শিবিরকে ভয়ঙ্কর দানব হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু দেশের ছাত্র-জনতা এই ফ্রেমিং ভেঙে দিয়েছে। ডাকসু ভিপি বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো ফ্যাসিবাদে অনুগত কিছু লোক রয়েছে, যাদের দ্রুত অপসারণ করতে হবে। হাসিনার বিচার, গণহত্যা ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে এই জাতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ক্ষমা করবে না। খুব দ্রুত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং শিবিরের বিজয় হবে—পরাজয়ের কোনও সুযোগ নেই। তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশনের ৮৭টি প্রস্তাব এসেছে, যেগুলোর মধ্যে দেশের কাঠামো পরিবর্তনে প্রয়োজনীয় বড় সংস্কার প্রস্তাবনা বিএনপি নোট অব ডিসেন্ট (ভিন্নমত) দিয়েছে। যদি তারা সংস্কার না চায় এবং ফ্যাসিবাদী উপাদানগুলো রেখে দেয়, তাহলে ছাত্র-জনতা সেটা মেনে নেবে না। শিক্ষার্থীরা ও শহীদদের আকাঙ্ক্ষা হলো নতুন বাংলাদেশ গড়া, ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থাকে সরিয়ে দিয়ে রাষ্ট্রের সংস্কার করা—এমন প্রত্যাশায় ঢাবির ভিপি। ববি ছাত্র শিবিরের সভাপতি আমিনুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন এবং অর্থ ও দপ্তর সম্পাদক জাকারিয়া ইসলাম সঞ্চালনায় এ সভা হয়।


প্রিন্ট