বড়পুকুরিয়ায় খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করে দোয়া
ফুলবাড়ীতে শিশু পার্ক উদ্বোধন
আমি চাই ও আমার হাত ছেড়ে দিক
চীনের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের
টিকটকে উসকানিমূলক ভিডিও, আ.লীগ নেত্রী সুলতানা আটক
শুরু হলো মহান বিজয়ের মাস
সেন্টমার্টিনে আজ থেকে রাতযাপনের সুযোগ, মানতে হবে যেসব শর্ত
বাবা-ভাইদের হাতে প্রেমিকের মৃত্যু, মরদেহকেই ‘বিয়ে’ তরুণীর
পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে শ্রমিককে হত্যার অভিযোগ
নতুন পে স্কেল বাস্তবায়ন নিয়ে ফের জটিলতা
সেই আশরাফুলের দাফন সম্পন্ন
- আপডেট সময় ০৭:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
- / ১৯ বার পড়া হয়েছে
ঢাকায় নিষ্ঠুরভাবে খুন হওয়া রংপুরের বদরগঞ্জের আশরাফুল হকের (৪৪) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া আল মাহফুজ মাদরাসা মাঠে জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে শুক্রবার গভীর রাতে তার লাশ ঢাকা থেকে বদরগঞ্জে আনা হয়। এ সময় তার খণ্ডিত দেহ দেখে স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। জানাজার নামাজ ও দাফনের জন্য আশপাশের বিভিন্ন স্তরের মানুষ অংশ নেন। গত মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) প্রবাসী বন্ধু জরেজের সঙ্গে নিয়ে বদরগঞ্জ থেকে ঢাকা যান আশরাফুল। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকার হাইকোর্ট মাজারের পাশে দুটি নীল ড্রামের ভেতর থেকে তার ২৬ টুকরা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় আশরাফুলের ছোট বোন আনজিরা বেগম বাদী হয়ে বন্ধু জরেজসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শুক্রবার শাহবাগ থানায় মামলা করেন। সেই দিন বিকেলে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মূল আসামি জরেজ (৪৩) ও তার প্রেমিকা শামীমাকে (৩৩)। এ সময় গুরুত্বপূর্ণ আলামত জব্দ করা হয়। শনিবার সকাল র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফায়েজুল আরেফিন সংবাদ সম্মেলনে জানান, আশরাফুল হক এবং ফরেজুল ইসলাম জরেজ বন্ধু ছিলেন। আশরাফুলের কাছে বেশ টাকা-পয়সা আছে, এই খবর জরেজ জানত। তাই তাকে অপহরণের পরিকল্পনা করে। এ জন্য নিজের প্রেমিকা শামীমাকে কাজে লাগায়। তারা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণের পরিকল্পনা করেছিল। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এক মাস ধরে শামীমা মোবাইল ফোনে আশরাফুলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করে তাকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে। জরেজের নির্দেশে শামীমা প্রেমের অভিনয় করে আশরাফুলকে মালটার শরবতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ান। জরেজ বাইরে থেকে তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করেন। শামীমার জবানবন্দির ভিত্তিতে র্যাব জানায়, ১২ নভেম্বর দুপুরে আশরাফুল পুরোপুরি অচেতন হয়ে গেলে জরেজ তার হাত দড়ি দিয়ে বেঁধে মুখে স্কচটেপ লাগান। এরপর ইয়াবা সেবন করে জরেজ হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকেন। এতে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে আশরাফুলের মৃত্যু হয়। ১৩ নভেম্বর সকালে জরেজ চাপাতি ও দুটি নীল ড্রাম কিনে এনে আশরাফুলের লাশ ২৬ টুকরা করে ড্রামে ভরে দেন। দুপুরে একটি অটোরিকশা ভাড়া করে ড্রামগুলো বাসা থেকে বের করেন। ধরা পড়ার ভয়ে অটোরিকশা বদলে হাইকোর্ট এলাকার কাছে যান। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা দেখে দ্রুত পানির পাম্পের পাশে বড় গাছের নিচে ড্রাম দুটি ফেলে পালিয়ে যান। ঘটনার পর শামীমাকে কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে ফিরে যেতে বলেন জরেজ। নিজে রংপুরে ফেরার কথা বললেও এরপর থেকে তিনি গা-ঢাকা দেন। ১১ নভেম্বর থেকে আশরাফুলের ফোন বন্ধ পাওয়ার কারণে পরিবারের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ে। ১৩ নভেম্বর হাইকোর্ট এলাকায় পানির পাম্পের পাশে পড়ে থাকা দুটি ড্রাম থেকে পুলিশ ২৬ খণ্ড মরদেহ উদ্ধার করে। আঙুলের ছাপের বিশ্লেষণে নিশ্চিত হওয়া যায়, তা আশরাফুল হকের।
প্রিন্ট

















