, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

স্বর্ণের দামে ফের পতন

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৯ বার পড়া হয়েছে

ডলারের শক্তিশালী অবস্থান এবং যুক্তরাষ্ট্রের আগামী মাসে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা কমে যাওয়ায় মঙ্গলবার স্বর্ণের মূল্য ধারাবাহিকভাবে পতন শুরু করেছে। সূত্র: রয়টার্স। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বাংলাদেশের স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৪৪ মিনিটে স্পট স্বর্ণের দাম প্রতি আউন্স ০.৯ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৪ হাজার ১০ ডলারে এসে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে ডিসেম্বরে বিক্রয়ের জন্য উপলব্ধ মার্কিন ফিউচার্সের মূল্যও ১.৬ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ৯.২০ ডলারে পৌঁছায়। মারেক্সের বিশ্লেষক এডওয়ার্ড মেয়ার জানান, ডলার এই মুহূর্তে কিছুটা শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। পাশাপাশি, গত এক সপ্তাহে দানা বাঁধা কল্পনামূলক কেনাকাটাও কমে গেছে। এজন্য স্বর্ণের বাজার আপাতত স্থিতিশীলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। পূর্বের সেশনে হঠাৎ অস্থিরতার পর ডলার সূচক আবার স্থিতিশীল অবস্থানে ফিরে এসেছে। ডলার শক্তিশালী হলে অন্যান্য মুদ্রাধারীদের জন্য স্বর্ণ কেনা ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়ায়। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘ সময়ের সরকারি বন্ধন অবসানের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেই সময় সরকারি অর্থনৈতিক তথ্য প্রকাশের অভাবে ডিসেম্বরে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা আরও কমে যায়। ফেডারেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ফিলিপ জেফারসন সোমবার বলেন, সুদের হার কমানোর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক ধীরে ধীরে অগ্রসর হতে হবে। ফলে আগামী মাসে হার কমানোর প্রত্যাশা দুর্বল হয়ে পড়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, সুদের হার কম থাকলে স্বর্ণ সাধারণত লাভজনক হয়, বিশেষ করে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সময়। এই সপ্তাহে বাজারের নজর থাকবে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক তথ্যের দিকে—বিশেষ করে আসন্ন বৃহস্পতিবারের সেপ্টেম্বর মাসের নন-ফার্ম পেরোল রিপোর্টে। এএনজেড ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী মাসে ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমাবে—এমন প্রত্যাশা রাতারাতি ৪২ শতাংশে নেমে এসেছে, যা সেপ্টেম্বরের সিদ্ধান্তের পর প্রায় ১০০ শতাংশ ছিল। এর ফলে স্বর্ণে বিনিয়োগের আগ্রহ কমে গেছে। তবে বিশ্লেষকেরা আরো মনে করেন, ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা, যুক্তরাষ্ট্রের ঋণ টেকসই হওয়া নিয়ে উদ্বেগ, ডি-ডলারাইজেশন প্রক্রিয়া ও বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বর্ণ কেনার প্রবণতা—এসব কারণ মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদে স্বর্ণ বাজারের জন্য ইতিবাচক। অন্যদিকে, স্পট সিলভার দাম ১.২ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৪৯.৫৮ ডলারে নেমে এসেছে। প্লাটিনামের মূল্য ১ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ১ হাজার ৫১৭.৭৩ ডলারে দাঁড়িয়েছে এবং প্যালাডিয়ামের দাম ১.৫ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ১ হাজার ৩৭২.০৫ ডলারে লেনদেন চলছে।


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

স্বর্ণের দামে ফের পতন

আপডেট সময় ১২:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

ডলারের শক্তিশালী অবস্থান এবং যুক্তরাষ্ট্রের আগামী মাসে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা কমে যাওয়ায় মঙ্গলবার স্বর্ণের মূল্য ধারাবাহিকভাবে পতন শুরু করেছে। সূত্র: রয়টার্স। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বাংলাদেশের স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৪৪ মিনিটে স্পট স্বর্ণের দাম প্রতি আউন্স ০.৯ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৪ হাজার ১০ ডলারে এসে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে ডিসেম্বরে বিক্রয়ের জন্য উপলব্ধ মার্কিন ফিউচার্সের মূল্যও ১.৬ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ৯.২০ ডলারে পৌঁছায়। মারেক্সের বিশ্লেষক এডওয়ার্ড মেয়ার জানান, ডলার এই মুহূর্তে কিছুটা শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। পাশাপাশি, গত এক সপ্তাহে দানা বাঁধা কল্পনামূলক কেনাকাটাও কমে গেছে। এজন্য স্বর্ণের বাজার আপাতত স্থিতিশীলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। পূর্বের সেশনে হঠাৎ অস্থিরতার পর ডলার সূচক আবার স্থিতিশীল অবস্থানে ফিরে এসেছে। ডলার শক্তিশালী হলে অন্যান্য মুদ্রাধারীদের জন্য স্বর্ণ কেনা ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়ায়। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘ সময়ের সরকারি বন্ধন অবসানের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেই সময় সরকারি অর্থনৈতিক তথ্য প্রকাশের অভাবে ডিসেম্বরে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা আরও কমে যায়। ফেডারেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ফিলিপ জেফারসন সোমবার বলেন, সুদের হার কমানোর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক ধীরে ধীরে অগ্রসর হতে হবে। ফলে আগামী মাসে হার কমানোর প্রত্যাশা দুর্বল হয়ে পড়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, সুদের হার কম থাকলে স্বর্ণ সাধারণত লাভজনক হয়, বিশেষ করে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সময়। এই সপ্তাহে বাজারের নজর থাকবে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক তথ্যের দিকে—বিশেষ করে আসন্ন বৃহস্পতিবারের সেপ্টেম্বর মাসের নন-ফার্ম পেরোল রিপোর্টে। এএনজেড ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী মাসে ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমাবে—এমন প্রত্যাশা রাতারাতি ৪২ শতাংশে নেমে এসেছে, যা সেপ্টেম্বরের সিদ্ধান্তের পর প্রায় ১০০ শতাংশ ছিল। এর ফলে স্বর্ণে বিনিয়োগের আগ্রহ কমে গেছে। তবে বিশ্লেষকেরা আরো মনে করেন, ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা, যুক্তরাষ্ট্রের ঋণ টেকসই হওয়া নিয়ে উদ্বেগ, ডি-ডলারাইজেশন প্রক্রিয়া ও বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বর্ণ কেনার প্রবণতা—এসব কারণ মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদে স্বর্ণ বাজারের জন্য ইতিবাচক। অন্যদিকে, স্পট সিলভার দাম ১.২ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৪৯.৫৮ ডলারে নেমে এসেছে। প্লাটিনামের মূল্য ১ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ১ হাজার ৫১৭.৭৩ ডলারে দাঁড়িয়েছে এবং প্যালাডিয়ামের দাম ১.৫ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ১ হাজার ৩৭২.০৫ ডলারে লেনদেন চলছে।


প্রিন্ট