অস্ট্রেলিয়ার সংসদ সদস্যরা বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তার দাবি তুলেছেন। নির্বাচনের আগে এই সমর্থন পেয়ে তারেক রহমান তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। শনিবার (১৫ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এ কৃতজ্ঞতা জানান। ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, “আমরা অনেক বাংলাদেশি ও অস্ট্রেলিয়ান এমপিরা আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ, যারা বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং নির্বাচনী অখণ্ডতার বিষয়ে স্পষ্টতা ও বিবেকের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাদের চিন্তাশীল হস্তক্ষেপ দেশের গণতান্ত্রিক নীতিমালা ও বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণের জন্য গভীর প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।” “দেশের বিভিন্ন প্রান্তের নাগরিকরা রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, নিরাপত্তা ও স্বাধীন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয়তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এই উদ্বেগের মধ্যে থাকেন সাধারণ মানুষ, যারা স্থিতিশীলতা, ন্যায়বিচার ও শান্তিপূর্ণ, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ গড়তে চান।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তা, মর্যাদা ও রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করতে অস্ট্রেলিয়ান এমপিদের যে আহ্বান, তা বাংলাদেশের সব নাগরিকের আশা-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে গভীরভাবে মিলিত। তখনই গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়, যখন এটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্বচ্ছ ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন হয়।” আরও তিনি জানিয়েছেন, “অস্ট্রেলিয়ায় আমাদের বাংলাদেশি প্রবাসীরা এই উদ্বেগগুলোকে গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। অস্ট্রেলিয়ান সমাজে তাদের অবদান ও মাতৃভূমির সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ আমাদের দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে। দেশের প্রতি ভালোবাসা থেকে তারা যে সমর্থন দেন, তা আমাদের চ্যালেঞ্জ ও আকাঙ্ক্ষাকে বিশ্বজুড়ে বোঝাতে সাহায্য করে।” পোস্টের শেষেই তিনি লিখেছেন, “অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশ পারস্পরিক সম্মান ও সহযোগিতার ভিত্তি ভাগ করে নেয়। আমি অস্ট্রেলিয়ান প্রতিনিধিদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই, যারা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন। তাদের সমর্থন আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রের অঙ্গীকার এক। যখন সব জাতি এক হয়ে যায়, তখন আমরা শান্তি, ন্যায়বিচার ও উন্নতির পথে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে পারি।”