, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে ইসির ২২ পদক্ষেপ

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
  • / ২৪ বার পড়া হয়েছে

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ২২টি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এই পদক্ষেপগুলোর মূল লক্ষ্য হলো সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের পরিবেশ সৃষ্টি করা। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী—নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তিনটি জোনে—রেড, ইয়েলো ও গ্রিন—বিভাগ করে মাঠে নামবে। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিশ্লেষণ, প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি ও বাহিনীপ্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় ও প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সভায় আলোচনা হয়েছে। রোববার (৯ নভেম্বর) আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন। সভায় নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় বাহিনী মোতায়েন, জুলাই সনদ অনুযায়ী গণভোটের প্রস্তুতি, এবং বাহিনী বদলির বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বাগত বক্তব্যে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন সবার জন্য অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে কমিশন বিভিন্ন অংশীর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এই অংশ হিসেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকও আয়োজন করা হয়েছে। ইসির ২২ দফা পদক্ষেপ হলো—১. নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে লিখিত মতামত, সুপারিশ ও প্রস্তাব কমিশনের কাছে জমা দিতে হবে। ২. দায়িত্বপ্রাপ্ত বাহিনী সময়মতো নিরাপত্তা পরিকল্পনা পাঠাবে। ৩. ভীতি নিরূপণ করে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে বিভক্ত করে পরিকল্পনা প্রস্তুত করতে হবে। ৪. জুলাই সনদ অনুযায়ী গণভোটের জন্য পরিকল্পনা ও প্রস্তুতিতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে হবে। ৫. নির্বাচন সংক্রান্ত গোয়েন্দা তথ্য নিয়মিত সংগ্রহ ও অবগত করতে হবে, প্রয়োজনে বাহিনীসমূহের মধ্যে তথ্য বিনিময়ও করতে হবে। ৬. অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগাম সতর্কতা গ্রহণ করতে হবে। ৭. অপতৎপরতা রোধে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে। ৮. শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সবাইকে এখন থেকেই দায়িত্বশীল হতে হবে। ৯. যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে ঘটনাস্থলে থাকা বাহিনী প্রথমে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেবে। ১০. আধুনিক প্রযুক্তি, সক্ষমতা বৃদ্ধি, কন্টিনজেন্সি প্ল্যান, সামাজিক মাধ্যম ও এআই ব্যবহারে প্রস্তুতি নিতে হবে। ১১. নারীর সাইবার বুলিং ও সংখ্যালঘু বিষয়ক সমস্যা মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে। ১২. ভয়েস ক্লোন ও চরিত্র হননের ঘটনা রোধে সতর্ক থাকতে হবে। ১৩. মিথ্যা তথ্য প্রতিরোধে দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য তথ্য সরবরাহের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। ১৪. অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাসীদের তালিকা, চেকপয়েন্ট স্থাপন, সীমান্ত ও সি-রুট বন্ধ ও বৈধ অস্ত্র জমা নেয়া—এসব কার্যকরভাবে সম্পন্ন করতে হবে। ১৫. নির্বাচন কেন্দ্রের সন্ত্রাস বা স্যাবোটাজের ঘটনা প্রতিরোধে সতর্ক থাকতে হবে। ১৬. বিদেশি নাগরিকদের তালিকা করে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ১৭. কালো টাকা রোধে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে। ১৮. পোস্টাল ব্যালট ও বাইরে থেকে ভোটদান প্রক্রিয়ায় স্যাবোটাজের ঘটনা রোধে প্রস্তুতি নিতে হবে। ১৯. দীর্ঘদিন একই স্থানে থাকা বাহিনী সদস্যদের পরিবর্তন করা প্রয়োজন। ২০. ঝুঁকিপূর্ণ ও সাধারণ কেন্দ্রগুলো চিহ্নিত করে সময়মতো কমিশনকে জানাতে হবে। ২১. আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন অফিসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ২২. প্রিসাইডিং অফিসারসহ ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় বজায় রাখতে হবে।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে ইসির ২২ পদক্ষেপ

