, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

ভালোবাসা, সমাজ ও বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি নাট্যকার আহমেদ জসিম

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৩০ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের টেলিভিশন নাটকের বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও বাস্তবতা ভিত্তিক গল্পের মাধ্যমে আলাদা পরিচয় প্রতিষ্ঠা করেছেন আহমেদ জসিম। তার নাটকগুলো শুধুমাত্র বিনোদন নয়, বরং সমাজের প্রকৃত চিত্র, প্রেম, পারিবারিক সম্পর্ক এবং নৈতিকতার প্রতিচ্ছবি। ব্যবসায় শিক্ষায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকলেও তিনি মনোযোগ দিয়েছেন মানবজীবনের গল্প বলায়। তিনি বলেন, ‘সংখ্যা দিয়ে লাভ-ক্ষতি নির্ণয় করা যায়, কিন্তু মানুষের অনুভূতি মাপা সম্ভব নয়। তাই আমি নাটককে বেছে নিয়েছি।’ সীমিত বাজেটে কঠোর পরিশ্রম এবং উদ্দীপনার মাধ্যমে তিনি নাট্যাঙ্গনে স্বীকৃতি ও দর্শকদের ভালোবাসা অর্জন করেছেন। আহমেদ জসিমের নাটকের চিত্রনাট্যে থাকে বাস্তবতা, সংলাপে জীবনের সুর। তিনি নিজেই গল্প ও সংলাপ রচনা করেন, যেখানে সমাজের মানুষ, তাদের টানাপোড়েন, প্রেম, অনুশোচনা ও আত্মজিজ্ঞাসা প্রকাশ পায়। তার উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হলো: ‘তালাকনামা’, ‘নির্মম’, ‘এতিম’, ‘অভিমানী মা’ ও ‘নীলাম্বরী’। পরিচালকের ভূমিকায় জসিম বিশ্বাস করেন, একটি উৎকৃষ্ট নাটক তৈরির জন্য দলের সমন্বয় অপরিহার্য। তার নাটকে নিয়মিত অভিনয় করেন আশিকুর রাহমান ও আরিফ হোসেন অর্ণব (প্রধান সহকারী পরিচালক), তাহমিনা খাতুন ও মহিবুল হাসান (শিল্প নির্দেশক), সোহাগ শরীফ, সুজন মেহমুদ, জাহেদ নান্নু (চিত্রগ্রাহক), রেজাউল ইসলাম, ইয়াসিন ও অভি শরীফ (চিত্রগ্রহণ সহকারী)। সম্প্রতি তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ‘মায়ার শিকল’সহ অন্যান্য নাটক দর্শকদের মন জয় করছে। আহমেদ জসিম মনে করেন, তখনই নাটক সফল হয় যখন দর্শকরা চরিত্রের সঙ্গে নিজেদের ছায়া খুঁজে পায়। এই দর্শকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিই তার নাটককে আলাদা গ্রহণযোগ্যতা দিয়েছে। সমালোচকরা বলেন, তার নাটকে রয়েছে বাস্তবতার সত্যতা ও আবেগের আন্তরিকতা। দর্শকেরা বলছেন, ‘আহমেদ জসিমের নাটক দেখলে মনে হয় গল্পটা আমাদেরই।’ বর্তমানে তিনি নতুন সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের ভিত্তিতে নাটক নির্মাণে কাজ করছেন। তিনি চান, প্রতিটি নাটক সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলুক। তিনি বলেন, ‘আমি চাই, আমার নাটক দেখে কেউ নিজের ভুল বুঝতে পারুক, নিজের জীবনধারা পরিবর্তন করুক—অর্থাৎ আমি সফল।’ বাংলাদেশের টেলিভিশন নাটকের এই সময়ে আহমেদ জসিম যেন এক নতুন স্বপ্নের মতো। তিনি ভালোবাসাকে দেখেন নৈতিকতার আলোয়, সমাজকে দেখেন মানবতার চোখে। তার নাটক একদিকে বিনোদন দেয়, অন্যদিকে শেখায়—‘প্রেম মানে দায়িত্ব, আর সমাজ মানে একে অপরের প্রতি মানবিক দায়।’


