, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

ইসলামাবাদে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিহত ১২

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৪৪ বার পড়া হয়েছে

পাকিস্তানের ইসলামাবাদ জি-১১ এলাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনের সামনে ভয়ঙ্কর আত্মঘাতী বিস্ফোরণে কমপক্ষে বারোজনের মৃত্যু হয়েছে। আরও অনেকেই আহত হয়েছেন। ইসলামাবাদ পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এ মৃত্যুর সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন বলে স্থানীয় দৈনিক ডন জানায়। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ ও প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই ঘটনাকে ‘আত্মঘাতী হামলা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। এক্স-এ পোস্টে প্রেসিডেন্ট জারদারি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আসিফ বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি সতর্কবার্তা।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যুদ্ধের পরিস্থিতিতে আছি। কেউ যদি মনে করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী কেবল আফগান-পাকিস্তান সীমান্ত বা বেলুচিস্তানের দূরবর্তী অঞ্চলে যুদ্ধ করছে, তাহলে আজকের এই ইসলামাবাদে আত্মঘাতী হামলা তাকে এক বার্তাই দিচ্ছে।’ খাজা আসিফ যোগ করেন, ‘এই পরিস্থিতিতে কাবুলের শাসকদের সঙ্গে আলোচনা করেও বড় কোনো সাফল্য আশা করা বৃথা।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, আদালতের সামনের নিরাপত্তা ব্যারিকেডের পেছনে থাকা একটি পোড়া গাড়ি থেকে ধোঁয়া ও আগুনের লালসা উঠছে। বিস্ফোরণের সময় ঘটনাস্থলে থাকা আইনজীবী রুস্তম মালিক এএফপি-কে বলেন, ‘আমি গাড়ি পার্ক করে ভিতরে ঢোকার মুহূর্তে গেটের দিক থেকে প্রচণ্ড শব্দ শুনি। সঙ্গে সঙ্গে চারপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পুরো এলাকা বিশৃঙ্খল হয়ে যায়। সবাই দৌড়াতে শুরু করে। আমি গেটের সামনে দুইজনের লাশ পড়ে থাকতে দেখেছি, কিছু গাড়িতেও আগুন লাগে।’ এই ঘটনা এখনও তদন্তাধীন, এবং পাকিস্তান প্রশাসন হামলার পেছনে কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখছে। সূত্র: দ্যা ডন


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

ইসলামাবাদে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিহত ১২

আপডেট সময় ০৩:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

পাকিস্তানের ইসলামাবাদ জি-১১ এলাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনের সামনে ভয়ঙ্কর আত্মঘাতী বিস্ফোরণে কমপক্ষে বারোজনের মৃত্যু হয়েছে। আরও অনেকেই আহত হয়েছেন। ইসলামাবাদ পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এ মৃত্যুর সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন বলে স্থানীয় দৈনিক ডন জানায়। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ ও প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই ঘটনাকে ‘আত্মঘাতী হামলা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। এক্স-এ পোস্টে প্রেসিডেন্ট জারদারি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আসিফ বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি সতর্কবার্তা।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যুদ্ধের পরিস্থিতিতে আছি। কেউ যদি মনে করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী কেবল আফগান-পাকিস্তান সীমান্ত বা বেলুচিস্তানের দূরবর্তী অঞ্চলে যুদ্ধ করছে, তাহলে আজকের এই ইসলামাবাদে আত্মঘাতী হামলা তাকে এক বার্তাই দিচ্ছে।’ খাজা আসিফ যোগ করেন, ‘এই পরিস্থিতিতে কাবুলের শাসকদের সঙ্গে আলোচনা করেও বড় কোনো সাফল্য আশা করা বৃথা।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, আদালতের সামনের নিরাপত্তা ব্যারিকেডের পেছনে থাকা একটি পোড়া গাড়ি থেকে ধোঁয়া ও আগুনের লালসা উঠছে। বিস্ফোরণের সময় ঘটনাস্থলে থাকা আইনজীবী রুস্তম মালিক এএফপি-কে বলেন, ‘আমি গাড়ি পার্ক করে ভিতরে ঢোকার মুহূর্তে গেটের দিক থেকে প্রচণ্ড শব্দ শুনি। সঙ্গে সঙ্গে চারপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পুরো এলাকা বিশৃঙ্খল হয়ে যায়। সবাই দৌড়াতে শুরু করে। আমি গেটের সামনে দুইজনের লাশ পড়ে থাকতে দেখেছি, কিছু গাড়িতেও আগুন লাগে।’ এই ঘটনা এখনও তদন্তাধীন, এবং পাকিস্তান প্রশাসন হামলার পেছনে কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখছে। সূত্র: দ্যা ডন


প্রিন্ট