, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

থাই-মালয়েশিয়া সীমান্তে নৌকা ডুবে ৭ জনের মৃত্যু

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
  • / ২০ বার পড়া হয়েছে

থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি অভিবাসনপ্রত্যাশী নৌকা ডুবে গেছে, এতে কমপক্ষে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। মালয়েশিয়ার সামুদ্রিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, তবে আরও অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন। মোট ৩০০ জনের একটি দল — যাদের বেশিরভাগই রোহিঙ্গা — দুই সপ্তাহ আগে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে একটি বড় নৌকায় রওনা দেয়। পরে তারা কয়েকটি ছোট নৌকায় ভাগ হয়ে যায়। এর মধ্যে একটি নৌকা ডুবে যায়। দেশটির কোস্টগার্ড জানিয়েছে, ডুবন্ত নৌকাটি মালয়েশিয়ার পর্যটন দ্বীপ লাংকাউইয়ের কাছাকাছি এলাকায় ডুবে গেছে। উদ্ধার অভিযান দ্বিতীয় দিনেও চালু রয়েছে। অনুসন্ধানের পরিধি বাড়িয়ে ১৭০ থেকে ২৫৬ বর্গ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়েছে। মালয়েশিয়ার সামুদ্রিক কর্তৃপক্ষ বলেছে, এই উদ্ধার অভিযান চলবে সাত দিন পর্যন্ত। রবিবার পানিতে ভেসে উঠা এক মহিলার দেহ শনাক্ত করা হয়েছে, যিনি রোহিঙ্গা বলে জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বারনামা এ খবর দিয়েছে। উদ্ধার হওয়া ১৩ জনের মধ্যে ১১ জন রোহিঙ্গা এবং দুইজন বাংলাদেশি। কর্তৃপক্ষের মতে, ডুবন্ত নৌকায় প্রায় ৭০ জন যাত্রী ছিল। অন্য ছোট নৌকাগুলোর অবস্থান এখনো নিশ্চিত নয়। রোহিঙ্গারা মূলত মুসলিম জাতিগোষ্ঠী, যারা মিয়ানমারের সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ রাষ্ট্রে নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন অভিযানের পর লাখো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বাংলাদেশে আশ্রয় পেলেও দারিদ্র্য ও অনিশ্চয়তার কারণে অনেক রোহিঙ্গা জীবন বাজি রেখে নৌপথে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করে। মুসলিম প্রধান দেশ হওয়ায় মালয়েশিয়াকে তারা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে দেখে। কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, এই বিপজ্জনক সমুদ্রযাত্রার জন্য প্রত্যেককে প্রায় তিন হাজার মার্কিন ডলার খরচ করতে হয়। ছোট নৌকাগুলো গাদাগাদি করে যাত্রী বহন করে, যেখানে পানি ও শৌচাগারসহ মৌলিক সুবিধা নেই। এই নৌযাত্রাগুলো অনেক সময় গন্তব্যে পৌঁছায় না— কেউ কেউ সাগরে প্রাণ হারায়, আবার অনেকে আটক বা দেশান্তরিত হয়।
সূত্র: বিবিসি


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

থাই-মালয়েশিয়া সীমান্তে নৌকা ডুবে ৭ জনের মৃত্যু

আপডেট সময় ০৫:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি অভিবাসনপ্রত্যাশী নৌকা ডুবে গেছে, এতে কমপক্ষে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। মালয়েশিয়ার সামুদ্রিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, তবে আরও অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন। মোট ৩০০ জনের একটি দল — যাদের বেশিরভাগই রোহিঙ্গা — দুই সপ্তাহ আগে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে একটি বড় নৌকায় রওনা দেয়। পরে তারা কয়েকটি ছোট নৌকায় ভাগ হয়ে যায়। এর মধ্যে একটি নৌকা ডুবে যায়। দেশটির কোস্টগার্ড জানিয়েছে, ডুবন্ত নৌকাটি মালয়েশিয়ার পর্যটন দ্বীপ লাংকাউইয়ের কাছাকাছি এলাকায় ডুবে গেছে। উদ্ধার অভিযান দ্বিতীয় দিনেও চালু রয়েছে। অনুসন্ধানের পরিধি বাড়িয়ে ১৭০ থেকে ২৫৬ বর্গ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়েছে। মালয়েশিয়ার সামুদ্রিক কর্তৃপক্ষ বলেছে, এই উদ্ধার অভিযান চলবে সাত দিন পর্যন্ত। রবিবার পানিতে ভেসে উঠা এক মহিলার দেহ শনাক্ত করা হয়েছে, যিনি রোহিঙ্গা বলে জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বারনামা এ খবর দিয়েছে। উদ্ধার হওয়া ১৩ জনের মধ্যে ১১ জন রোহিঙ্গা এবং দুইজন বাংলাদেশি। কর্তৃপক্ষের মতে, ডুবন্ত নৌকায় প্রায় ৭০ জন যাত্রী ছিল। অন্য ছোট নৌকাগুলোর অবস্থান এখনো নিশ্চিত নয়। রোহিঙ্গারা মূলত মুসলিম জাতিগোষ্ঠী, যারা মিয়ানমারের সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ রাষ্ট্রে নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন অভিযানের পর লাখো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বাংলাদেশে আশ্রয় পেলেও দারিদ্র্য ও অনিশ্চয়তার কারণে অনেক রোহিঙ্গা জীবন বাজি রেখে নৌপথে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করে। মুসলিম প্রধান দেশ হওয়ায় মালয়েশিয়াকে তারা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে দেখে। কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, এই বিপজ্জনক সমুদ্রযাত্রার জন্য প্রত্যেককে প্রায় তিন হাজার মার্কিন ডলার খরচ করতে হয়। ছোট নৌকাগুলো গাদাগাদি করে যাত্রী বহন করে, যেখানে পানি ও শৌচাগারসহ মৌলিক সুবিধা নেই। এই নৌযাত্রাগুলো অনেক সময় গন্তব্যে পৌঁছায় না— কেউ কেউ সাগরে প্রাণ হারায়, আবার অনেকে আটক বা দেশান্তরিত হয়।
সূত্র: বিবিসি


প্রিন্ট