, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

বিবিসির বিরুদ্ধে ৫ বিলিয়ন ডলারের মামলার হুমকি ট্রাম্পের

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৬ বার পড়া হয়েছে

আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ব্রিটিশ সম্প্রচারমাধ্যম বিবিসির বিরুদ্ধে তিনি আগামী সপ্তাহে এক থেকে পাঁচ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণের মামলা করবেন। সম্প্রচার সংস্থাটি ইতিমধ্যে ভিডিও সম্পাদনার ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছে, তবে আইনি অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এই ঘটনায় বিবিসি এখন বড় ধরনের সংকটে পড়েছে। সম্পাদকীয় পক্ষপাত ও ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হামলার সময় ট্রাম্পের বক্তৃতার ভুল সম্পাদনার অভিযোগে সংস্থার দুই শীর্ষ কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। ট্রাম্পের আইনজীবীরা প্রথমে জানিয়ে দেন, ডকুমেন্টারি প্রত্যাহার না করলে কমপক্ষে এক বিলিয়ন ডলার মামলা করা হবে। তারা ক্ষমা ও ক্ষতিপূরণের দাবি তোলে। বিবিসি জানিয়েছে, ট্রাম্পের বক্তব্যের সম্পাদনা ছিল ‘বিচারের ভুল’। সংস্থাটি ট্রাম্পকে ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমা চেয়ে জানিয়েছে, তারা ডকুমেন্টারিটি আর প্রচার করবে না। তবে মানহানির অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ট্রাম্প সাংবাদিকদের বললেন, ‘আমরা এক থেকে পাঁচ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণের মামলা করতে পারি, হয়তো আগামী সপ্তাহেই। তাদের নিজেরা স্বীকার করেছে যে তারা প্রতারণা করেছে। তারা আমার কথার মান বদলে দিয়েছে।’ তিনি আরও জানান, তিনি এখনো ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে কথা বলেননি, তবে সপ্তাহান্তে ফোন করার পরিকল্পনা রয়েছে। ট্রাম্প দাবি করেন, স্টারমার এই ঘটনা নিয়ে বিব্রত। ‘প্যানোরামা’ অনুষ্ঠানে প্রচারিত ওই ডকুমেন্টারিতে ট্রাম্পের বক্তৃতার তিনটি অংশ জোড়া লাগানো হয়, যা দেখে মনে হয় তিনি দাঙ্গায় উসকানি দিচ্ছেন। ট্রাম্পের আইনজীবীরা একে ‘ভুল ও মানহানিকর’ বলে মন্তব্য করেছেন। গিবি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘এটা বিশ্বাস করা কঠিন। তারা এমনভাবে কাটছেঁটে দেখিয়েছে যেন আমি উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছি। এটা শুধু ভুয়া নয়, দুর্নীতি।’ বিবিসির চেয়ারম্যান সামির শাহ বুধবার হোয়াইট হাউসে ব্যক্তিগত ক্ষমা চেয়েছেন। ব্রিটিশ সংস্কৃতি মন্ত্রী লিসা ন্যান্ডি বলেছেন, ক্ষমা চাওয়া ছিল ‘সঠিক ও প্রয়োজনীয়’। সম্প্রচার সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা ডকুমেন্টারি পুনঃপ্রচার করবে না এবং অন্য একটি অনুষ্ঠানে একই ধরনের সম্পাদনার অভিযোগও তদন্ত করছে। এই বিষয়টি নিয়ে বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি ও প্রধান সংবাদ সম্পাদক ডেবোরা টারনেস এই সপ্তাহে পদত্যাগ করেছেন। সংসদে প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বলেছেন, তিনি একটি ‘শক্তিশালী ও স্বাধীন বিবিসি’ চান, তবে সংস্থাটিকে ‘নিজেদের ভুল সংশোধন করতে হবে’। ১৯২২ সালে প্রতিষ্ঠিত বিবিসি লাইসেন্স ফি থেকে অর্থায়ন পায়। এখন প্রশ্ন উঠেছে, এই জনসম্পদ ট্রাম্পের দাবি মেটাতে ব্যবহৃত হবে কি না। সাবেক মিডিয়া মন্ত্রী জন হুইটিংডেল বলেছেন, লাইসেন্স ফি থেকে ক্ষতিপূরণ দিলে জনগণের ‘তীব্র ক্ষোভ’ দেখা দেবে। সূত্র: রয়টার্স


