, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

মাইকে ঘোষণা দিয়ে টেঁটাযুদ্ধ, আহত ১৫

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৮ বার পড়া হয়েছে

নরসিংদীতে খেয়া পারাপারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়কে কেন্দ্র করে মাইকের মাধ্যমে ঘোষণা দেওয়ার পর আবারো দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, যেখানে টেঁটাবিদ্ধসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (৮ নভেম্বর) সকালে সদর উপজেলার মাধবদী থানার চরাঞ্চল চরদীঘলদী ইউনিয়নের জিতরামপুরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর আগে সোমবার (৩ নভেম্বর) ও মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুই পক্ষের মধ্যে দুটি দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর পর থেকেই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল। তবে শনিবার ভোরে পুলিশ না থাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে, পুলিশ পৌঁছানোর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। স্থানীয়রা জানায়, চরদীঘলদী ইউনিয়নের জিরতরামপুরে খেয়াঘাটে ভাড়ার অতিরিক্ত টাকা আদায় ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় শহিদ মিয়া মেম্বার ও চাঁন মিয়া গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত সোমবার ও মঙ্গলবার দু’পক্ষের সংঘর্ষে সাতজন আহত হন, ফলে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে। শনিবার সকালে পুলিশ না থাকায় মাইকের মাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে ফের টেঁটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষের লোকজন। এতে টেঁটাবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হন। আহতরা পুলিশি গ্রেপ্তার এড়াতে বিভিন্ন হাসপাতালে গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ভোরে পুলিশের উপস্থিতি না দেখেই উত্তেজনা দেখা দেয় দুই পক্ষের মধ্যে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। এতে ২ থেকে ৩ জন সামান্য আহত হয়েছেন। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে মাইকের মাধ্যমে সংঘর্ষের ব্যাপারে তিনি অবগত নন বলে জানান। এ বিষয়ে শহিদ মিয়া মেম্বার ও চাঁন মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

মাইকে ঘোষণা দিয়ে টেঁটাযুদ্ধ, আহত ১৫

আপডেট সময় ০৫:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫

নরসিংদীতে খেয়া পারাপারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়কে কেন্দ্র করে মাইকের মাধ্যমে ঘোষণা দেওয়ার পর আবারো দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, যেখানে টেঁটাবিদ্ধসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (৮ নভেম্বর) সকালে সদর উপজেলার মাধবদী থানার চরাঞ্চল চরদীঘলদী ইউনিয়নের জিতরামপুরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর আগে সোমবার (৩ নভেম্বর) ও মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুই পক্ষের মধ্যে দুটি দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর পর থেকেই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল। তবে শনিবার ভোরে পুলিশ না থাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে, পুলিশ পৌঁছানোর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। স্থানীয়রা জানায়, চরদীঘলদী ইউনিয়নের জিরতরামপুরে খেয়াঘাটে ভাড়ার অতিরিক্ত টাকা আদায় ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় শহিদ মিয়া মেম্বার ও চাঁন মিয়া গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত সোমবার ও মঙ্গলবার দু’পক্ষের সংঘর্ষে সাতজন আহত হন, ফলে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে। শনিবার সকালে পুলিশ না থাকায় মাইকের মাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে ফের টেঁটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষের লোকজন। এতে টেঁটাবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হন। আহতরা পুলিশি গ্রেপ্তার এড়াতে বিভিন্ন হাসপাতালে গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ভোরে পুলিশের উপস্থিতি না দেখেই উত্তেজনা দেখা দেয় দুই পক্ষের মধ্যে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। এতে ২ থেকে ৩ জন সামান্য আহত হয়েছেন। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে মাইকের মাধ্যমে সংঘর্ষের ব্যাপারে তিনি অবগত নন বলে জানান। এ বিষয়ে শহিদ মিয়া মেম্বার ও চাঁন মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।


প্রিন্ট