বেগম খালেদা জিয়াকে সুস্থ করতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন চিকিৎসকরা: মির্জা ফখরুল
সেন্টমার্টিন গেল ৩ জাহাজ, পর্যটক ১১০০
সহকারী সচিব পদে পদোন্নতি পেলেন ২২ কর্মকর্তা
জানা গেল মেট্রোরেলের ছাদে ওঠা সেই কিশোরের নাম
ভোক্তা পর্যায়ে পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমালো পাকিস্তান
বিএনপিতে যোগ দিতে পেরে আমি গর্বিত: রেজা কিবরিয়া
ঢাবিতে জমকালো বিজয় র্যালি
জানা গেলো ২০২৬ সালের প্রথম সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণ কবে
আসছে শুভ-ঐশীর ‘নূর’
ছিনতাইয়ের শিকার অভিনেত্রী রাজ রিপা, খোয়ালেন আইফোন
বাংলাদেশের জন্য ডেনমার্কের ২৫ মিলিয়ন ক্রোন সহায়তার ঘোষণা
- আপডেট সময় ০১:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
- / ৫৪ বার পড়া হয়েছে
মানবাধিকার রক্ষা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের পুনর্বাসনে বাংলাদেশকে ডেনমার্ক ২৫ মিলিয়ন ডেনিশ ক্রোনি অর্থ সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা করেছে। এই অর্থ ডিগনিটি, আইএমএস এবং ড্যানিশ ইনস্টিটিউট ফর হিউম্যান রাইটসের সমন্বয়ে গঠিত একটি কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে ব্যয় করা হবে। সোমবার (১০ নভেম্বর) ঢাকার ডেনমার্ক দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য প্রকাশ করে। দূতাবাস জানায়, এই কনসোর্টিয়াম স্থানীয় অংশীদারদের সঙ্গে একযোগে মানবাধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নির্যাতন ও সহিংসতার শিকার ব্যক্তিদের পুনর্বাসনে কাজ করবে। বাংলাদেশে ডেনিশ রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার বলেছেন, এই সময়ে বাংলাদেশে নাগরিক সমাজকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দায়মুক্তির মতো গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য এক অনন্য সুযোগ তৈরি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, এই নতুন উদ্যোগ বাংলাদেশের জনগণের জন্য ন্যায়বিচার ও গণতান্ত্রিক উন্নয়ন এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে, কারণ এই তিনটি সংস্থা নাগরিক সমাজকে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের প্রচারে সহায়তা করার অভিজ্ঞতা রাখে। কনসোর্টিয়ামের তিনটি সংস্থা এমন দেশে কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে, যেখানে দমনমূলক শাসন এবং গণতান্ত্রিক রূপান্তর একসঙ্গে চলমান এবং যেখানে নাগরিক সমাজের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডিগনিটি’র সিইও রাসমুস গ্রু ক্রিস্টেনসেন বলেন, একটি শক্তিশালী নাগরিক সমাজ মানবাধিকার অগ্রগতি, জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা ও নির্যাতন ও সহিংসতার শিকার ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের জন্য অপরিহার্য। ডিগনিটি বাংলাদেশের স্থানীয় অংশীদারদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ ও সহায়তার মাধ্যমে সারভাইভার-কেন্দ্রিক সেবা প্রদান করতে আগ্রহী। আইএমএসের নির্বাহী পরিচালক জেসপার হোইবেরগ বলেন, আমরা জানি, প্রকৃত পরিবর্তন কেবল সত্যিকারের অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সম্ভব। স্থানীয় সংস্থা, নাগরিক সমাজ ও সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে আমরা বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ভিত্তি শক্তিশালী করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য হলো এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করা, যেখানে সবাই বিশ্বাসযোগ্য ও স্বাধীন তথ্য পেতে পারে, সাংবাদিকরা সুরক্ষিত থাকে এবং বিভিন্ন মতের কণ্ঠস্বর শোনা যায়। ড্যানিশ ইনস্টিটিউট ফর হিউম্যান রাইটস বাংলাদেশের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সংস্কার ও শক্তিশালীকরণে বিশেষ মনোযোগ দেবে। সংস্থাটির আন্তর্জাতিক পরিচালক মেটে থাইগেসেন বলেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও নাগরিক সম্পৃক্ততার এক বিশেষ সময় সৃষ্টি হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে কার্যকর ও স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতেই হবে। আমরা নাগরিক সমাজ ও তরুণদের সঙ্গে কাজ করে মানবাধিকার দাবি ও সংস্কারের রূপরেখা তৈরিতে সহায়তা করব।
প্রিন্ট






















