বড়পুকুরিয়ায় খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করে দোয়া
ফুলবাড়ীতে শিশু পার্ক উদ্বোধন
আমি চাই ও আমার হাত ছেড়ে দিক
চীনের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের
টিকটকে উসকানিমূলক ভিডিও, আ.লীগ নেত্রী সুলতানা আটক
শুরু হলো মহান বিজয়ের মাস
সেন্টমার্টিনে আজ থেকে রাতযাপনের সুযোগ, মানতে হবে যেসব শর্ত
বাবা-ভাইদের হাতে প্রেমিকের মৃত্যু, মরদেহকেই ‘বিয়ে’ তরুণীর
পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে শ্রমিককে হত্যার অভিযোগ
নতুন পে স্কেল বাস্তবায়ন নিয়ে ফের জটিলতা
২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট জারি
- আপডেট সময় ০২:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
- / ২৬ বার পড়া হয়েছে
সরকার শ্রম আইন সংশোধন করে নতুন একটি অধ্যাদেশ জারি করেছে যেখানে ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকের সম্মতি থাকলে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৭ নভেম্বর) আইন ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ এই সংশোধিত আইন ও অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশ করেছে। এই অধ্যাদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে ২০ জন শ্রমিক একত্রিত হয়ে ট্রেড ইউনিয়ন তৈরির জন্য আবেদন করতে পারবে। প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকসংখ্যা অনুযায়ী কতজনের সম্মতি থাকলে ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন হবে—তা নির্ধারিত হয়েছে। শ্রমিকসংখ্যা ২০ থেকে ৩০০ জন হলে ন্যূনতম ২০ জন, ৩০১ থেকে ৫০০ জন হলে ৪০ জন, ৫০১ থেকে ১৫০০ জন হলে ১০০ জন, ১৫০১ থেকে ৩০০০ জন হলে ৩০০ জন এবং ৩০০১ জন বা তার বেশি হলে ৪০০ জনের সম্মতি থাকলেই ট্রেড ইউনিয়ন গঠন সম্ভব। এর আগে শ্রম আইনে বলা ছিল, কোনো কলকারখানায় ২০ শতাংশ শ্রমিকের সম্মতিতে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করা যাবে। এই বিধান সংশোধন করে এখন শ্রমিকসংখ্যা অনুযায়ী সঠিক সংখ্যক শ্রমিকের সম্মতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ফলে এখন সর্বনিম্ন ২০ জন শ্রমিকের সম্মতিতেই ট্রেড ইউনিয়ন গঠন সম্ভব হবে। বাংলাদেশ শ্রম আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এর মাধ্যমে শ্রম আইনের আধুনিকীকরণ, আন্তর্জাতিক মানের আনুকূল্য এবং শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সমতা বজায় রাখার লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছে। সভা শেষে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘শ্রম আইন সংশোধনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কনভেনশনসমূহের সঙ্গে সামঞ্জস্য আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই পরিবর্তনগুলো যুগান্তকারী। আইএলও এর কমিটি অব এক্সপার্টসের সুপারিশ, দাতা সংস্থা ও রাষ্ট্রের মতামত এবং ত্রিপক্ষীয় (শ্রমিক, মালিক, সরকার) আলোচনায় এই সংশোধনী আনা হয়েছে।’ নতুন শ্রম আইনে গৃহকর্মী ও নাবিকদের শ্রমিকের সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, ফলে তারা আইনের সুরক্ষা পাবেন। নন-প্রফিট সংস্থার ক্ষেত্রেও এই আইন প্রযোজ্য হবে। শ্রমিকদের ব্ল্যাক লিস্টিং (কালো তালিকা) প্রথা অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। একই কাজের জন্য নারী ও পুরুষের বেতন বৈষম্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শ্রমিকদের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য বিকল্প ব্যবস্থা শক্তিশালী করা হয়েছে। কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের পুনর্বাসন ও চিকিৎসার জন্য তহবিল গঠনের বিধান আনা হয়েছে। ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের প্রক্রিয়া সহজীকরণ করা হয়েছে।
প্রিন্ট


















