, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

সেন্টমার্টিনে ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল চালু

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫
  • / ২৫ বার পড়া হয়েছে

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার অন্তর্গত সেন্টমার্টিন দ্বীপে দীর্ঘদিন পর নতুন করে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম শুরু হলো। দ্বীপে ২০ শয্যার একটি হাসপাতাল চালু হয়েছে, যা দ্বীপবাসীর জন্য এক বড় সুখবর। উৎসর্গ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মো. ইমরুল কায়েসের সুপারিশে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ডিএমএফ জনাব আব্দুল জলিল (বিএমডিসি নং–২৮৬০৪) কে অস্থায়ীভাবে দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি বিএমডিসির নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট শর্তে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করবেন বলে জানানো হয়েছে। এই দ্বীপে বর্তমানে প্রায় ৮,০০০ জন বাসিন্দা দীর্ঘদিন ধরে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলেন। মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা, জরুরি চিকিৎসা ও মাতৃস্বাস্থ্য পরিষেবায় নানা সময় সমস্যার সম্মুখীন হতেন তারা। নতুন এই হাসপাতালের উদ্বোধনের মাধ্যমে সেই দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হলো। স্থানীয়রা বলছেন, সেন্টমার্টিনের মতো দুর্গম এলাকায় এই পরিষেবা শুরু হওয়ায় তারা অনেক খুশি ও কৃতজ্ঞ। দ্বীপবাসীর পক্ষ থেকে কয়েকজন প্রতিনিধি বলেছেন, “এটি আমাদের জন্য এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। আমরা চাই হাসপাতালের সেবা যেন সারাবছর অব্যাহত থাকে।” এ প্রসঙ্গে উৎসর্গ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মো. ইমরুল কায়েস বলেন, “দ্বীপের অবহেলিত মানুষদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমরা চাই এই হাসপাতাল এককালীন নয়, বরং স্থায়ীভাবে স্বাস্থ্যসেবা চালু থাকুক। সে জন্য আমরা স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করে যাচ্ছি।” উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মানবিক সেবা ও স্বাস্থ্য সহায়তায় উৎসর্গ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ইতোমধ্যে পরিচিত নাম। সেন্টমার্টিনে এই হাসপাতাল চালুর ফলে পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের চিকিৎসা সুবিধাও আরও সহজলভ্য হবে বলে আশা করা হচ্ছে। দ্বীপবাসী এখন আশাবাদী— এই হাসপাতাল কেবল চিকিৎসা সেবা নয়, তাদের জীবনমান উন্নয়নের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

সেন্টমার্টিনে ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল চালু

আপডেট সময় ০৩:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার অন্তর্গত সেন্টমার্টিন দ্বীপে দীর্ঘদিন পর নতুন করে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম শুরু হলো। দ্বীপে ২০ শয্যার একটি হাসপাতাল চালু হয়েছে, যা দ্বীপবাসীর জন্য এক বড় সুখবর। উৎসর্গ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মো. ইমরুল কায়েসের সুপারিশে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ডিএমএফ জনাব আব্দুল জলিল (বিএমডিসি নং–২৮৬০৪) কে অস্থায়ীভাবে দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি বিএমডিসির নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট শর্তে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করবেন বলে জানানো হয়েছে। এই দ্বীপে বর্তমানে প্রায় ৮,০০০ জন বাসিন্দা দীর্ঘদিন ধরে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলেন। মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা, জরুরি চিকিৎসা ও মাতৃস্বাস্থ্য পরিষেবায় নানা সময় সমস্যার সম্মুখীন হতেন তারা। নতুন এই হাসপাতালের উদ্বোধনের মাধ্যমে সেই দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হলো। স্থানীয়রা বলছেন, সেন্টমার্টিনের মতো দুর্গম এলাকায় এই পরিষেবা শুরু হওয়ায় তারা অনেক খুশি ও কৃতজ্ঞ। দ্বীপবাসীর পক্ষ থেকে কয়েকজন প্রতিনিধি বলেছেন, “এটি আমাদের জন্য এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। আমরা চাই হাসপাতালের সেবা যেন সারাবছর অব্যাহত থাকে।” এ প্রসঙ্গে উৎসর্গ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মো. ইমরুল কায়েস বলেন, “দ্বীপের অবহেলিত মানুষদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমরা চাই এই হাসপাতাল এককালীন নয়, বরং স্থায়ীভাবে স্বাস্থ্যসেবা চালু থাকুক। সে জন্য আমরা স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করে যাচ্ছি।” উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মানবিক সেবা ও স্বাস্থ্য সহায়তায় উৎসর্গ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ইতোমধ্যে পরিচিত নাম। সেন্টমার্টিনে এই হাসপাতাল চালুর ফলে পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের চিকিৎসা সুবিধাও আরও সহজলভ্য হবে বলে আশা করা হচ্ছে। দ্বীপবাসী এখন আশাবাদী— এই হাসপাতাল কেবল চিকিৎসা সেবা নয়, তাদের জীবনমান উন্নয়নের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।


প্রিন্ট