, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

জাপানে অগ্নিকাণ্ডে ১৭০টি ভবন পুড়ে ছাই, নিহত ১

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৬ বার পড়া হয়েছে

জাপানের দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলীয় শহর ওইতায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ১৭০টির বেশি ভবন ধ্বংস হয়েছে এবং একজন মৃত্যুবরণ করেছেন। এটি প্রায় পঞ্চাশ বছরের মধ্যে দেশের সবচেয়ে বড় শহুরে অগ্নিকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। অগ্নিনির্বাপণ কর্মীরা সেনাবাহিনী ও হেলিকপ্টার দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ চালাচ্ছেন। বিমান থেকে তোলা ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, পাহাড়ি সাগানোসেকি অঞ্চলে বহু বাড়ি ধ্বংসের মুখে পড়েছে। ধোঁয়ার কুণ্ডলী আকাশে উঠছে। এই এলাকা একটি মাছ ধরার বন্দর সংলগ্ন, যেখানে বিখ্যাত ‘সেকি ব্র্যান্ডের ম্যাকারেল উৎপাদিত হয়। আগুনটি কাছাকাছি বনাঞ্চল ও উপকূল থেকে এক কিলোমিটার দূরের একনাম না থাকা দ্বীপেও ছড়িয়ে পড়েছে, যা প্রবল বাতাসের কারণে ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শুরু হওয়া এ অগ্নিকাণ্ড প্রায় ৪৮ হাজার ৯০০ বর্গমিটার এলাকা পুড়িয়ে দিয়েছে, যা সাতটি ফুটবল মাঠের সমান। আগুন ছড়িয়ে পড়ার পর প্রায় ১৭৫ জন বাসিন্দাকে আশ্রয় কেন্দ্রের আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনো তদন্তাধীন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, ঘটনাস্থলে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া, পঞ্চাশোর্ধ একজন নারীকে হালকা দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেছেন, ‘শীতের সময় আশ্রয়ে থাকা সকল বাসিন্দার প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।’ তিনি আরো জানান, সরকার স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে সর্বোচ্চ সহায়তা প্রদান করবে। অগ্নিকাণ্ডের ফলে এলাকা জুড়ে প্রায় ৩০০ বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে গেছে বলে কিউশু ইলেকট্রিক পাওয়ার জানিয়েছে। ১৯৭৬ সালে সাকাতা শহরে ভয়াবহ আগুনের পর এটি দেশের সবচেয়ে বড় শহরের অগ্নিকাণ্ড হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ২০১৬ সালে ইতোইগাওয়ায় বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডে ১৪৭টি ভবন পুড়ে গেলেও কোনও প্রাণহানি ঘটেনি। সূত্র: রয়টার্স


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

জাপানে অগ্নিকাণ্ডে ১৭০টি ভবন পুড়ে ছাই, নিহত ১

আপডেট সময় ০৩:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

জাপানের দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলীয় শহর ওইতায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ১৭০টির বেশি ভবন ধ্বংস হয়েছে এবং একজন মৃত্যুবরণ করেছেন। এটি প্রায় পঞ্চাশ বছরের মধ্যে দেশের সবচেয়ে বড় শহুরে অগ্নিকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। অগ্নিনির্বাপণ কর্মীরা সেনাবাহিনী ও হেলিকপ্টার দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ চালাচ্ছেন। বিমান থেকে তোলা ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, পাহাড়ি সাগানোসেকি অঞ্চলে বহু বাড়ি ধ্বংসের মুখে পড়েছে। ধোঁয়ার কুণ্ডলী আকাশে উঠছে। এই এলাকা একটি মাছ ধরার বন্দর সংলগ্ন, যেখানে বিখ্যাত ‘সেকি ব্র্যান্ডের ম্যাকারেল উৎপাদিত হয়। আগুনটি কাছাকাছি বনাঞ্চল ও উপকূল থেকে এক কিলোমিটার দূরের একনাম না থাকা দ্বীপেও ছড়িয়ে পড়েছে, যা প্রবল বাতাসের কারণে ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শুরু হওয়া এ অগ্নিকাণ্ড প্রায় ৪৮ হাজার ৯০০ বর্গমিটার এলাকা পুড়িয়ে দিয়েছে, যা সাতটি ফুটবল মাঠের সমান। আগুন ছড়িয়ে পড়ার পর প্রায় ১৭৫ জন বাসিন্দাকে আশ্রয় কেন্দ্রের আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনো তদন্তাধীন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, ঘটনাস্থলে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া, পঞ্চাশোর্ধ একজন নারীকে হালকা দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেছেন, ‘শীতের সময় আশ্রয়ে থাকা সকল বাসিন্দার প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।’ তিনি আরো জানান, সরকার স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে সর্বোচ্চ সহায়তা প্রদান করবে। অগ্নিকাণ্ডের ফলে এলাকা জুড়ে প্রায় ৩০০ বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে গেছে বলে কিউশু ইলেকট্রিক পাওয়ার জানিয়েছে। ১৯৭৬ সালে সাকাতা শহরে ভয়াবহ আগুনের পর এটি দেশের সবচেয়ে বড় শহরের অগ্নিকাণ্ড হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ২০১৬ সালে ইতোইগাওয়ায় বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডে ১৪৭টি ভবন পুড়ে গেলেও কোনও প্রাণহানি ঘটেনি। সূত্র: রয়টার্স


প্রিন্ট