, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

নির্বাচন উৎসবমুখর করতে সেনাবাহিনীর সহায়তা প্রয়োজন : প্রধান উপদেষ্টা

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৮ বার পড়া হয়েছে

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর ও আনন্দময় করে তুলতে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা অপরিহার্য। বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে মিরপুর সেনানিবাসের ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড ও স্টাফ কলেজ (ডিএসসিএসসি) অডিটোরিয়ামে আয়োজিত কোর্স-২০২৫ গ্র্যাজুয়েশন সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এ কথাগুলো বলেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পাশাপাশি ২৪টি দেশের সামরিক বাহিনী থেকে তরুণ অফিসাররা তাদের সনদ গ্রহণ করেন। ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে ড. মুহাম্মদ ইউনূস উল্লেখ করেন, দেশের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত এই নির্বাচনকে সত্যিকার অর্থে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন করতে আমরা সেনাবাহিনীর সহযোগিতা কামনা করি। জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থানে সেনাবাহিনীর ভূমিকা স্মরণ করে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং এ জন্য আমি তাদের ভূয়সী প্রশংসা করি। এ বছর কোর্সে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের পাশাপাশি চীন, ভারত, তুরস্ক, পাকিস্তানসহ মোট ২৪ দেশের ৩১১ জন তরুণ সামরিক কর্মকর্তা। কোর্স সমাপ্ত করে অংশগ্রহণকারীরা তাদের অর্জিত জ্ঞান ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে কাজে লাগিয়ে দেশের যেকোনো সংকটময় মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবেন বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। একটি বাংলাদেশি অফিসার বলেন, ডিএসসিএসসি-তে এই কোর্সে আমরা নেতৃত্ব, কৌশল ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক জ্ঞান অর্জন করেছি, যা আমাদের দেশের সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য দেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত করবে। বিশেষ করে যেকোনো জাতীয় সংকটে আমরা আমাদের অর্জিত জ্ঞান প্রয়োগ করতে প্রস্তুত। অন্য এক অফিসার বলেন, আমাদের প্রধান উপদেষ্টার কথাগুলো অত্যন্ত সময়োপযোগী। আমরা আশা করি, এই কোর্স সম্পন্ন করে আমরা দেশের সুরক্ষা ও গুরুত্বপূর্ণ কাজে আমাদের সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত থাকব। চীনের একজন অফিসার উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের এই সামরিক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে চলছে। ২৩ দেশের সহকর্মীদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় করে আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক ও বোঝাপড়া আরও গভীর হয়। আমরা বিশ্বাস করি, এই জ্ঞান ভবিষ্যতে আমাদের নিজস্ব দেশকে নিরাপদ রাখতে কাজে লাগবে।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

নির্বাচন উৎসবমুখর করতে সেনাবাহিনীর সহায়তা প্রয়োজন : প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০১:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর ও আনন্দময় করে তুলতে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা অপরিহার্য। বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে মিরপুর সেনানিবাসের ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড ও স্টাফ কলেজ (ডিএসসিএসসি) অডিটোরিয়ামে আয়োজিত কোর্স-২০২৫ গ্র্যাজুয়েশন সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এ কথাগুলো বলেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পাশাপাশি ২৪টি দেশের সামরিক বাহিনী থেকে তরুণ অফিসাররা তাদের সনদ গ্রহণ করেন। ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে ড. মুহাম্মদ ইউনূস উল্লেখ করেন, দেশের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত এই নির্বাচনকে সত্যিকার অর্থে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন করতে আমরা সেনাবাহিনীর সহযোগিতা কামনা করি। জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থানে সেনাবাহিনীর ভূমিকা স্মরণ করে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং এ জন্য আমি তাদের ভূয়সী প্রশংসা করি। এ বছর কোর্সে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের পাশাপাশি চীন, ভারত, তুরস্ক, পাকিস্তানসহ মোট ২৪ দেশের ৩১১ জন তরুণ সামরিক কর্মকর্তা। কোর্স সমাপ্ত করে অংশগ্রহণকারীরা তাদের অর্জিত জ্ঞান ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে কাজে লাগিয়ে দেশের যেকোনো সংকটময় মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবেন বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। একটি বাংলাদেশি অফিসার বলেন, ডিএসসিএসসি-তে এই কোর্সে আমরা নেতৃত্ব, কৌশল ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক জ্ঞান অর্জন করেছি, যা আমাদের দেশের সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য দেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত করবে। বিশেষ করে যেকোনো জাতীয় সংকটে আমরা আমাদের অর্জিত জ্ঞান প্রয়োগ করতে প্রস্তুত। অন্য এক অফিসার বলেন, আমাদের প্রধান উপদেষ্টার কথাগুলো অত্যন্ত সময়োপযোগী। আমরা আশা করি, এই কোর্স সম্পন্ন করে আমরা দেশের সুরক্ষা ও গুরুত্বপূর্ণ কাজে আমাদের সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত থাকব। চীনের একজন অফিসার উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের এই সামরিক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে চলছে। ২৩ দেশের সহকর্মীদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় করে আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক ও বোঝাপড়া আরও গভীর হয়। আমরা বিশ্বাস করি, এই জ্ঞান ভবিষ্যতে আমাদের নিজস্ব দেশকে নিরাপদ রাখতে কাজে লাগবে।


প্রিন্ট