, মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

বিএডিসিতে সার আমদানিতে দুর্নীতির অভিযোগ

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
  • / ২৬ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর সার আমদানির ক্ষেত্রে জি-টু-জি চুক্তির শর্ত ভেঙে বিদেশি বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে মানের থেকে কম ও ভেজাল সার আমদানির অভিযোগ উঠেছে। সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সাল থেকে বিএডিসি কানাডা থেকে জি-টু-জি চুক্তির আওতায় পটাশ সার সংগ্রহ করে আসছিল। পূর্বের চুক্তিতে প্রতি বছর দুই লাখ টন সার আমদানি করলে ৫ শতাংশ মূল্যছাড় পাওয়া যেত। তবে নতুন চুক্তিতে কমপক্ষে পাঁচ লাখ টন সার আমদানির মাধ্যমে ৫ শতাংশ ছাড় নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, বিএডিসির চেয়ারম্যান মোঃ রুহুল আমিন খান দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ‘কো-শিপমেন্ট’ পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এর ফলে বিএডিসির ভাড়া করা জাহাজে অন্য দেশের বা প্রতিষ্ঠানের সার আমদানির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, জুলাই মাসে কানাডার জাহাজ থেকে ২০ হাজার টন সার ইন্দোনেশিয়ার একটি বেসরকারি কোম্পানির জন্য খালাস করা হয়, বাকিটা বাংলাদেশে আনা হয়। সেপ্টেম্বর মাসে একইভাবে ৩০ হাজার টন সার ভারতে খালাস করা হয়েছে। এছাড়া, সম্প্রতি বিএডিসির চেয়ারম্যান মোঃ রুহুল আমিন খান তার স্ত্রীর সাথে কানাডা সফর করেছেন। এ সফরে তার সাথে ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের তিন কর্মকর্তা (একান্ত সচিব কাজী হাফিজুল আমিন, বিএডিসির সদস্য পরিচালক মোঃ মজিবুর রহমান ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব মোঃ মনিরুজ্জামান)। সরকারি অনুমতি ছাড়া এই সফর ও পরিচয় গোপন রাখার বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তারা ২১ নভেম্বর দেশে ফিরবেন। মোবাইলের মাধ্যমে বিএডিসির চেয়ারম্যানকে কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি এবং এসএমএস পাঠানো হলেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

বিএডিসিতে সার আমদানিতে দুর্নীতির অভিযোগ

আপডেট সময় ০৬:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর সার আমদানির ক্ষেত্রে জি-টু-জি চুক্তির শর্ত ভেঙে বিদেশি বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে মানের থেকে কম ও ভেজাল সার আমদানির অভিযোগ উঠেছে। সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সাল থেকে বিএডিসি কানাডা থেকে জি-টু-জি চুক্তির আওতায় পটাশ সার সংগ্রহ করে আসছিল। পূর্বের চুক্তিতে প্রতি বছর দুই লাখ টন সার আমদানি করলে ৫ শতাংশ মূল্যছাড় পাওয়া যেত। তবে নতুন চুক্তিতে কমপক্ষে পাঁচ লাখ টন সার আমদানির মাধ্যমে ৫ শতাংশ ছাড় নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, বিএডিসির চেয়ারম্যান মোঃ রুহুল আমিন খান দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ‘কো-শিপমেন্ট’ পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এর ফলে বিএডিসির ভাড়া করা জাহাজে অন্য দেশের বা প্রতিষ্ঠানের সার আমদানির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, জুলাই মাসে কানাডার জাহাজ থেকে ২০ হাজার টন সার ইন্দোনেশিয়ার একটি বেসরকারি কোম্পানির জন্য খালাস করা হয়, বাকিটা বাংলাদেশে আনা হয়। সেপ্টেম্বর মাসে একইভাবে ৩০ হাজার টন সার ভারতে খালাস করা হয়েছে। এছাড়া, সম্প্রতি বিএডিসির চেয়ারম্যান মোঃ রুহুল আমিন খান তার স্ত্রীর সাথে কানাডা সফর করেছেন। এ সফরে তার সাথে ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের তিন কর্মকর্তা (একান্ত সচিব কাজী হাফিজুল আমিন, বিএডিসির সদস্য পরিচালক মোঃ মজিবুর রহমান ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব মোঃ মনিরুজ্জামান)। সরকারি অনুমতি ছাড়া এই সফর ও পরিচয় গোপন রাখার বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তারা ২১ নভেম্বর দেশে ফিরবেন। মোবাইলের মাধ্যমে বিএডিসির চেয়ারম্যানকে কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি এবং এসএমএস পাঠানো হলেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।


প্রিন্ট