, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

সৌদি আরবকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান দেবে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
  • / ২০ বার পড়া হয়েছে

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি সৌদি আরবকে আধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রির অনুমোদন দিচ্ছেন। সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠকের আগের দিন সোমবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা এটি করব। আমরা এফ-৩৫ বিক্রি করব।’ এই ধরনের বিক্রি হলে মার্কিন নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে। পাশাপাশি, মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক শক্তির ভারসাম্য পরিবর্তিত হতে পারে, কারণ দীর্ঘদিন ধরে ওয়াশিংটন ইসরায়েলের ‘সামরিক শ্রেষ্ঠতা’ বজায় রাখার নীতিতে অটল। রয়টার্সের সূত্রে জানা গেছে, সৌদি আরব সর্বোচ্চ ৪৮টি এফ-৩৫ কেনার অনুরোধ জানিয়েছে। এই সম্ভাব্য কয়েক বিলিয়ন ডলারের চুক্তি মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ থেকে প্রাথমিক অনুমোদন পেয়েছে। সৌদিরা বহুদিন ধরেই লকহিড মার্টিনের তৈরি এ যুদ্ধবিমান কেনার আগ্রহ প্রকাশ করে আসছে। হোয়াইট হাউসের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেছেন, ট্রাম্প এই বিষয়ে ক্রাউন প্রিন্সের সঙ্গে আলোচনা করতে চান, তারপরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব মোকাবেলা ও নিজেদের বিমানবাহিনী আধুনিকীকরণের অংশ হিসেবে মার্কিন অস্ত্র কেনার ক্ষেত্রে সৌদি আরব সবচেয়ে বড় ক্রেতা। দেশের বিমানবাহিনীতে ইতিমধ্যে রয়েছে বোয়িং এর এফ-১৫, ইউরোপীয় টর্নেডো ও টাইফুন যুদ্ধবিমান। বছরের শুরুতে সৌদি আরব সরাসরি ট্রাম্পকে এফ-৩৫ কিনতে অনুরোধ জানিয়েছিল। কয়েক মাস ধরে পেন্টাগনের নীতি বিভাগ এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে বলে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সবসময় এই লক্ষ্য রাখে যে, ইসরায়েল যেন অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি উন্নত মার্কিন অস্ত্র পায়। এফ-৩৫ হলো স্টেলথ প্রযুক্তিসমৃদ্ধ বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত যুদ্ধবিমান, যা ইসরায়েল প্রায় এক দশক ধরে ব্যবহার করছে। মধ্যপ্রাচ্যে এই যুদ্ধবিমান এখনো কেবলই ইসরায়েলের কাছে। এফ-৩৫ বিক্রির বিষয়টি বৃহত্তর কূটনৈতিক প্রচেষ্টার সঙ্গে জড়িত। আগের মার্কিন প্রশাসন সৌদি আরবকে এফ-৩৫ দেওয়ার বিষয়ে ভাবনা ভাবলেও, বিনিময়ে রিয়াদ যেন ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে। তবে সেই উদ্যোগ শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসও এই বিক্রিতে বাধা দিতে পারে। সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যা কাণ্ডের পর রিয়াদের সঙ্গে অস্ত্রচুক্তি নিয়ে অনেক আইনপ্রণেতা প্রশ্ন তুলেছেন। এখনো অনেকেই সৌদির সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা বাড়ানোর ব্যাপারে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। সূত্র— রয়টার্স


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

সৌদি আরবকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান দেবে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

আপডেট সময় ১১:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি সৌদি আরবকে আধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রির অনুমোদন দিচ্ছেন। সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠকের আগের দিন সোমবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা এটি করব। আমরা এফ-৩৫ বিক্রি করব।’ এই ধরনের বিক্রি হলে মার্কিন নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে। পাশাপাশি, মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক শক্তির ভারসাম্য পরিবর্তিত হতে পারে, কারণ দীর্ঘদিন ধরে ওয়াশিংটন ইসরায়েলের ‘সামরিক শ্রেষ্ঠতা’ বজায় রাখার নীতিতে অটল। রয়টার্সের সূত্রে জানা গেছে, সৌদি আরব সর্বোচ্চ ৪৮টি এফ-৩৫ কেনার অনুরোধ জানিয়েছে। এই সম্ভাব্য কয়েক বিলিয়ন ডলারের চুক্তি মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ থেকে প্রাথমিক অনুমোদন পেয়েছে। সৌদিরা বহুদিন ধরেই লকহিড মার্টিনের তৈরি এ যুদ্ধবিমান কেনার আগ্রহ প্রকাশ করে আসছে। হোয়াইট হাউসের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেছেন, ট্রাম্প এই বিষয়ে ক্রাউন প্রিন্সের সঙ্গে আলোচনা করতে চান, তারপরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব মোকাবেলা ও নিজেদের বিমানবাহিনী আধুনিকীকরণের অংশ হিসেবে মার্কিন অস্ত্র কেনার ক্ষেত্রে সৌদি আরব সবচেয়ে বড় ক্রেতা। দেশের বিমানবাহিনীতে ইতিমধ্যে রয়েছে বোয়িং এর এফ-১৫, ইউরোপীয় টর্নেডো ও টাইফুন যুদ্ধবিমান। বছরের শুরুতে সৌদি আরব সরাসরি ট্রাম্পকে এফ-৩৫ কিনতে অনুরোধ জানিয়েছিল। কয়েক মাস ধরে পেন্টাগনের নীতি বিভাগ এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে বলে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সবসময় এই লক্ষ্য রাখে যে, ইসরায়েল যেন অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি উন্নত মার্কিন অস্ত্র পায়। এফ-৩৫ হলো স্টেলথ প্রযুক্তিসমৃদ্ধ বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত যুদ্ধবিমান, যা ইসরায়েল প্রায় এক দশক ধরে ব্যবহার করছে। মধ্যপ্রাচ্যে এই যুদ্ধবিমান এখনো কেবলই ইসরায়েলের কাছে। এফ-৩৫ বিক্রির বিষয়টি বৃহত্তর কূটনৈতিক প্রচেষ্টার সঙ্গে জড়িত। আগের মার্কিন প্রশাসন সৌদি আরবকে এফ-৩৫ দেওয়ার বিষয়ে ভাবনা ভাবলেও, বিনিময়ে রিয়াদ যেন ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে। তবে সেই উদ্যোগ শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসও এই বিক্রিতে বাধা দিতে পারে। সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যা কাণ্ডের পর রিয়াদের সঙ্গে অস্ত্রচুক্তি নিয়ে অনেক আইনপ্রণেতা প্রশ্ন তুলেছেন। এখনো অনেকেই সৌদির সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা বাড়ানোর ব্যাপারে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। সূত্র— রয়টার্স


প্রিন্ট