খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে সুখবর দিলেন তথ্য উপদেষ্টা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক ইউপি সদস্যের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা অন্তত ১৯৩
ইসরায়েলি প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চাইলেন নেতানিয়াহু
হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখতে গেলেন তামিম ইকবাল
নোয়াখালীতে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় কোরআন খতম ও দোয়া
মসজিদে বিয়ে ও সমালোচনা নিয়ে মুখ খুললেন শবনম ফারিয়া
দেশে বাড়লো সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম
ইসরায়েলি হামলার গাজায় নিহত ৭০ হাজারের বেশি
খাদ্য অধিদপ্তরের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস
আ. লীগ ফেসবুকভিত্তিক প্রতিবাদী দলে পরিণত হয়েছে: প্রেস সচিব
- আপডেট সময় ১২:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
- / ২২ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বর্তমানে একটি ফেসবুক ভিত্তিক প্রতিবাদী সংগঠনে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে একটি ফেসবুক পোস্টে তিনি এ কথা উল্লেখ করেন। শফিকুল আলম বলেন, দীর্ঘদিনের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, দলের তৃণমূল অনেকটাই ভেঙে গেছে, অথবা অন্য রাজনৈতিক দলের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমি মনে করি, আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে কোনও অস্থিতিশীলতা বা বিঘ্নের আশঙ্কা খুবই স্বল্প। তিনি লেখেন, সাম্প্রতিক তিনটি ঘটনা আমার বিশ্বাসকে আরও দৃঢ় করেছে যে, ফেব্রুয়ারির নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে। বরং আমাদের অতীতের ইতিহাসে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনাও দেখছি।
প্রথমত, বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বিএনপি যখন তাদের সংসদপ্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করে, তখন বিশৃঙ্খলা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা ছিল। অনেকে ধারণা করেছিলেন, শত শত বিদ্রোহী প্রার্থী দলের সিদ্ধান্ত মানবে না, বিক্ষোভে নামবে বা নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়বে। তবে কিছু ছোটখাট ঘটনা ছাড়া মনোনয়ন ঘোষণা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এতে প্রমাণিত হয়, বিএনপি নেতৃত্ব পরিকল্পিতভাবে প্রস্তুতি নিয়েছে। মনোনয়নের ব্যাপারে দলের ভিতরে সমর্থন ও গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি, ফলে প্রচারণা ও ভোটের সময় সংঘর্ষের সম্ভাবনা কম।
দ্বিতীয়ত, আওয়ামী লীগের সক্ষমতার সীমা স্পষ্ট হয়ে উঠছে, এবং এটি বেশ ছোট। দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে যে, তাদের একটি ব্যাপক তৃণমূল নেটওয়ার্ক রয়েছে যা যেকোনো নির্বাচনী অস্থিতিশীলতা ঠেকাতে সক্ষম। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনাবলি দেখাচ্ছে, দলের সংগঠিত শক্তি কতটা সীমিত। এখন তারা ভাড়াটে ছোটদুষ্কৃতকারীদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে, যারা বাসে আগুন দিতে পারে, অল্প সময়ের মধ্যে তড়িৎ মিছিল করতে পারে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে। প্রকৃতপক্ষে, তাদের মাঠে সংগঠিত শক্তি খুবই কম। দীর্ঘদিনের আমার পর্যবেক্ষণও তাই নির্দেশ করে, দলের তৃণমূল ভেঙে গেছে বা অন্য রাজনৈতিক দলের দ্বারা প্রভাবিত। এই বাস্তবতা বিবেচনা করে আমি মনে করি, আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জন্য অস্থিতিশীলতা বা বিঘ্নের সম্ভাবনা খুবই নগণ্য।
তৃতীয়ত, পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসন এখন আরও সুসংগঠিত। সাম্প্রতিক সময়ে আইনশৃঙ্খলার স্থিতিশীলতা দেখে বোঝা যায়, পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী ও প্রশাসনের (ডিসি, এসপি, ইউএনও, ওসি) সদস্যরা আগের তুলনায় অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী ও সংগঠিত। সবচেয়ে দক্ষ ও ক্ষমতাবান কর্মকর্তাদের নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি দৃঢ় বিশ্বাস করি, তারা জাতির প্রত্যাশিত শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে সক্ষম হবে।
প্রিন্ট