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

বিবিসির বিরুদ্ধে ৫ বিলিয়ন ডলারের মামলার হুমকি ট্রাম্পের

আপডেট সময় ১০:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ব্রিটিশ সম্প্রচারমাধ্যম বিবিসির বিরুদ্ধে তিনি আগামী সপ্তাহে এক থেকে পাঁচ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণের মামলা করবেন। সম্প্রচার সংস্থাটি ইতিমধ্যে ভিডিও সম্পাদনার ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছে, তবে আইনি অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এই ঘটনায় বিবিসি এখন বড় ধরনের সংকটে পড়েছে। সম্পাদকীয় পক্ষপাত ও ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হামলার সময় ট্রাম্পের বক্তৃতার ভুল সম্পাদনার অভিযোগে সংস্থার দুই শীর্ষ কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। ট্রাম্পের আইনজীবীরা প্রথমে জানিয়ে দেন, ডকুমেন্টারি প্রত্যাহার না করলে কমপক্ষে এক বিলিয়ন ডলার মামলা করা হবে। তারা ক্ষমা ও ক্ষতিপূরণের দাবি তোলে। বিবিসি জানিয়েছে, ট্রাম্পের বক্তব্যের সম্পাদনা ছিল ‘বিচারের ভুল’। সংস্থাটি ট্রাম্পকে ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমা চেয়ে জানিয়েছে, তারা ডকুমেন্টারিটি আর প্রচার করবে না। তবে মানহানির অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ট্রাম্প সাংবাদিকদের বললেন, ‘আমরা এক থেকে পাঁচ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণের মামলা করতে পারি, হয়তো আগামী সপ্তাহেই। তাদের নিজেরা স্বীকার করেছে যে তারা প্রতারণা করেছে। তারা আমার কথার মান বদলে দিয়েছে।’ তিনি আরও জানান, তিনি এখনো ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে কথা বলেননি, তবে সপ্তাহান্তে ফোন করার পরিকল্পনা রয়েছে। ট্রাম্প দাবি করেন, স্টারমার এই ঘটনা নিয়ে বিব্রত। ‘প্যানোরামা’ অনুষ্ঠানে প্রচারিত ওই ডকুমেন্টারিতে ট্রাম্পের বক্তৃতার তিনটি অংশ জোড়া লাগানো হয়, যা দেখে মনে হয় তিনি দাঙ্গায় উসকানি দিচ্ছেন। ট্রাম্পের আইনজীবীরা একে ‘ভুল ও মানহানিকর’ বলে মন্তব্য করেছেন। গিবি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘এটা বিশ্বাস করা কঠিন। তারা এমনভাবে কাটছেঁটে দেখিয়েছে যেন আমি উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছি। এটা শুধু ভুয়া নয়, দুর্নীতি।’ বিবিসির চেয়ারম্যান সামির শাহ বুধবার হোয়াইট হাউসে ব্যক্তিগত ক্ষমা চেয়েছেন। ব্রিটিশ সংস্কৃতি মন্ত্রী লিসা ন্যান্ডি বলেছেন, ক্ষমা চাওয়া ছিল ‘সঠিক ও প্রয়োজনীয়’। সম্প্রচার সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা ডকুমেন্টারি পুনঃপ্রচার করবে না এবং অন্য একটি অনুষ্ঠানে একই ধরনের সম্পাদনার অভিযোগও তদন্ত করছে। এই বিষয়টি নিয়ে বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি ও প্রধান সংবাদ সম্পাদক ডেবোরা টারনেস এই সপ্তাহে পদত্যাগ করেছেন। সংসদে প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বলেছেন, তিনি একটি ‘শক্তিশালী ও স্বাধীন বিবিসি’ চান, তবে সংস্থাটিকে ‘নিজেদের ভুল সংশোধন করতে হবে’। ১৯২২ সালে প্রতিষ্ঠিত বিবিসি লাইসেন্স ফি থেকে অর্থায়ন পায়। এখন প্রশ্ন উঠেছে, এই জনসম্পদ ট্রাম্পের দাবি মেটাতে ব্যবহৃত হবে কি না। সাবেক মিডিয়া মন্ত্রী জন হুইটিংডেল বলেছেন, লাইসেন্স ফি থেকে ক্ষতিপূরণ দিলে জনগণের ‘তীব্র ক্ষোভ’ দেখা দেবে। সূত্র: রয়টার্স


প্রিন্ট