, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

গাজীপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযান নিয়ে অপপ্রচারের অভিযোগ সেনাবাহিনীর

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৮ বার পড়া হয়েছে

গাজীপুরের শ্রীপুরে অস্ত্রসহ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক মোল্লা ও তার ছয় সহযোগীকে গ্রেপ্তার করার ঘটনায় সমাজের বিভিন্ন মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় গাজীপুর মহানগরীর ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ বিষয়টি তুলে ধরেন ১৪ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল লুৎফর রহমান। তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) ভোরের সময় গাজীপুর আর্মি ক্যাম্পের তত্ত্বাবধানে, পুলিশের ও র‌্যাবের সহযোগিতায় শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরকুল গ্রামে যৌথ অভিযানে অংশ নেয়া হয়। অভিযানে স্থানীয়দের সহায়তায় নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শ্রীপুর এলাকার চিহ্নিত দুষ্কৃতকারী, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ও অবৈধ বালু উত্তোলনকারী দলের নেতা এনামুল হক মোল্লাকে তার নিজ বাড়ির পানির ট্যাংক থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই সঙ্গে তার ছয় সহযোগীকেও আটক করা হয়। আটকরা হলেন, শওকত মীর (৪৫), জাহিদ মিয়া (৪০), মোস্তফা কামাল (৩২), সিদ্দিকুর রহমান (৩৪), বুলবুল মিয়া (৩৫) এবং তোফাজ্জল হোসেন (৪৫)। অভিযানে এনামুলের কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, তিনটি ম্যাগাজিন, চার রাউন্ড গুলি, দুটি ইলেকট্রিক শক মেশিন, চারটি ওয়াকিটকি সেট, দুইটি লাইসেন্সবিহীন মোটরসাইকেল ও বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। লেফটেন্যান্ট কর্নেল লুৎফর রহমান বলেন, অত্যন্ত দু:খজনক যে, একটি বিশেষ মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই গ্রেপ্তারকে রাজনৈতিক রূপ দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কোনো ব্যক্তি বা দলের পক্ষের নয়— আমরা সবসময় ন্যায়ের পক্ষে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য ও অপপ্রচার চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বিশ্বাস করেন, অপপ্রচারকারীদের মধ্যে কেউ কেউ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িত থাকতে পারে। ব্রিফিংয়ে তিনি এলাকার মানুষদের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, যারা অপরাধীদের সম্পর্কে তথ্য দিচ্ছেন, তারা শান্তিপ্রিয় সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। ভবিষ্যতেও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল বারিক জানান, গাজীপুর সেনা ক্যাম্পের মেজর খন্দকার মহিউদ্দিন আলমগীরের নেতৃত্বে যৌথবাহিনী এই অভিযান চালায়। পরে আটক সাতজনকে থানায় এনে অস্ত্র আইনে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এনামুল হক মোল্লা বরমী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন সৌদি আরবে অবস্থান করে মক্কা মেসফালাহ বিএনপির সভাপতি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। দেশে ফিরে গাজীপুর-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে সক্রিয় রাজনীতি শুরু করেন। সেনাবাহিনী জানায়, গাজীপুরে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা এবং আসন্ন নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করতে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজীপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযান নিয়ে অপপ্রচারের অভিযোগ সেনাবাহিনীর

আপডেট সময় ০৫:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫

গাজীপুরের শ্রীপুরে অস্ত্রসহ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক মোল্লা ও তার ছয় সহযোগীকে গ্রেপ্তার করার ঘটনায় সমাজের বিভিন্ন মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় গাজীপুর মহানগরীর ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ বিষয়টি তুলে ধরেন ১৪ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল লুৎফর রহমান। তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) ভোরের সময় গাজীপুর আর্মি ক্যাম্পের তত্ত্বাবধানে, পুলিশের ও র‌্যাবের সহযোগিতায় শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরকুল গ্রামে যৌথ অভিযানে অংশ নেয়া হয়। অভিযানে স্থানীয়দের সহায়তায় নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শ্রীপুর এলাকার চিহ্নিত দুষ্কৃতকারী, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ও অবৈধ বালু উত্তোলনকারী দলের নেতা এনামুল হক মোল্লাকে তার নিজ বাড়ির পানির ট্যাংক থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই সঙ্গে তার ছয় সহযোগীকেও আটক করা হয়। আটকরা হলেন, শওকত মীর (৪৫), জাহিদ মিয়া (৪০), মোস্তফা কামাল (৩২), সিদ্দিকুর রহমান (৩৪), বুলবুল মিয়া (৩৫) এবং তোফাজ্জল হোসেন (৪৫)। অভিযানে এনামুলের কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, তিনটি ম্যাগাজিন, চার রাউন্ড গুলি, দুটি ইলেকট্রিক শক মেশিন, চারটি ওয়াকিটকি সেট, দুইটি লাইসেন্সবিহীন মোটরসাইকেল ও বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। লেফটেন্যান্ট কর্নেল লুৎফর রহমান বলেন, অত্যন্ত দু:খজনক যে, একটি বিশেষ মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই গ্রেপ্তারকে রাজনৈতিক রূপ দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কোনো ব্যক্তি বা দলের পক্ষের নয়— আমরা সবসময় ন্যায়ের পক্ষে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য ও অপপ্রচার চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বিশ্বাস করেন, অপপ্রচারকারীদের মধ্যে কেউ কেউ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িত থাকতে পারে। ব্রিফিংয়ে তিনি এলাকার মানুষদের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, যারা অপরাধীদের সম্পর্কে তথ্য দিচ্ছেন, তারা শান্তিপ্রিয় সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। ভবিষ্যতেও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল বারিক জানান, গাজীপুর সেনা ক্যাম্পের মেজর খন্দকার মহিউদ্দিন আলমগীরের নেতৃত্বে যৌথবাহিনী এই অভিযান চালায়। পরে আটক সাতজনকে থানায় এনে অস্ত্র আইনে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এনামুল হক মোল্লা বরমী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন সৌদি আরবে অবস্থান করে মক্কা মেসফালাহ বিএনপির সভাপতি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। দেশে ফিরে গাজীপুর-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে সক্রিয় রাজনীতি শুরু করেন। সেনাবাহিনী জানায়, গাজীপুরে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা এবং আসন্ন নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করতে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।


প্রিন্ট