, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে ফিলিস্তিনি যুবক নিহত

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৫১ বার পড়া হয়েছে

দখলপ্রাপ্ত পশ্চিম তীরের তুবাস শহরের দক্ষিণে অবস্থিত ফারাআ শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে এক ফিলিস্তিনি যুবক নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সরকারি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, নিহত যুবকের নাম আবদেল রহমান দারাওশা (২৬)। শনিবার (৮ নভেম্বর) রাতে ইসরায়েলি সেনারা ফারাআ শরণার্থী শিবিরে অভিযান চালিয়ে সরাসরি গুলি চালালে দারাওশা গুরুতর আহত হন। পরে প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্টের একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তুবাস সরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওয়াফার প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযানের সময় ইসরায়েলি সেনারা শিবিরের প্রবেশপথে ব্যাপক সংখ্যক সেনা মোতায়েন করে এবং নির্বিচারে গুলি চালায়। একই রাতে দখলপ্রাপ্ত পশ্চিম তীরের জেনিন, রামাল্লাহ ও পূর্ব জেরুজালেমের উত্তরাঞ্চলেও ইসরায়েলি বাহিনী পৃথক অভিযান চালায়। অন্যদিকে, রোববার প্রায় ৫০ জন ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী পূর্ব জেরুজালেমের কাছাকাছি জাবা গ্রামের পূর্বাঞ্চলের এক বেদুইন সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালায়। এতে সাতজন ফিলিস্তিনি আহত হন এবং হামলাকারীরা ওই সম্প্রদায়ের সম্পত্তিতে অগ্নিসংযোগ করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। পাশাপাশি, হেবরনের দক্ষিণে উম্ম আল-খাইর গ্রামে বসতি স্থাপনকারীদের আরেক হামলায় আরও একজন ফিলিস্তিনি আহত হন। জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক দফতর (OCHA) সম্প্রতি জানিয়েছে, চলতি বছরের অক্টোবর মাসে পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারীদের হামলার সংখ্যা রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছে। ২০০৬ সালে তথ্য সংগ্রহ শুরু করার পর থেকে এটি সর্বোচ্চ মাসিক সংখ্যা। শুধুমাত্র অক্টোবর মাসে ২৬০টিরও বেশি হামলা সংঘটিত হয়েছে, যা দৈনিক গড়ে আটটি হামলা। এসব হামলায় প্রাণহানি, আহত ও সম্পত্তি ধ্বংসের ঘটনা ঘটেছে। গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দখলপ্রাপ্ত পশ্চিম তীরে সহিংসতা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত দুই বছরে ইসরায়েলি বাহিনী বা বসতি স্থাপনকারীদের হামলায় এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একই সময়ে, ফিলিস্তিনি হামলায় ৪৩ জন ইসরায়েলি, যাদের মধ্যে সেনাও রয়েছে, নিহত হয়েছেন বলে ইসরায়েলি সরকারি পরিসংখ্যান জানায়।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে ফিলিস্তিনি যুবক নিহত

আপডেট সময় ০৬:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫

দখলপ্রাপ্ত পশ্চিম তীরের তুবাস শহরের দক্ষিণে অবস্থিত ফারাআ শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে এক ফিলিস্তিনি যুবক নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সরকারি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, নিহত যুবকের নাম আবদেল রহমান দারাওশা (২৬)। শনিবার (৮ নভেম্বর) রাতে ইসরায়েলি সেনারা ফারাআ শরণার্থী শিবিরে অভিযান চালিয়ে সরাসরি গুলি চালালে দারাওশা গুরুতর আহত হন। পরে প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্টের একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তুবাস সরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওয়াফার প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযানের সময় ইসরায়েলি সেনারা শিবিরের প্রবেশপথে ব্যাপক সংখ্যক সেনা মোতায়েন করে এবং নির্বিচারে গুলি চালায়। একই রাতে দখলপ্রাপ্ত পশ্চিম তীরের জেনিন, রামাল্লাহ ও পূর্ব জেরুজালেমের উত্তরাঞ্চলেও ইসরায়েলি বাহিনী পৃথক অভিযান চালায়। অন্যদিকে, রোববার প্রায় ৫০ জন ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী পূর্ব জেরুজালেমের কাছাকাছি জাবা গ্রামের পূর্বাঞ্চলের এক বেদুইন সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালায়। এতে সাতজন ফিলিস্তিনি আহত হন এবং হামলাকারীরা ওই সম্প্রদায়ের সম্পত্তিতে অগ্নিসংযোগ করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। পাশাপাশি, হেবরনের দক্ষিণে উম্ম আল-খাইর গ্রামে বসতি স্থাপনকারীদের আরেক হামলায় আরও একজন ফিলিস্তিনি আহত হন। জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক দফতর (OCHA) সম্প্রতি জানিয়েছে, চলতি বছরের অক্টোবর মাসে পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারীদের হামলার সংখ্যা রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছে। ২০০৬ সালে তথ্য সংগ্রহ শুরু করার পর থেকে এটি সর্বোচ্চ মাসিক সংখ্যা। শুধুমাত্র অক্টোবর মাসে ২৬০টিরও বেশি হামলা সংঘটিত হয়েছে, যা দৈনিক গড়ে আটটি হামলা। এসব হামলায় প্রাণহানি, আহত ও সম্পত্তি ধ্বংসের ঘটনা ঘটেছে। গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দখলপ্রাপ্ত পশ্চিম তীরে সহিংসতা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত দুই বছরে ইসরায়েলি বাহিনী বা বসতি স্থাপনকারীদের হামলায় এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একই সময়ে, ফিলিস্তিনি হামলায় ৪৩ জন ইসরায়েলি, যাদের মধ্যে সেনাও রয়েছে, নিহত হয়েছেন বলে ইসরায়েলি সরকারি পরিসংখ্যান জানায়।


প্রিন্ট