দেশে বর্তমানে ব্যবহৃত সব মোবাইল ফোন আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ফলে এই তারিখের আগে নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত হ্যান্ডসেটের আলাদা নিবন্ধনের প্রয়োজন হবে না। তবে ব্যবহারকারীরা চাইলে খুব সহজে জানতে পারবেন তাদের ফোনের বর্তমান নিবন্ধন অবস্থা। এর জন্য কোনো ইন্টারনেট সংযোগের দরকার নেই। কিছু ধাপ অনুসরণ করলেই পেয়ে যাবেন উত্তর। কয়েক ধাপে যাচাইয়ের পদ্ধতি হলো— ধাপ ১ : মোবাইল থেকে *১৬১৬১# ডায়াল করুন। ধাপ ২ : প্রদর্শিত বার্তায় ফোনের ১৫ সংখ্যার IMEI কোডটি লিখে পাঠান। ধাপ ৩ : কিছু সময়ের মধ্যেই ফিরে আসা এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে ফোনের নিবন্ধনের অবস্থা। বিটিআরসি জানিয়েছে, যারা চাইলে এই সেবা নেir.btrc.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে বা কাছেই থাকা কাস্টমার কেয়ারের মাধ্যমে এই তথ্য পেতে পারবেন। ১৬ ডিসেম্বরের পর নতুন ফোনের জন্য আলাদা নিয়ম চালু হবে। এই তারিখের পর থেকে যে কোনো মাধ্যম (বিক্রয় কেন্দ্র, অনলাইন বিক্রয় কেন্দ্র, ই-কমার্স সাইট ইত্যাদি) থেকে মোবাইল কেনার আগে অবশ্যই হ্যান্ডসেটের বৈধতা পরীক্ষা করতে হবে। একইসঙ্গে নতুন কেনা হ্যান্ডসেটের রশিদও সংরক্ষণ করতে হবে। যদি হ্যান্ডসেটটি বৈধ হয়, তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে এনইআইআর সিস্টেমে নিবন্ধিত হবে। তবে এর জন্যও কিছু ধাপ অনুসরণ করে বৈধতা নিশ্চিত করা যাবে— ধাপ ১ : মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে KYD১৫ সংখ্যার IMEI লিখুন, যেমন : KYD 123456789012345। ধাপ ২ : এরপর ১৬০০২ নম্বরে পাঠান। ধাপ ৩ : ফিরতি মেসেজে জানতে পারবেন হ্যান্ডসেটের বৈধতা। অন্যদিকে, বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আমিনুল হক জানিয়েছেন, এ সিস্টেম না থাকায় সরকার প্রতি বছর বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে নতুন মোবাইল ফোনগুলো নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার সময় প্রথমে সচল রাখা হবে এবং এনইআইআর এর মাধ্যমে বৈধতা পরীক্ষা করা হবে। বৈধ হ্যান্ডসেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে, আর অবৈধগুলো এক মাসের মধ্যে নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হবে। তবে বিদেশ থেকে বৈধভাবে কেনা বা উপহারপ্রাপ্ত হ্যান্ডসেট বিশেষ নিবন্ধনের মাধ্যমে চালু রাখা যাবে।