আপডেট সময় ০৭:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ২২টি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এই পদক্ষেপগুলোর মূল লক্ষ্য হলো সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের পরিবেশ সৃষ্টি করা। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী—নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তিনটি জোনে—রেড, ইয়েলো ও গ্রিন—বিভাগ করে মাঠে নামবে। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিশ্লেষণ, প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি ও বাহিনীপ্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় ও প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সভায় আলোচনা হয়েছে। রোববার (৯ নভেম্বর) আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন। সভায় নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় বাহিনী মোতায়েন, জুলাই সনদ অনুযায়ী গণভোটের প্রস্তুতি, এবং বাহিনী বদলির বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বাগত বক্তব্যে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন সবার জন্য অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে কমিশন বিভিন্ন অংশীর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এই অংশ হিসেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকও আয়োজন করা হয়েছে। ইসির ২২ দফা পদক্ষেপ হলো—১. নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে লিখিত মতামত, সুপারিশ ও প্রস্তাব কমিশনের কাছে জমা দিতে হবে। ২. দায়িত্বপ্রাপ্ত বাহিনী সময়মতো নিরাপত্তা পরিকল্পনা পাঠাবে। ৩. ভীতি নিরূপণ করে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে বিভক্ত করে পরিকল্পনা প্রস্তুত করতে হবে। ৪. জুলাই সনদ অনুযায়ী গণভোটের জন্য পরিকল্পনা ও প্রস্তুতিতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে হবে। ৫. নির্বাচন সংক্রান্ত গোয়েন্দা তথ্য নিয়মিত সংগ্রহ ও অবগত করতে হবে, প্রয়োজনে বাহিনীসমূহের মধ্যে তথ্য বিনিময়ও করতে হবে। ৬. অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগাম সতর্কতা গ্রহণ করতে হবে। ৭. অপতৎপরতা রোধে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে। ৮. শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সবাইকে এখন থেকেই দায়িত্বশীল হতে হবে। ৯. যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে ঘটনাস্থলে থাকা বাহিনী প্রথমে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেবে। ১০. আধুনিক প্রযুক্তি, সক্ষমতা বৃদ্ধি, কন্টিনজেন্সি প্ল্যান, সামাজিক মাধ্যম ও এআই ব্যবহারে প্রস্তুতি নিতে হবে। ১১. নারীর সাইবার বুলিং ও সংখ্যালঘু বিষয়ক সমস্যা মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে। ১২. ভয়েস ক্লোন ও চরিত্র হননের ঘটনা রোধে সতর্ক থাকতে হবে। ১৩. মিথ্যা তথ্য প্রতিরোধে দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য তথ্য সরবরাহের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। ১৪. অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাসীদের তালিকা, চেকপয়েন্ট স্থাপন, সীমান্ত ও সি-রুট বন্ধ ও বৈধ অস্ত্র জমা নেয়া—এসব কার্যকরভাবে সম্পন্ন করতে হবে। ১৫. নির্বাচন কেন্দ্রের সন্ত্রাস বা স্যাবোটাজের ঘটনা প্রতিরোধে সতর্ক থাকতে হবে। ১৬. বিদেশি নাগরিকদের তালিকা করে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ১৭. কালো টাকা রোধে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে। ১৮. পোস্টাল ব্যালট ও বাইরে থেকে ভোটদান প্রক্রিয়ায় স্যাবোটাজের ঘটনা রোধে প্রস্তুতি নিতে হবে। ১৯. দীর্ঘদিন একই স্থানে থাকা বাহিনী সদস্যদের পরিবর্তন করা প্রয়োজন। ২০. ঝুঁকিপূর্ণ ও সাধারণ কেন্দ্রগুলো চিহ্নিত করে সময়মতো কমিশনকে জানাতে হবে। ২১. আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন অফিসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ২২. প্রিসাইডিং অফিসারসহ ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় বজায় রাখতে হবে।


প্রিন্ট