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

ভালোবাসা, সমাজ ও বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি নাট্যকার আহমেদ জসিম

আপডেট সময় ০৭:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের টেলিভিশন নাটকের বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও বাস্তবতা ভিত্তিক গল্পের মাধ্যমে আলাদা পরিচয় প্রতিষ্ঠা করেছেন আহমেদ জসিম। তার নাটকগুলো শুধুমাত্র বিনোদন নয়, বরং সমাজের প্রকৃত চিত্র, প্রেম, পারিবারিক সম্পর্ক এবং নৈতিকতার প্রতিচ্ছবি। ব্যবসায় শিক্ষায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকলেও তিনি মনোযোগ দিয়েছেন মানবজীবনের গল্প বলায়। তিনি বলেন, ‘সংখ্যা দিয়ে লাভ-ক্ষতি নির্ণয় করা যায়, কিন্তু মানুষের অনুভূতি মাপা সম্ভব নয়। তাই আমি নাটককে বেছে নিয়েছি।’ সীমিত বাজেটে কঠোর পরিশ্রম এবং উদ্দীপনার মাধ্যমে তিনি নাট্যাঙ্গনে স্বীকৃতি ও দর্শকদের ভালোবাসা অর্জন করেছেন। আহমেদ জসিমের নাটকের চিত্রনাট্যে থাকে বাস্তবতা, সংলাপে জীবনের সুর। তিনি নিজেই গল্প ও সংলাপ রচনা করেন, যেখানে সমাজের মানুষ, তাদের টানাপোড়েন, প্রেম, অনুশোচনা ও আত্মজিজ্ঞাসা প্রকাশ পায়। তার উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হলো: ‘তালাকনামা’, ‘নির্মম’, ‘এতিম’, ‘অভিমানী মা’ ও ‘নীলাম্বরী’। পরিচালকের ভূমিকায় জসিম বিশ্বাস করেন, একটি উৎকৃষ্ট নাটক তৈরির জন্য দলের সমন্বয় অপরিহার্য। তার নাটকে নিয়মিত অভিনয় করেন আশিকুর রাহমান ও আরিফ হোসেন অর্ণব (প্রধান সহকারী পরিচালক), তাহমিনা খাতুন ও মহিবুল হাসান (শিল্প নির্দেশক), সোহাগ শরীফ, সুজন মেহমুদ, জাহেদ নান্নু (চিত্রগ্রাহক), রেজাউল ইসলাম, ইয়াসিন ও অভি শরীফ (চিত্রগ্রহণ সহকারী)। সম্প্রতি তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ‘মায়ার শিকল’সহ অন্যান্য নাটক দর্শকদের মন জয় করছে। আহমেদ জসিম মনে করেন, তখনই নাটক সফল হয় যখন দর্শকরা চরিত্রের সঙ্গে নিজেদের ছায়া খুঁজে পায়। এই দর্শকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিই তার নাটককে আলাদা গ্রহণযোগ্যতা দিয়েছে। সমালোচকরা বলেন, তার নাটকে রয়েছে বাস্তবতার সত্যতা ও আবেগের আন্তরিকতা। দর্শকেরা বলছেন, ‘আহমেদ জসিমের নাটক দেখলে মনে হয় গল্পটা আমাদেরই।’ বর্তমানে তিনি নতুন সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের ভিত্তিতে নাটক নির্মাণে কাজ করছেন। তিনি চান, প্রতিটি নাটক সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলুক। তিনি বলেন, ‘আমি চাই, আমার নাটক দেখে কেউ নিজের ভুল বুঝতে পারুক, নিজের জীবনধারা পরিবর্তন করুক—অর্থাৎ আমি সফল।’ বাংলাদেশের টেলিভিশন নাটকের এই সময়ে আহমেদ জসিম যেন এক নতুন স্বপ্নের মতো। তিনি ভালোবাসাকে দেখেন নৈতিকতার আলোয়, সমাজকে দেখেন মানবতার চোখে। তার নাটক একদিকে বিনোদন দেয়, অন্যদিকে শেখায়—‘প্রেম মানে দায়িত্ব, আর সমাজ মানে একে অপরের প্রতি মানবিক দায়।’


প্রিন্ট