, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

জাজিরায় পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
  • / ২৩ বার পড়া হয়েছে

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা ইউনিয়নের হাজী তাহের মল্লিকের কান্দি গ্রামে পুকুরে ডুবে দু’টি শিশুর মৃত্যু ঘটেছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে এ ঘটনায় ঘটে। মৃত দুই শিশুর নাম কুতুবপুর দারুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক আবু নাঈমের ছেলে সিয়ম (৩) এবং একই গ্রামের দুলাল মল্লিকের ছেলে আবদুল্লাহ (৪)। তারা মামা-ভাগিনা ও খেলাধুলার সঙ্গী ছিল। স্থানীয় বাসিন্দা আজহার মোল্লা জানান, প্রতিদিন তারা দু’জন একসাথে খেলত। সেই দিনও তারা বাইরে গিয়েছিল, কিন্তু ফেরেনি। পরে পুকুর থেকে তাদের মরদেহ ভেসে ওঠে। তিনি বলেন, ‘ওদের লাশ দেখে গ্রামবাসী কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি।’ আরেক নারী রুবিনা বেগম বলেন, ‘প্রথমে ভাবছিলাম বাচ্চারা পাশের বাড়িতে গেছে। পরে খোঁজাখুঁজির সময় পুকুরে তাদের দেহ দেখতে পাই। সেই দৃশ্য মনে পড়লে এখনো কাঁপছি।’ নিহত সিয়মের বাবা আবু নাঈম বলেন, ‘আমার ছেলে খুব শান্ত স্বভাবের ছিল। কে জানত এটাই হবে তার জীবনের শেষ সকাল! আল্লাহ যেন এই কষ্ট আর কাউকে না দেন।’ নাওডোবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর ঢালী বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। দুই পরিবারই পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। আমরা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি এবং সবাইকে শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে আরও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

জাজিরায় পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

আপডেট সময় ১১:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা ইউনিয়নের হাজী তাহের মল্লিকের কান্দি গ্রামে পুকুরে ডুবে দু’টি শিশুর মৃত্যু ঘটেছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে এ ঘটনায় ঘটে। মৃত দুই শিশুর নাম কুতুবপুর দারুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক আবু নাঈমের ছেলে সিয়ম (৩) এবং একই গ্রামের দুলাল মল্লিকের ছেলে আবদুল্লাহ (৪)। তারা মামা-ভাগিনা ও খেলাধুলার সঙ্গী ছিল। স্থানীয় বাসিন্দা আজহার মোল্লা জানান, প্রতিদিন তারা দু’জন একসাথে খেলত। সেই দিনও তারা বাইরে গিয়েছিল, কিন্তু ফেরেনি। পরে পুকুর থেকে তাদের মরদেহ ভেসে ওঠে। তিনি বলেন, ‘ওদের লাশ দেখে গ্রামবাসী কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি।’ আরেক নারী রুবিনা বেগম বলেন, ‘প্রথমে ভাবছিলাম বাচ্চারা পাশের বাড়িতে গেছে। পরে খোঁজাখুঁজির সময় পুকুরে তাদের দেহ দেখতে পাই। সেই দৃশ্য মনে পড়লে এখনো কাঁপছি।’ নিহত সিয়মের বাবা আবু নাঈম বলেন, ‘আমার ছেলে খুব শান্ত স্বভাবের ছিল। কে জানত এটাই হবে তার জীবনের শেষ সকাল! আল্লাহ যেন এই কষ্ট আর কাউকে না দেন।’ নাওডোবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর ঢালী বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। দুই পরিবারই পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। আমরা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি এবং সবাইকে শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে আরও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’


প্রিন্ট