বড়পুকুরিয়ায় খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করে দোয়া
ফুলবাড়ীতে শিশু পার্ক উদ্বোধন
আমি চাই ও আমার হাত ছেড়ে দিক
চীনের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের
টিকটকে উসকানিমূলক ভিডিও, আ.লীগ নেত্রী সুলতানা আটক
শুরু হলো মহান বিজয়ের মাস
সেন্টমার্টিনে আজ থেকে রাতযাপনের সুযোগ, মানতে হবে যেসব শর্ত
বাবা-ভাইদের হাতে প্রেমিকের মৃত্যু, মরদেহকেই ‘বিয়ে’ তরুণীর
পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে শ্রমিককে হত্যার অভিযোগ
নতুন পে স্কেল বাস্তবায়ন নিয়ে ফের জটিলতা
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে মীর কাসেম আলীর মেয়ের আবেগঘন পোস্ট
- আপডেট সময় ০৭:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
- / ২১ বার পড়া হয়েছে
মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মীর কাসেম আলীর মেয়ে সুমাইয়া রাবেয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন। গত ১৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যে রায় দিয়েছে, তা নিয়ে তিনি নিজের অতীতের যন্ত্রণা, পারিবারিক বিভাজন এবং বিচারব্যবস্থার অসামঞ্জস্যতা বিষয়ে বিস্তারিত লিখেছেন। ফেসবুক পোস্টে রাবেয়া উল্লেখ করেন, “অব্বুর রায়ের দিন। আমি তখন সদ্য সন্তান ধারণ করেছি, প্রথম সন্তান, জীবনের প্রথম অভিজ্ঞতা। সেই সময় অব্বুর বাড়িতে এবং শ্বশুরবাড়িতে পুলিশি অভিযান চলছিল। ভাইয়েরা পালিয়ে কোথাও লুকিয়ে ছিল। এই অস্থিরতার মাঝে আমার গর্ভধারণের খবরই ছিল পরিবারের একমাত্র সুখের মুহূর্ত। অব্বুও সেই কঠিন সময়ে আরমান ভাইয়ের জন্য দোয়া করেছিলেন। আরমান ভাই, যেহেতু অব্বুর ছোট ভাই, তাই স্বাভাবিক দর্শনে বাইরে গিয়েও দেখা করতে পারতেন। অন্যদিকে, সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছিল। চারদিকে সবাই বলছিল, অব্বু সরাসরি রাজনীতিবিদ নন। ৭১ সালে তার বয়স ছিল মাত্র ১৯। তাকে চট্টগ্রামের ‘মাস্টারমাইন্ড’ বলা, সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য বাহিনী তার অধীনে চলত—এসব সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। যাই হোক… মনে মনে ভাবছিলাম, ফাঁসি হবে না ইনশাআল্লাহ। আজীবন হলেও অব্বুকেই দেখে বা তার দোয়া পেলে খুশি হতাম। কিন্তু সেই আশাটুকুও ভেঙে গেল ফাসির রায়ে। অব্বু বের হয়ে বিজয়ের চিহ্ন দেখালেন—ভিশন সাইন। আমি তখন গর্ভবতী, অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও হরমোনের কারণে পুরোপুরি ভেঙে পড়েছিলাম। মনে হচ্ছিল পৃথিবী যেন এক মুহূর্তে উলটে গেল। এরপর তাকে এসি বাস বা অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়া হলো না; গাদাগাদি করে সংকীর্ণ ভ্যানে করে তাকে কনডেম্নড সেলে পাঠানো হলো। আরমান ভাইয়া জেলগেট থেকে নড়তে পারছিলেন না। অব্বুকে সেই কনডেম্নড সেলে রেখে তিনি কিভাবে বাড়ি ফিরবেন? আমরা বারবার ফোন করে ফিরতে বলছিলাম, আর তিনি জেলগেটের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়ছিলেন। তার সেই কান্নার শব্দ দু’দিন আমার কানে বাজছিল। সেই অশ্রু সহ্য করতে না পেরে… আমি আমার বাবুও হারালাম। আজ আবার হাসিনার রায়। মানুষের চোখের সামনে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার বিচার। তার অপরাধের জন্য আজকের সিদ্ধান্ত স্পষ্ট, দিনের আলোয়। কিন্তু এত কিছু ঘটে যাওয়ার পরও তার জন্য কোনো কনডেম্নড সেল তৈরি হয়নি। তিনি আরামে বসে হাসছেন, কোনো এসি রুমে। তাকে কনডেম্নড সেলে না দেখলে এই রায় আমার জন্য অপূর্ণ থেকে যাবে। এত মানুষের কান্না… এত শোক… ফাসির আদেশ কার্যকর হলেও, এই কষ্ট কখনোই পূরণ হবে না।
প্রিন্ট


















